• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ওয়ানডে ক্রিকেট কি মরে যাচ্ছে?

    ওয়ানডে ক্রিকেট কি মরে যাচ্ছে?    

    মার্ক টেইলরের অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যে শিবনারাইন চন্দরপল-রিচি রিচার্ডসন জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যাচ্ছে আরও একটি ফাইনালের দিকে। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে কুপোকাত করে ১৯৮৩ সালের পর আবারও ফাইনাল খেলার স্বপ্নে তখন বিভোর রিচি রিচার্ডসনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্ন বানাতে সময় নিলেন না হাজারো ব্যাটারের দুঃস্বপ্নে হানা দেওয়া শেন ওয়ার্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন তিনিই। দলীয় ১৬৫ রানের সময়ে এসে ৮০ রানে থাকা চন্দরপলকে সাজঘরের পথ দেখান গ্লেন ম্যাকগ্রা। আর খুনের ঘ্রাণ পেয়ে শিকারী বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়লেন ওয়ার্ন। ৪১.২ ওভারে ১৬৫-৩ থেকে ওয়ার্নের স্পেল শেষ হওয়ার পরে ৪৯তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে লেখা হল: ১৯৮-৮। রিচার্ডসন উইকেটে থাকলেও নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ফিরে টেইলরের অস্ট্রেলিয়া মোহালি জয় করে ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়।

    এরপর আরও একটি সেমি-ফাইনাল, আরও একটি ওয়ার্ন বীরত্বগাঁথা। সেবারও অস্ট্রেলিয়া বেঁধে দিয়েছে মোটে ২১৩ রানের লক্ষ্য। দক্ষিণ আফিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে অবশ্য হারার আগে হার মানতে নারাজ ওয়ার্ন। শুরু থেকেই প্রোটিয়াদের টুঁটি চেপে ধরলেন কিংবদন্তী লেগ স্পিনার। দুই ওপেনার গিবস আর কারস্টেন ফিরলেন তার বিষাক্ত স্পিনের ছোবলে। নিজের ১০ ওভারের কোটা যখন ওয়ার্ন পূর্ণ করলেন তখন ৪ মেইডেনে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ফিরিয়েছেন ৪ জন স্বীকৃত ব্যাটারকে। এরপরও সেবারের টুর্নামেন্টে অতিমানব বনে যাওয়া ল্যান্স ক্লুজনার ম্যাচ বাগে নিয়ে চলে এসেছিলেন। ১৯৯৯ সালের সেই নাটকীয় সেমি-ফাইনালে ১৯৯৬ সালের সেই সেমি-ফাইনালের মতই শেষ ওভার করেছিলেন ডেমিয়েন ফ্লেমিং। তবে অ্যালান ডোনাল্ডের ওই ক্ষণিকের মতিভ্রম যে হার মানিয়েছিল আগের সব নাটকীয়তাকে।

    সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল যে সেই নাটকীয়তাকেও বানিয়েছে নস্যি। ট্রেন্ট বোল্টের ক্যাচ ফেলে দেওয়া, বেন স্টোকসের ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্রিজে ঢোকার প্রচেস্টায় স্টাম্পের উদ্দেশ্যে ছোড়া বল ব্যাটে লেগে চার হয়ে যাওয়া, আর সুপার ওভারের শেষ বলেও রানের হিসাবের নিষ্পত্তি না হয়েও গাপটিলের রান আউটের পর বাটলারের সেই বুনো দৌড়; মোদ্দা কথা বাউন্ডারির হিসাবে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ঘরে তোলা - ২০১৯ যে হার মানিয়েছিল ওয়ানডে ইতিহাসের যেকোনো ফাইনাল, এমনকি যে কোনও ম্যাচকেই।

    ওয়ানডের এসব রোমাঞ্চ, এই নাটকীয়তা কী সহজে ভোলার! অথচ চারদিকে হুট করেই ওয়ানডে ক্রিকেটে গেল গেল বলেই রব উঠেছে। আর সেই রবে জোর গলায় শামিল হয়েছেন কিন্তু ক্রিকেটাররাই।  ওয়ানডে ক্রিকেট কী আসলেই কোনও সংগ্রহশালায় স্মৃতিস্মারক হিসেবে তুলে রাখার সময় এসেছে? বেন স্টোকসের সাম্প্রতিক ওয়ানডে অবসর কিন্তু অনেককেই সেরকম ভাবতেই বাধ্য করেছে। অবসরের পরে ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক স্টোকস বলেছিলেন, তিন ফরম্যাটে খেলাটা তার শরীর আর নিতে পারবে না। যেকোনো একটা ফরম্যাট নিয়ে কঠিন এই সিদ্ধান্তটা তাই তাকে নিতেই হত।

    কথাটা উঠেছে এখানেই। পেশাদারদের কাছেও কি গুরুত্ব বিবেচনায় ওয়ানডে এখন সবার নিচে নেমে গিয়েছে? কয়েক মাস আগে টেস্টে প্রত্যাবর্তনের পর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উসমান খোয়াজা এই কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন তেমনটাই। ওয়ানডে যে একদিনে শরীরকে একদম নিংড়ে ফেলে সেটা তিনি জানিয়েছেন কোনও সংকোচ ছাড়াই। তার পছন্দের তালিকাও তিনি জানিয়েছিলেন সোজাসাপ্টা, “আমার মনে হয় তিন ফরম্যাটের মাঝে সবার নিচে এখন ওয়ানডে। আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল, ওয়ানডে ক্রিকেট ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। হ্যাঁ, বিশ্বকাপ এখনও আছে, যেটা এখনও আনন্দদায়ক। তবে দেখে আনন্দ মিললেও একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার নিজের কিন্তু ওয়ানডের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই। টেস্ট আমার সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। এমনকি টি-টোয়েন্টির কথাও ভাবুন, এই দুই ফরম্যাটে শুধু যে ভারসাম্য আছে তাই নয় আপনি কিন্তু সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেও ফরম্যাট দুটোকে ঠিকভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু ওয়ানডে নিয়ে কি এই প্রশ্নটা থেকে যায় না, এই ফরম্যাটে কি আদৌতে সেটা সম্ভব?”

    সেই প্রশ্নে কিন্তু খোয়াজার সাথেই গলা মিলিয়েছেন কিংবদন্তী পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরামও, “আরে ভাই! খেলাটা এখন খালি খেলা লাগে তাই চালিয়েই যাওয়া হচ্ছে। দশ ওভার শেষ হওয়ার পর খেলা দেখলেই মনে হয় যে, আচ্ছা বল করে যাও, মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি খাও, ভিতরে চার জন ফিল্ডার রাখ, আর ৪০ ওভারের মধ্যে ২০০-২২০ রান হোক। আর শেষ ১০ ওভারে ১০০ রানের মধ্যে আটকানোর চেষ্টা কর। এই তো!  ইংল্যান্ডে হয়ত এখনও স্টেডিয়াম ভরে, কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের দিকে তাকান? ওখানে কিন্তু ওয়ানডেতে আর স্টেডিয়াম ভরে না।” এমনকি স্টোকসের অবসরের পর তার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন ওয়াসিম। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও নাকি মন উঠে গিয়েছে তার ওয়ানডে থেকে। ওয়ানডেকে তাই স্থায়ীভাবে বাতিল করে দেওয়ার দলেই তিনি। চিন্তা করুন, সাদা বল হাতে পাকিস্তানকে ফাইনাল জিতিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে পরে যেই ওয়াসিম পাকিস্তানকে আরও একটা বিশ্বকাপ জেতানোর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই ওয়াসিমের নাকি এখন ওয়ানডেকে একঘেয়ে ঠেকছে।

    তবে এসব কথাকে বাজে কথা হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, "আমার যে আজ পরিচিতি এটা তো এই ওয়ানডে দিয়ে। এই ওয়ানডে নিয়ে এখন যেসব কথা হয়েছে আর কয়েক বছর আগে কিন্তু টেস্ট নিয়েও একই কথা উঠেছিল। হয়েছে সেরকম কিছু? আমার জন্য ক্রিকেট খেলতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা যেই ফরম্যাটই হোক না কেন। ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্টিই বলুন, কোনও একটা ফরম্যাট শেষ হয়ে যাচ্ছে এরকম কথাই তো আমার মুখ দিয়ে কখনও বের হবে না। আমি তো চাই আরও ফরম্যাট আসুক যাতে আমার খেলার আরও উপলক্ষ তৈরি হয়।”

    রোহিতের একটা কথা ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। টেস্ট নিয়ে তো এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে কত গেল গেল রব উঠেছিল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেট বিশ্বকে হাতেকলমে আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছে কেন টেস্ট ক্রিকেটকে ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ ফরম্যাট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেটার জন্য আইসিসি সহ অন্যান্য ক্রিকেট সংস্থা যথেষ্ট চিন্তা করেছে, যথেষ্ট কথা বলেছে, চার দিনের টেস্ট নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে, দিবারাত্রি টেস্টকে আরও প্রাধান্য দিয়েছে। শুধু তাই নয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মত প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি করায় ডেড রাবার টেস্টের দেখা মেলাই ভার এখন।

    তবে টেস্ট খেলার পরিমাণ যে বেড়েছে এটাও অনস্বীকার্য। একইসাথে বাড়ছে টি-টোয়েন্টি লিগ গুলোর সংখ্যা। আইএল টি২০, সিএসএ টি-২০ এর মত লিগগুলো বড় পরিসরে পরিকল্পনা করার পর তো বড় খেলোয়াড়দের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ভেড়ানোর জন্য রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। সময় যত গড়াবে ফুটবলের মত লিগ কেন্দ্রিক একটা ব্যবস্থার দিকে ক্রিকেট এগুবে। আইপিএলকে দুই মাসের পরিষ্কার একটা সূচি দেওয়া হচ্ছে, বিগ ব্যাশের জন্য জানুয়ারি মাস পুরোটা নিজেদের আন্তর্জাতিক সূচির আওতার বাইরে রাখার কথা ভাবছে সিএ। স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ আয়ের জন্য বেশিরভাগ ক্রিকেটারও এই লিগগুলোর চুক্তির আওতায় আসতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনি যতই অর্থের দাস বলে ক্রিকেটারদের গালি দিন, নিজেদের অধ্যবসায়, শারীরিক পরিশ্রমের প্রতিফলন তারাও যে তাদের বেতনে দেখতে চাইবেন তাতে কোনও দোষের কিছু নেই। কেননা এটাই তো তাদের পেশা।

    আর পেশা-পারিবারিক জীবনের মাঝে ভারসাম্য নিয়ে তো আজকাল আপনার অফিসগুলোতেও কথা কম হচ্ছে না, বিশ্বজুড়ে সাপ্তাহিক কাজের গন্ডি চার দিনে বেঁধে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা হচ্ছে। সেখানে এফটিপিতে ম্যাচ সংখ্যার সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ক্যারিয়ার লম্বা করতে তাদের শরীরের দিকে নজর দেওয়ার কোনও বিকল্প তাদের নেই। কেননা এই শরীর যতদিন মাঠে গড়াচ্ছে ততদিনই তাদের পরিবারের একটা সম্বল থাকছে। তাহলে ক্রিকেটাররা তাদের শরীর, পরিবারের স্বার্থ দেখবেন না সেটা ভেবে বসে থাকাটাও কি কিছুটা পরস্পরবিরোধী চিন্তাধারা হয়ে যায় না?

    সমস্যাটা এখানেই। রোহিতের মত যাদের বিশাল অর্থের আইপিএল, বিগ ব্যাশ চুক্তি রয়েছে তাদের জন্য আরও ফরম্যাট চাওয়াটা সহজ। তবে যেই ক্রিকেটাররা মাথার ঘাম পানি করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিনের পর দিন খেলে যাচ্ছেন তাদের জন্য অত বড় কোনও চুক্তি নেই। টি-টোয়েন্টির এই মহারণে শামিল হতে চাওয়ার জন্য যে তারা ওভাবেই নিজেদের ঢেলে সাজাতে চাইবেন তা সহজেই বোধগম্য হয়। একইসাথে দেশের হয়ে খেলতে চাওয়ার জন্য টেস্টে নিজেকে উন্নত করা তথা নিজের সামগ্রিক ক্রিকেট বুদ্ধি, বিবেচনা, সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উন্নতির জন্য লাল বলে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। তাহলে ওয়ানডের গতি কী? ওয়ানডের বিবর্তনটা কিন্তু ভেবে দেখার সময় এসেছে। শচীন টেন্ডুলকার কিন্তু বহু বছর আগেই চার ইনিংসে ২৫ ওভার করে খেলার একটা প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। হয়ত সেটা ধোপে টেকেনি। তবে প্রতিযোগিতা বলুন, বেতন কাঠামো বলুন, আর আইসিসির দিক থেকে সাংগঠনিক কোনও পরিবর্তন বলুন - পরিবর্তন একটা জরুরী।

    আইসিসির সূচির দিকেই একবার দেখুন। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে টি-টোয়েন্টি  হয়েছে ৮৬৮টি, টেস্ট হয়েছে ১২১টি যাতে খেলার সূচি থেকেছে ৬০৫ দিন। অথচ ওয়ানডে হয়েছে মোটে ২৪৬টি। সুপার লিগ করলেও আইসিসি যে ওয়ানডে ফরম্যাটটা বোর্ডগুলোর অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের ওপরেি কিছুটা ছেড়ে দিচ্ছেন, পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়। সুপার লিগ নিয়ে যে বড় দলগুলো তেমন একটা মাথা ঘামাচ্ছে না তার প্রমাণ কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা শঙ্কার মুখে থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাতিল করা। কারণ? সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিসরে নিজেদের লিগ আয়োজন করা হচ্ছে বলেই ওয়াকওভার দিয়ে হলেও সিরিজটা খেলতে নারাজ দক্ষিণ আফ্রিকা।

    ওয়ানডে ক্রিকেটের দিন হয়ত এখনই গুনতে হবে না আসলেও। ওয়ার্নের বীরত্ব বলুন আর নিউজিল্যান্ডের দুর্ভাগ্যে ইংলিশদের উল্লাসের কথাই বলুন - বিশ্বকাপের মহিমা, জৌলুস তো রাতারাতি হারিয়ে যাবে না। তবে ওয়ানডেকে যাতে ফেলনা না ভাবা হয় তার জন্য কোনও সাংগঠনিক সংস্কার জরুরী। আর সেই সংস্কারটাও করতে হবে ক্রিকেটারদের মানুষ হিসেবে দেখে, কোনও টাকা বানানোর যন্ত্র হিসেবে নয়। ব্যবসায়িক স্বার্থে ক্রিকেটারদের বিকিয়ে দিয়ে হয়ত ফরম্যাটটা বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বিকল্প হিসেবে ত্রিপাক্ষিক বা অঞ্চলভিত্তিক সিরিজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে একটি পদক্ষেপ। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো কেন দর্শকদের কাছে এতোটা আকর্ষণীয় তার মূলে যেতে হবে। স্বল্প সময়ে বড় পরিসরের বিনোদন, বড় তারকাদের সম্মেলনটা কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার মত নয়। একইসাথে এভাবে আগালে যে সূচিতেও ফাঁকা সময় বের করা যায়। সে যাই হোক, স্টোকস, খোয়াজা, আকরামদের শঙ্কাটা কিন্তু সত্য। ভারতে বাঘ বলুন, অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ালা বলুন - বিপৎসংকুল সেই প্রাণীদের বিপদের বলয় থেকে বের করে আনা হয়েছে তাদের অস্তিত্বের সংকটকে স্বীকার করেই। ওয়ানডেকেও এখন বাঘ, কোয়ালার চোখে দেখার বিকল্প নেই। নয়ত কালের পরিক্রমায় ওয়ানডের জায়গা হবে কোনও সংগ্রহশালাতেই।