• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পার্স

    শেষ মুহূর্তের গোলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পার্স    

    মার্সেই ১:২ স্পার্স 

    স্পোর্টিং ১:২ ফ্রাঙ্কফুর্ট


    গ্রুপ পর্বের ম্যাচের শেষদিনটি রোলার-কোস্টারের মতোই গেল গ্রুপ ‘ডি’-র প্রতিটি দলের। গ্রুপের শীর্ষে থেকে দিন শুরু করা টটেনহাম হটস্পার এক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেই বাদ পড়তে বসেছিল। তবে পিয়ের এমিল হয়বিয়ার শেষ মুহূর্তের গোলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই নকআউট পর্বে পা রাখছে অ্যান্টনিও কন্তের দল। এদিকে শেষ ম্যাচে পোর্তোর কাছে হেরে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নও জলাঞ্জলি দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।  

    মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ‘ডি’ ব্যতীত অন্য গ্রুপগুলোর ম্যাচে অতটা আমেজ ছিল না। সেসব গ্রুপের নকআউট-যাত্রীদের তালিকা আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে স্পার্স, মার্সেই, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও স্পোর্টিংয়ের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপ ‘ডি’ থেকে সব দলেরই ছিল পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা। আবার সব দলের বাদ পড়ার সম্ভাবনাও ছিল।      

    মার্সেইয়ের মাঠে প্রথমার্ধটা নীরবেই পাড় হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মার্সেই কর্নার থেকে গোল করে বসলে বিপাকে পড়ে যায় স্পার্স। গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থেকে মধ্য বিরতিতে যেতে হয় তাদের। আর অন্য ম্যাচ ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ১-০ গোলের লিড নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে মধ্যবিরতিতে যায় স্পোর্টিং। 

    কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আবার বদলে যায় সবকিছু। ৭২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে স্পোর্টিংকে গ্রুপের তলানিতে ঠেলে দেয় ইউরোপা চ্যাম্পিয়ন ফ্রাঙ্কফুর্ট, নিজেরা চলে যায় গ্রুপের শীর্ষে। ওদিকে পেরিসিচের ফ্রিকিকে হেড করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্পার্সকে সমতায় ফেরান ক্লেমেন লংলে। গ্রুপে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যায় স্পার্স। 

    এভাবেই শেষ হতে চলেছিল ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে আবার বদলে যায় সব হিসাব-নিকাশ। নেতিয়ে যাওয়া মার্সেই খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে স্বাভাবিক এক কাউন্টার-অ্যাটাক থেকে গোলে করে বসেন স্পার্স মিডফিল্ডার হয়বিয়া। এই গোলের ফলে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই দিন শেষ করে স্পার্স। আর সব ধরনের ইউরোপীয় ফুটবল থেকেই বাদ পড়ে যায় মার্সেই। 

    মার্সেইয়ের ভুলে অবশ্য উপকার হয়েছে স্পোর্টিংয়ের। নিজেদের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও চতুর্থ স্থানে থাকা পর্তুগিজ দলটি এখন জায়গা করে নেবে ইউরোপায়। 

    এদিকে, নাপোলির ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ক্লাব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে লিভারপুল। মোহামেদ সালাহ ও ডারউইন নুনেজের গোলে অ্যানফিল্ডে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে লিভারপুল। তবে সমান পয়েন্ট থাকার পরেও হেড-টু-হেডে এক গোলের ব্যবধানের জন্য দ্বিতীয় হয়েই নকআউট পর্বে যাবে গতবারের রানার আপ লিভারপুল।