• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    তিউনিসিয়া, ডেনমার্কের ঘাম ঝরানো এক পয়েন্ট

    তিউনিসিয়া, ডেনমার্কের ঘাম ঝরানো এক পয়েন্ট    

    ডেনমার্ক ০:০ তিউনিসিয়া


    টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেক বিশ্লেষকই তিউনিসিয়াকে আফ্রিকা থেকে আসা সবচেয়ে দুর্বল দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু সৌদি আরবের মতোই সবাইকে অবাক করে দিয়ে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে উদ্যমী এক পারফরম্যান্স উপহার দিল উত্তর আফ্রিকার দলটি। ইউরো সেমিফাইনালিস্ট ডেনমার্কের কাছ থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো তারা। 

    কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে তিউনিসিয়া ম্যাচ শুরু করে ফ্রন্টফুটে থেকেই। নিরলস প্রেসিং ও রক্ষণাত্মক দৃঢ়তায় ডেনমার্ককে তাদের নিজস্ব ফুটবল খেলতেই দেয়নি তিউনিসিয়া। বেশ কয়েকবার গোল দেওয়ার কাছাকাছিও চলে এসেছিল তারা। শুরুতে রাইট উইংব্যাক মোহামেদ ড্র্যাগারের শট ক্রিশ্চেনসনের গায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে মিডফিল্ডার লাইদোনিও বাইরে শট নিয়ে একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। তবে প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিলেন জাবেলি। তিউনিসিয়া স্ট্রাইকার ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ক্যাস্পার স্মাইকেলকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন। জাবেলি চিপ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হাত বাড়িয়ে সেটা ফেরাতে সক্ষম হন ডেনিশ গোলরক্ষক। 

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ম্যাচের চেহারা বদলে যায়। শুরুতে তিউনিসিয়া কয়েকটি আক্রমণ করলেও আস্তে আস্তে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে ডেনমার্ক। বলের দখল রেখে লং বলে আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। এবার তিউনিসিয়ার ত্রাতা হিসেবে উপস্থিত হন গোলরক্ষক আয়মান ডাহমান। ৬৯ মিনিটে এরিকসনের দ্রুতগতির এক শট ফেরান তিনি। সেখান থেকে আসা কর্নারেও প্রায় গোল করে বসেছিল ডেনমার্ক। এবার দৈববলে বেঁচে যায় তিউনিশিয়া। কর্নেলিয়াসের শট ফিরে যায় বারে লেগে। 

    পুরো ম্যাচেই একের পর এক সেটপিস নিয়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ভাঙার চেষ্টা করা ডেনমার্ক তাদের এই প্রয়াস অব্যাহত রাখে যোগ করা সময়েও। এরকম একটি কর্নার থেকে পেনাল্টিই পেয়ে বসেছিল তারা। কিন্তু ভিএআর পরামর্শ দিলেও স্ক্রিন দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত নেন তিউনিশিয়া সেন্টারব্যাক ইয়াসিন মেরিয়ার হাতে বল লাগলেও সেটি পেনাল্টির বিবেচনায় পড়ে না। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয় ম্যাচ। টুর্নামেন্টের প্রথম গোলবিহীন ম্যাচ এটি।    

    এই ড্র কোনো দলের জন্যই ঠিক বাজে রেজাল্ট না। বিশ্বকাপে এর আগে খেলা মোট ১৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছিল তিউনিসিয়া। এবারের আসর তারা শুরুই করলো ক্লিনশিট দিয়ে। আজকের এই ড্র স্বাভাবিকভাবেই তাদের সামনে দুই ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। এই ড্র অবশ্য ডেনমার্কের হিসাব-নিকাশ কিছুটা জটিল করে তুলতে পারে। সামনের দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পাশাপাশি ফ্রান্সের বিপক্ষেও কোনো ইতিবাচক ফলাফল বের করার চেষ্টা করতে হবে তাদের। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাইলে হয়তো ফ্রান্সকে হারাতেই হবে।