• দলবদলের যত খবর
  • " />

     

    দলবদল সমাচার: জানুয়ারিতে ক্লাব বদলেছেন যারা

    দলবদল সমাচার: জানুয়ারিতে ক্লাব বদলেছেন যারা    

    জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে এমনিতেও দলবদল কম হয়। খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়ের খুঁজে নামে না এই উইন্ডোতে। মৌসুমের মাঝে খেলোয়াড় ছাড়তেও অনিচ্ছুক থাকে সিংহভাগ ক্লাব। তবে কিছু ক্লাব এই মাসে খরচ করেছে, দলে ভিড়িয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়কে। সেই তালিকায় সবার উপরে আছে চেলসি, জানুয়ারিতে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ ইতোমধ্যে করে ফেলেছে লন্ডনের ক্লাবটি। চলুন দেখে নেওয়া যাক এখন পর্যন্ত কী কী গুরুত্বপূর্ণ দলবদল হয়েছে এই মাসে-  

    • লিয়ান্দ্রো ট্রসার (ব্রাইটন থেকে আর্সেনাল): ২১ মিলিয়ন পাউন্ড 

    বর্তমানে বেশ স্বস্তিতেই টেবিলের শীর্ষে আছে আর্সেনাল। কিন্তু তারপর বাকি অর্ধেক মৌসুমের জন্য কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না মিকেল  আরতেতা। ফ্রন্টলাইনে গভীরতার অভাব যে আর্সেনালকে ভোগাতে পারে, সেটা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের ইনজুরির পরই হয়তো টের পেয়েছেন তিনি। তাই এমন এক ফরওয়ার্ডকে দলে ভিড়িয়েছেন যে কি না খেলতে পারে সামনের প্রায় যেকোনো পজিশনে। প্রিমিয়ার লিগে অভ্যস্ত ট্রসারকে কিনতে তেমন খরচও করতে হয়নি তাদের। 

    • মেমফিস ডিপাই (বার্সেলোনা থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ): ২.৬ মিলিয়ন পাউন্ড 

    ডেভিড ভিয়া, লুইস সুয়ারেজ; বার্সেলোনা থেকে কেনা অভিজ্ঞ ফরওয়ার্ডরা সবসময়ই লাকি চার্ম হিসেবে কাজ করেছে অ্যাটলেটিকোর জন্য। আগের দুজনই ক্লাবকে লিগ শিরোপা উপহার দিয়েছে। ডিপাইয়ের উপর অবশ্য ওইরকম প্রত্যাশা নেই কারো, জোয়াও ফেলিক্সের বিদায়ের পর টালমাটাল অ্যাটলেটিকোর ফ্রন্টলাইনে স্থিতি ফিরিয়ে আনাই হবে তার কাজ। 

    • আরনট দানজুমা (ভিয়ারিয়াল থেকে স্পার্স): লোন 

    এই ভিয়ারিয়াল ফরওয়ার্ডের এভারটনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সব কথা পাকাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টটেনহাম থেকে প্রস্তাব পান গতবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলা এই ডাচ উইঙ্গার। স্বাভাবিকভাবেই এভারটনের হয়ে রেলিগেশন লড়াইয়ের চিন্তা বাদ দেন দানজুমা, কাল-বিলম্ব না করে সাক্ষর করেন স্পার্সের চুক্তিতে। 

    • মিখাইলো মুদ্রিক (শাখতার থেকে চেলসি): ৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড 

    এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে দলবদল (মাসের শেষদিনেও সম্ভবত এর পরিবর্তন হবে না)। নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের প্রধান টার্গেটকে শেষ মুহূর্তে হাইজ্যাক করে টড বোয়েহলির ক্লাব চেলসি। ৩০ মিলিয়নের অ্যাড-অনসহ ১০০ মিলিয়ন ইউরোর এই দলবদলের জন্য ইউক্রেনে গিয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তুতিও দিয়েছে চেলসি। ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার এই মৌসুমে ইউক্রেনীয় লিগে ১২ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭ গোল। 

    • জোয়াও ফেলিক্স (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে চেলসি): লোন 

    ফেলিক্সকে ছয় মাসের লোনে আনতে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ইউরো ফি দিবে চেলসি। প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই পর্তুগিজ যদি মৌসুমের বাকি সব ম্যাচ খেলে, তাও তার পিছনে ম্যাচপ্রতি প্রায় মিলিয়ন ইউরো খরচ করবে চেলসি (বেতনসহ)। 

    • কোডি গাকপো (পিএসভি থেকে লিভারপুল): ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড 

    ধুঁকতে থাকা লিভারপুলের জন্য জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল এক বা দুজন নতুন মিডফিল্ডারের। সেই অন্বেষণে সফল না হওয়া ক্লাবটি জানুয়ারির শুরুতেই দলে ভেড়ায় পিএসভি ও নেদারল্যান্ডসের হয়ে নজর কাড়া কোডি গাকপোকে। এই উদীয়মান ফরওয়ার্ডে ভর যদি মৌসুমটা রক্ষা করতে পারে অলরেডরা!   

    • ভট ভেগহর্স্ট (বার্নলি থেকে ইউনাইটেড): লোন 

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর আরেকজন স্ট্রাইকার আনাটা জরুরী হয়ে পড়েছিল ইউনাইটেডের জন্য। শুরু কোডি গাকপোকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া ক্লাবটি শেষ পর্যন্ত এনেছে বার্নলি স্ট্রাইকার ভেগহর্স্টকে। রাশফোর্ড, মার্শিয়ালদের বদলি হিসেবেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে এই লম্বা সেন্টার ফরওয়ার্ডকে। 

    • ইয়ান সোমার (মনশেনগ্লাডবাখ থেকে বায়ার্ন মিউনিখ): ৭ মিলিয়ন পাউন্ড 

    শীতের ছুটিতে স্কিইং করতে গিয়ে ম্যানুয়েল নয়্যার পা ভেঙে ফেলার পর মৌসুম বাঁচাতে বায়ার্নকে আরেকজন গোলরক্ষক দলে ভেড়াতে হতোই। ৩৪ বছর বয়সী সোমার গ্লাডবাখের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও তার সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। যার পুরস্কারস্বরূপ এবার লিগ জেতার একটি সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। 

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলবদল- 

    ড্যানি ইংস (অ্যাস্টন ভিলা থেকে ওয়েস্ট হাম): ১২ মিলিয়ন পাউন্ড 

    অ্যালেক্স মরেনো (রিয়াল বেটিস থেকে অ্যাস্টন ভিলা): ১২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড 

    ডেলি ব্লিন্ড (আয়াক্স থেকে বায়ার্ন মিউনিখ): ফ্রি 

    বেনোয়া বাদিয়াশিল (মোনাকো থেকে চেলসি): ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড