• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    ময়সে কিনের ৪০ সেকেন্ডে লাল কার্ড: কোন লিগে কার কী রেকর্ড

    ময়সে কিনের ৪০ সেকেন্ডে লাল কার্ড: কোন লিগে কার কী রেকর্ড    

    রোববার রোমার বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল জুভেন্টাস। ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসে একটি সমতাসূচক গোলের আশায় মাঠে নামিয়েছিল স্ট্রাইকার মইস কিনকে। কিন্তু বদলি নেমে ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জুভেন্টাস স্ট্রাইকার মইস কিন। 

    তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এত দ্রুত লাল কার্ড দেখেও সিরি আ ইতিহাসের দ্রুততম লাল কার্ডের রেকর্ডটা কিনের নয়। সেই রেকর্ড সাবেক আটালান্টা তারকা জুলিও মিগলিয়াসিওর। চলুন দেখে নেওয়া যাক সিরি আ-সহ বাকি ইউরোপীয় লিগগুলোতে দ্রুততম লাল কার্ড দেখেছেন কারা-   

    সিরি আ 

    জুলিও মিগলিয়াসিও, ৩২ সেকেন্ড 

    আটালান্টা বনাম পালেরমো, ২০১৫

    দল ২-০ গোলে এগিয়ে। এমন সময়ে, দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আটালান্টা মিডফিল্ডার মিগলিয়াসিও। পালেরমো আবার তার সাবেক ক্লাব। কিন্তু সাবেক দলের বিপক্ষে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ আর দিতে পারেননি এই ৩৪ বছর বয়সী। ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে বলের দখল নিতে গিয়ে এক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মাথায় লাথি মারেন তিনি। সরাসরি লাল কার্ডই বের করেন রেফারি। তবে তার এই দ্রুতগতির লাল কার্ড দলকে ভোগায়নি। আটালান্টা ম্যাচ জেতে ৩-১ গোলে।   

    লিগ ওয়ান 

    জঁ ক্লে তদিবো, ৯ সেকেন্ড 

    নিস বনাম অ্যাজার, ২০২২ 

    ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ স্তরে সবচেয়ে দ্রুততম লাল কার্ড। সেদিন কিক অফের সঙ্গেই আক্রমণে উঠে অ্যাজারের ফরওয়ার্ডরা। বল নিয়ে বক্সের দিকে যাওয়া আবদুল্লাহ সিমাকে থামাতে পাশ থেকে কড়া ট্যাকেল করেন তদিবো। গোলের সুযোগকে নষ্ট করায় তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ১০ জনে নেমে যায় নিস। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাজারের একজনও লাল কার্ড দেখে, তবে ১-০ গোলে ম্যাচ জেতে সফরকারীরাই।   

    প্রিমিয়ার লিগ 

    কিথ গিলেস্পি- ১২ সেকেন্ড  

    রিডিং বনাম শেফিল্ড ইউনাইটেড, ২০০৭

    প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে লাল কার্ড পাওয়ার রেকর্ডটি সাবেক ম্যান ইউনাইটেড ও নিউক্যাসল তারকা কিথ গিলেস্পির। মাত্র ১২ সেকেন্ডে। 

    ২০০৭ সালে রেলিগেশন লড়াইয়ে থাকা দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে ঘটে এই লঙ্কাকাণ্ড। রিডিংয়ের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন গিলেস্পি। কিন্তু খেলা আবার শুরু হওয়ার আগেই ফিরে যান এই আইরিশ উইঙ্গার। থ্রোয়িং দিয়ে শুরু হচ্ছিল খেলা। সেসময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে কনুই মেরে বসেন গিলেস্পি। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা রেফারি সরাসরি লাল কার্ড বের করেন। যেহেতু খেলা আবার শুরুই হয়নি, আপনি তর্ক করতে পারেন, শূন্য সেকেন্ডেই বিতাড়িত হয়েছিলেন গিলেস্পি। 

    বুন্দেসলিগা 

    মার্সেল টিটস-রিভেরো- ৪৩ সেকেন্ড

    বরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম ফ্রাঙ্কফুর্ট, ২০১১

    ৭৯ মিনিটে বদলি নেমেছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মিডফিল্ডার রিভেরো। নেমেই দেখেন এক কাউন্টারে বল নিয়ে প্রায় বক্সে ঢুকে গেছেন ডর্টমুন্ডের মার্সেল স্মেলজার। অগত্যা দৌড়ে এসে তাকে পিছন থেকে ট্যাকেল করে ফেলে দেন রিভেরো। সরাসরি লাল কার্ড বের করেন রেফারি, আদেশ দেন পেনাল্টিরও। পেনাল্টিটি পরবর্তীতে ফিরিয়ে দিলেও ফ্রাঙ্কফুর্ট ম্যাচ শেষ করে ১-৩ গোলের পরাজয় নিয়ে।   

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগ 

    ওলেকজান্দার কুচার- ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড 

    বায়ার্ন মিউনিখ বনাম শাখতার দোনেস্ক, ২০১৫ 

    শেষ ষোলোর ম্যাচ। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় পা রাখে শাখতার। পেপ গার্দিওলার বায়ার্নের বিপক্ষে যা একটু আশা ছিল সফরকারীদের, তা পণ্ড হয়ে যায় প্রথম তিন মিনিটেই। বক্সের ভেতর বল নিয়ে দৌড় দেওয়া মারিও গোটশেকে পিছন থেকে ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার ওলেকজান্দার কুচার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, বের করেন লাল কার্ডও। তৃতীয় মিনিটেই ১০ জনে নেমে যাওয়া শাখতার শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেরে ৭-০ গোলের পরাজয় নিয়ে।