• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    পান্তহীন দিল্লিতে মোস্তাফিজ 'সেকেন্ড চয়েজ'?

    পান্তহীন দিল্লিতে মোস্তাফিজ 'সেকেন্ড চয়েজ'?    

    এলেন কারা, গেলেন কারা

    কলকাতায় শার্দুল ঠাকুরকে ট্রেডে পাঠিয়ে বিনিময়ে এনেছে আমান খানকে। টিম সেইফার্ট ও কেএস ভারত, দুই উইকেটকিপারকে ছেড়ে দিয়ে ইংলিশ উইকেটরক্ষক ফিল সল্টকে কিনেছে দিল্লি। মানিশ পান্ডে, অশ্বিন হেবারকে বাদ দিয়ে দেশি পেসের সংগ্রহ বাড়িয়েছে। ফিরেছেন ইশান্ত শর্মা, এসেছেন মুকেশ কুমার। রাইলি রুশোকেও এবার দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি। 

    সম্ভাব্য সেরা একাদশ

    ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের ভালো ব্যবহারের সুযোগ আছে দিল্লির। একাদশে চার বিদেশি রাখলে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নামাতে পারবে না, দেশিদেরই অদল-বদল করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাড়তি ব্যাটিংয়ের জন্য মানিশ পান্ডে, ইয়াশ ধুলরা আছেন। বোলিংয়ে শক্তি বাড়াতে বদলি নামানো যায় নাগারকোটি, ইশান্ত শর্মাদের।

    ১। পৃথ্বী শ

    ২। ওয়ার্নার

    ৩। মার্শ

    ৪। রুশো 

    ৫। সরফরাজ

    ৬। আক্সার

    ৭। লালিত / মানিশ

    ৮। আমান 

    ৯। কুলদীপ

    ১০। খলিল / সাকারিয়া

    ১১। নরকিয়া / মোস্তাফিজ

    ব্যাটিং: পান্টের অভাব পূরণে ‘ভয়ঙ্কর’ দিল্লির পথে যত মাথাব্যথা

    উইকেটকিপার ঋষাভ পান্ট দিল্লির মাথাব্যথা বাড়িয়েই দিয়েছেন। কার দুর্ঘটনায় আইপিএল থেকে ছিটকে পড়া পান্টের জায়গায় তো একজনকে খেলালেই হচ্ছে না, পূরণ করতে হবে তার তিন ভূমিকাও। 

    অধিনায়কের ভার দিল্লি দিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারকে। কিন্ত উইকেটকিপার কে? দিল্লি স্কোয়াডে একজন নিয়মিত উইকেটরক্ষক আছেন। ওয়ার্নার ও মার্শ অটোচয়েজ ধরলে সল্টকে একাদশে রাখাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে, এই ব্যাটারকে সেক্ষেত্রে খেলতে হবে মিডল অর্ডারেই। কিন্ত সল্ট তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রায় ৯১ শতাংশ ম্যাচ খেলেছেন ওপেনিংয়ে, টপ থ্রিয়ের বাইরে খেলেছেন মাত্র ১৯ শতাংশ ম্যাচে। টপ অর্ডারে অভ্যস্ত বলেই যে মিডল অর্ডারে পারবেন না, তেমন কোন কথা নাই বলে সল্টকে দেখা যেতেই পারে গ্লাভস হাতে। তেমন হলে বাদ দিতে হবে রাইলি রুশোকে, পান্টের অভাবে শক্তি হারানো মিডল অর্ডার আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে তাতে। ব্যাটিং অর্ডারে ডানহাতির আধিক্যেও খেয়াল দিলে রুশোকে রাখা ভালো অপশন।

    দেশি কাউকে গ্লাভসের দায়িত্ব দিলেই রাখা যাবে রুশোকে। এখনও পান্টের বদলি হিসেবে কাউকে নেয়নি দিল্লি। গণমাধ্যমে উইকেটকিপিং নিয়ে নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সরফরাজ খান। তাহলে কী অনিয়মিত সরফরাজকে দিয়েই কিপিংয়ের কাজ চালিয়ে নেওয়ার সাহস করবে দিল্লি?

    পান্টের অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে সুযোগ পাওয়া দেশি ব্যাটারদের বেড়ে যাবে দায়িত্ব। বিদেশি বিকল্প হিসেবে লেট-মিডল অর্ডারে আছে পাওয়েল পাওয়ার। দেশিদের মধ্যে সরফরাজই হবেন গুরুত্বপূর্ণ। মানিশ পান্ডেও রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। লালিত যাদব, রিপাল প্যাটেলরাও এবার পাবেন সুযোগ। ব্যাটিংয়ে সাম্প্রতিককালে উন্নতির ছাপ রাখা আক্সারকে ব্যাটে হাতেও এবছর দিল্লিকে দিতে হবে অনেক কিছু। ট্রেডে কলকাতা থেকে আমান খানকে আনা ও কোচ রিকি পন্টিংয়ের মুখে প্রশংসা বলে দেয়, দিল্লির প্রত্যাশা কম নয় তাকে নিয়ে। 

    ওয়ার্নার-শ-মার্শ, নামগুলো যেন স্রেফ আতঙ্কই ছড়ায়, কী বিধ্বংসী টপ অর্ডার! দেশি ব্যাটাররা তাদের সহায়তা করতে পারলেই দিল্লি হয়ে উঠবে ভয়ঙ্কর। 

    বোলিং :সমাধান মার্শ, কিন্ত এই মার্শ নয়! 

    পান্টের অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে একজন বিদেশিকে নিয়ে খেলতে চাইবে দিল্লি, সেজন্য একাদশে জায়গা বাকি থাকে এক বিদেশি পেসারের। নরকিয়া, মোস্তাফিজ, এনগিডি- প্রথম পছন্দ নিঃসন্দেহে নরকিয়াই হবেন। আর পেস আক্রমণে বাঁহাতি চাইলে আছে দেশি বিকল্প, সাকারিয়া আর খলিল। দুই বিদেশি পেসার নিয়ে খেলার ইতিহাস আছে অবশ্য দিল্লির। এর আগে জুটি জমেছিল নরকিয়া ও রাবাদার, গেল বছরেও নরকিয়ার সঙ্গে মোস্তাফিজকে নিয়ে নেমেছিল দিল্লি। তবে এবার সে সম্ভাবনার মাত্রা একেবারে কমিয়ে দিয়েছে মিডল অর্ডারে পরীক্ষিত দেশি ব্যাটারের অভাব। 

    সে হিসেবে একজন ব্যাটার বেশি খেলাতে চাইলেও বিপত্তি বেধে যায়। দেশি অস্ত্রে পেস বিভাগ এবার আরও মজবুত করেছে দিল্লি, ফিরিয়েছে অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাকে, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মার মুকেশকেও এনেছে। খলিল-সাকারিয়ার বাঁহাতি পেসের সঙ্গে আছে অলরাউন্ডার আমান খান ও কামলেশ নাগারকোটির ডানহাতি পেস। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর জন্য অনেক বিকল্প থাকলেও দেশি কোন পেসারকে শেষমেশ করতে হবে বড় কিছু। দেশি-বিদেশি মিলে দুই পেসার, কুলদীপ-আক্সারের স্পিন, অলরাউন্ডার আমান খান- একাদশে বাকি থাকা জায়গায় একজন ব্যাটার খেলাতে চাইলে নামতে হবে বোলিংয়ে অপশন ছাড়াই। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার ঝুঁকি নিতে চাইবে দিল্লি? 

    অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার লালিত যাদব হতে পারেন সিক্সথ বোলিং অপশন। মিচেল মার্শ বোলিং করলে সে চিন্তায় পড়তে হতো না যদিও দিল্লিকে। কিন্ত সাম্প্রতিককালে মার্শ হাত ঘোরানো বন্ধই করে দিয়েছেন। রিকি পন্টিংকে তাই এবার ভালোই মাথা ঘামাতে হবে, তার দলের একাদশের নকশা-চেহারা ঠিক করতে গিয়ে। অবশ্য হাতে যথেষ্ট অস্ত্রের মজুদ আছে, একটা শিরোপা প্রত্যাশী দল গড়ে তুলতেই পারেন তিনি! 

    কুঁড়ি থেকে ফুল হওয়ার পালা

    ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়া সরফরাজ শুরুতেই চমকে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। তরুণ সরফরাজ বেঙ্গালুরুর হয়ে লেট-মিডল অর্ডারে খেলেছেন ১০ বলে ৩৫, ২১ বলে ৪৫ রানের মতো ইনিংস। সম্ভাবনাময় সেই সরফরাজ গত তিন আইপিএলে ১০ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১২৪ রান। সম্প্রতি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে স্রেফ রানের ফোয়ারাই ছুটিয়েছেন, এবার সরফরাজের সামনে নিজেকে বড় মঞ্চে প্রমাণের সুযোগ। 

    গেলবারের অবস্থান

    অর্ধেক জয় আর অর্ধেক হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম।