• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    নারাইন-বরুনের ঘূর্ণি, রিঙ্কু-রানার সময়োপযোগী জুটিতে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল কলকাতা

    নারাইন-বরুনের ঘূর্ণি, রিঙ্কু-রানার সময়োপযোগী জুটিতে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল কলকাতা    

    চেন্নাই-কলকাতা, চেন্নাই (টস-চেন্নাই/ব্যাটিং)
    চেন্নাই সুপার কিংস- ১৪৪/৬, ২০ ওভার (দুবে ৪৮*, কনওয়ে ৩০, জাদেজা ২০, নারাইন ২/১৫, বরুন ২/৩৬, শার্দুল ১/১৫ )
    কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৪৭/৪, ১৮৩ ওভার (রানা ৫৭*, রিঙ্কু ৫৪, রয় ১২, চাহার ৩/২৭)
    ফলাফল: কলকাতা ৬ উইকেটে জয়ী


     

    প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে জয়ের হয়ত বিকল্প ছিল না; দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে চিপকে সহজ এক জয় তুলে নিল কলকাতা। সুনীল নারাইনের ফর্মে ফেরার দিনে স্পিনারদের চাপে চেন্নাই ব্যাটাররা সুবিধাই করতে পারেনি। নিতিশ রানার অধিনায়কোচিত ইনিংসের সাথে রিঙ্কু সিংয়ের ফিফটিতে সহজেই জয় তুলে নিয়ে কলকাতা তাই নিজেদের আশাটাও বাঁচিয়ে রাখল।

    অথচ কলকাতার শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। ওপেনিংয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে দীপক চাহার প্রথম ওভারেই ফেরান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেও ফিরিয়ে চাহার কলকাতার আশায় জল ঢেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন। অসাধারণ এক ওপেনিং স্পেলের তৃতীয় ওভারে চাহার ১২ রানে থাকা জেসন রয়কেও ফেরালে কলকাতার শিবির বড্ড চিন্তায় পড়ে যায়। ৩৩ রানেই ৩ উইকেট হারানো কলকাতার সেই চিন্তা সরিয়ে দেন রানা-রিঙ্কু জুটি।

    ১৮ রানে থাকার সময় অবশ্য মাথিশা পাথিরানার কল্যাণে জীবন পেয়েছিলেন রানা। ইনিংসের কোনও পরজায়েই অবশ্য এরপর দুজনের কেউই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা না করে ম্যাচের গতিবিধি বুঝে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নেওয়ার পাশাপাশি প্রান্ত বদলেও দুজনে দেখিয়েছেন দক্ষতা। তারই পরিক্রমায় ৩৯ বলে রিঙ্কু ফিফটি পাওয়ার পরের ওভারে রানাও ফিফটি পেয়ে যান ৩৮ বলে। পরের ওভারেই অবশ্য রান আউটের শিকার হয়ে ৪৩ বলে রিঙ্কুর ৫৪ রানের ইনিংস শেষ হলেও অধিনায়ক রানা ৪৪ বলে ৫৭* রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

    এর আগে কলকাতার বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে ৪র্থ ওভারে আক্রমণে এসেই রুতুরাজ গায়কোয়াডকে ১৭ রানে থামান বরুন চক্রবর্তী। তা সত্ত্বেও পাওয়ারপ্লেতে ৫২ রান তুলে ফেলে চেন্নাই। পাওয়ারপ্লের পরে আক্রমণে এসেই বরুনের সাথে জুটি গড়ে চেপে বসেন নারাইন। শিকল ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বরুনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১৬ রানে রাহানে ফিরলে এক  ওভার পরে আক্রমণে এসেই খাটো লেংথের বলে ৩০ রানে থাকা ডেভন কনওয়েকে পর্যুদস্ত করেন শার্দুল। সেখান থেকেই যেন চেন্নাইয়ের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়ে।

    পরের ওভারে রায়ুডুর স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর ওই ওভারের শেষ বলে মঈন আলীরও একই পরিণতি ঘটিয়ে দারুণ এক স্পেল শেষ করেন নারাইন। মুহূর্তেই চেন্নাইয়ের স্কোর হয়ে দাঁড়ায় ৭২/৫। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে এরপর চেন্নাইয়ের ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন শিভাম দুবে। জাদেজা একেবারে খোলসের ভেতরে ঢুকে থাকলেও দুবে সময় বুঝে বাউন্ডারি বের করতে থাকেন। সুয়াশ শর্মার ওপর চড়াও হওয়ার পাশাপাশি বরুনকেও এক হাত নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুবে। অবশ্য শেষ ওভারে গিয়ে বৈভব অরোরার শিকার হয়ে ২৪ বলে ২০ রান করে জাদেজা ফেরায় সেই অর্থে গতি পায়নি চেন্নাইয়ের ইনিংস। ৩৪ বলে ৪৮* রান করে এক অর্থে একাই লড়েছিলেন তাই দুবে। ম্যাচ শেষেও চেন্নাইয়ের সংগ্রহটাকে মামুলি বানিয়েই জিতেছে কলকাতা।