• আইপিএল ২০১৬
  • " />

     

    মুস্তাফিজকে নিয়ে হায়দরাবাদের ইতিহাস

    মুস্তাফিজকে নিয়ে হায়দরাবাদের ইতিহাস    

    রোমাঞ্চকর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। আর টুর্নামেন্টটিতে প্রথমবার অংশগ্রহণেই সে শিরোপার স্বাদ পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেটে ২০৮ রান করে হায়দ্রাবাদ। জবাবে ২০ ওভার শেষে ব্যাঙ্গালুরুর সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২০০ রান। বল হাতে তুলনামূলক হিসেবি থেকে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন শেন ওয়াটসনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি।

     

     

    কোহলি-গেইল-ভিলিয়ার্সদের ব্যাটিং লাইন আপের সামনে হায়দ্রাবাদের ২০৮ রানও যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছিল না। দাপুটে শুরুতে সেটাই যেন আরও প্রকটভাবে সত্য বলে প্রমাণ করতে শুরু করেছিলেন গেইল-কোহলিরা। পাঁচ ওভার শেষ না হতেই ব্যাঙ্গালুরুর রান বিনা উইকেটে পঞ্চাশ পেরোলো। আসল দিনে জ্বলে ওঠা ক্রিস গেইল হয়তো শতকও দেখছিলেন। হল না অবশ্য, কাটিংয়ের অফ কাটারে পরাস্ত হয়ে ফিরে গেলেন ব্যক্তিগত ৭৫ রানে, মাত্র ৩৮ বল থেকে ৪ চার, ৮ ছয়ে। তবে তখনও ম্যাচ কার্যত ঝুঁকে ব্যাঙ্গালুরুর দিকেই, ৫৭ বলে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ৯৫ রান। কোহলির সাথে যোগ দিয়েছেন আরেক রানমেশিন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু হায় চিত্রনাট্য অমন হবে কে জানতো! পরপর দু' ওভারে ফিরে গেলেন এ দু'জনই। অর্ধশতক করেই স্রানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন কোহলি, ভিলিয়ার্সকে ফেরান বিপুল শর্মা।

     

    ৬ ওভারে দরকার ৬০ রান। উইকেটে থাকা ওয়াটসন-লোকেশরাও পারতেন জয় বের করে নিতে। কিন্তু দিনটাই যে ব্যাঙ্গালুরুর নয়। রাহুলকে কাটিং বোল্ড করার  পর ওয়াটসনকে কাটারে পরাস্ত করেন মুস্তাফিজ। বাকিটা ফিজ আর ভুবনেশ্বরের 'ডেথ কেমিস্ট্রি'। ৮ রান দূরেই তাই থেমে গেলো ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। 

     

    এর আগে ওয়ার্নার-ধাওয়ানের ঝড়ো সূচনা পুঁজি করে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে হায়দ্রাবাদ। ধাওয়ান ২৮ রানে আউট হলেও ওয়ার্নার ফেরার আগে ৩৮ বল থেকে ৮ চার, ৩ ছয়ে করেন ৬৯। ওটা পুঁজি করে যুবরাজ আর বেন কাটিংয়ের দুটো 'ক্যামিও' হায়দ্রাবাদের সংগ্রহ পৌঁছে দেয় ২০৮-এ। যুবরাজ ২৩ বলে ৩৮ আর কাটিং ১৫ বল থেকে করেন অপরাজিত ৩৯ রান। এরপর বল হাতেও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বেন কাটিংই।