• বাংলাদেশ-পাকিস্তান
  • " />

     

    মিরাজের ফাইফারে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    মিরাজের ফাইফারে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের    

    ২য় টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি (টস - বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
    পাকিস্তান - ২৭৪, ১ম ইনিংস (সাইম ৫৮, শান ৫৭, সালমান ৫৪, মিরাজ ৫/৬১, তাসকিন ৩/৫৭, সাকিব ১/৩৪)
    বাংলাদেশ - ১০/০, ১ম ইনিংস (সাদমান ৬*,  শাহজাদ ০/১)
    ২য় দিন, স্টাম্পস
    বাংলাদেশ ২৬৪ রানে পিছিয়ে


     

    বৃষ্টিতে পুরো একটা দিন ভেসে যাওয়ার পর ম্যাচে ফল আসবে কি না সেরকম কোনো শঙ্কা থেকে থাকলেও দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েই পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিয়ে সেই সম্ভাবনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনের হতাশা ভুলে বল হাতে দারুণ দুটো সেশন কাটিয়েছে পরে বাংলাদেশ। ক্যাচ মিস, ভুল রিভিউয়ের মহড়ায় নিজেদের ব্যাটিংয়ে নামার সময়টা প্রলম্বিত হলেও মিরাজের ফাইফারে দিনটা বাংলাদেশের হয়েই থেকেছে।

    দিনের শুরুটাই হয়েছিল উইকেট দিয়ে। প্রথম ওভারের শেষ বলেই ভেতরে ঢোকা বলে আবদুল্লাহ শফিকের স্টাম্প তার রানের খাতা খোলার আগেই উপড়ে ফেলেন তাসকিন। তবে সেখান থেকে নিজেদের সামলে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। অধিনায়ক শান তো রীতিমত ওয়ানডে মেজাজে খেলছিলেন। বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত প্রান্ত বদল করে ফিফটি পেয়ে যান প্রথম সেশনেই, সেটাও মাত্র দুটো বাউন্ডারিতে প্রায় বল প্রতি!

    ওই সেশনে ৯৯ রান তোলা পাকিস্তান দ্বিতীয় সেশনেই খেই হারাতে শুরু করে। সেই পথটাও তৈরি করেন মিরাজ, এই দুই বাঁহাতিকে ফিরিয়ে। লাঞ্চের পরপরই ৫৭ রানে থাকা শানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এরই মধ্যে ফিফটি পেয়ে যাওয়া সাইম কিছুক্ষণ পর মিরাজকে বেরিয়ে এসে খেলতে গেলেও স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে থামেন ৫৮ রানে। পরের ওভারেই উইকেটে আসা সৌদ শাকিল ফিরতে পারতেন; তবে রানার বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ। অবশ্য পরে আক্ষেপের সুযোগ থাকেনি, তাসকিন আরও একবার স্টাম্প উপড়ে ফেললে কিছুক্ষণ পরেই শাকিল ফেরেন ১৬ রানে। সেশন শেষের কিছু আগেই সাকিবের আর্ম বল পড়তে না পেরে বাবর ৩১ রানে এলবিডব্লিউর শিকার হলে সেশনে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

    অথচ পরের সেশনে দ্রুতই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারত বাংলাদেশ। পারেননি যেই আঘা সালমানের কারণ, সেই তিনি বাবরের ফেরার দুই বল পরেই জাকিরের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। পরে সালমান মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। অন্য প্রান্তে অবশ্য ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ। দারুণ স্পেলের পরিক্রমায় রিজওয়ানকে স্লিপে তালুবন্দি করিয়ে ফল পান রানা। এরপরেও বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভুগিয়েছে বেশ, আগেই রিভিউ হারিয়ে বসায় আবেদন করতে পারেনি নিশ্চিত আউটেও।

    তবে বিচলিত না হয়ে এরপর মিরাজ দেখান নিজের জাদু। সুযোগ পাওয়া খুররম মিড অফে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজের শিকার হয়ে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পেরে এরপর মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন আলীও। ফিফটির পরপর তাই রান বাড়াতেই তাসকিনের বাউন্সার মাঠ ছাড়া করতে গেলে ডিপে সাকিবের দারুণ ক্যাচে সালমান থামেন ৫৪ রানে। বেরিয়ে এসে খেলতে যাওয়া আবরারকে থামিয়ে টেস্টে নিজের দশম ফাইফারে এরপর পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানতে বেশি দেরি করেননি মিরাজ। পরে বাংলাদেশ দুই ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে কোনো উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করেছে।