• " />

     

    ব্রিস্টলে বৃষ্টিরই রাজত্ব!

    ব্রিস্টলে বৃষ্টিরই রাজত্ব!    

    এই ভেন্যুতে একটা সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে ওয়ানডেতে হারানোর চক্রপূরণ করেছিল বাংলাদেশ। ব্রিস্টল এরপর অপেক্ষা করে ছিল বছর চারেক, আরেকটি ওয়ানডে দেখার জন্য। ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সেই ম্যাচটা মাঠে নামার আগেই মারা গিয়েছিল, বৃষ্টিতে ভেসেছিল সেই ম্যাচ! 

    দুই বছর পর ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ফিরলো ওয়ানডে। আবারও সেই বৃষ্টিরই রাজত্ব! পার্থক্য, এবার প্রথম ইনিংস পূর্ণ হলো, দ্বিতীয় ইনিংসের চার ওভারও। এরপরই বৃষ্টির বাধা, শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্তই হয়েছে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ানডে। 

    তবে সবকিছু চলছিল 'নিয়ম মেনেই'। এওইন মরগান টসে জিতলেন, বোলিং নিলেন। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়লো। মিডল অর্ডার সেটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করলো মেন্ডিস, চান্ডিমাল, ম্যাথুসের ফিফটিতে। লেট মিডল অর্ডারে থারাঙ্গা রান পেলেন, ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। ওপেনিংয়ে ১৩টি সেঞ্চুরি করা থারাঙ্গা কেন এত নীচে খেলছেন, সেই প্রশ্নটা উঠছেই তাই! 

     

     

    লিয়াম প্লাঙ্কেট ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট পেরিয়ে গেছেন, এ ম্যাচে তিনটি দিয়ে। অভিষেকের প্রায় ১১ বছর পর 'ফিফটি' করলেন আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে নায়ক বনে যাওয়া ইংলিশ পেসার। সঙ্গে ওকসের তিনটি, উইলির তিনটি, মঈন আলীর বদলে সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া ক্রিস জর্ডানের ভাগেও একটি। শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে করতে পারলো ২৪৮, ৯ উইকেটে। 

    সুরাঙ্গা লাকমাল অবশ্য আগের ম্যাচের মতো হেলস-রয় রাজত্ব গড়ে উঠতে দেননি। তৃতীয় বলেই ইংলিশ ওপেনারকে চান্ডিমালের ক্যাচ বানিয়ে উপহার দিয়েছেন 'গোল্ডেন-ডাক'। প্রথম বল খেলতে গিয়েই আউট হওয়ার অভিজ্ঞতা হেলসের জন্য এটি দ্বিতীয়। বৃষ্টি নামায় উঠে আসতে হয়েছে রুট-রয়কে। গত গ্রীষ্ম অসাধারণ কাটানো রুট তাই সুযোগ পাননি, এবারের 'রানখরা' কাটাতে। 

    ২৯ জুন ওভালে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।