• ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    সেঞ্চুরি ৩, সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ স্কোর ১৬!

    সেঞ্চুরি ৩, সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ স্কোর ১৬!    

    রসটন চেজকে ছয় মেরে উল্লাসে মাতলেন। পূজারাকে জড়িয়ে ধরলেন, ব্যাটটা উঁচু করে ধরলেন ড্রেসিংরুম পানে। ষষ্ঠ টেস্টে তৃতীয় সেঞ্চুরি লোকেশ রাহুলের। প্রথম সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, গত বছর সিডনিতে করেছিলেন ১১০ রান। তার পরের সেঞ্চুরিটি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, কলম্বোতে ১০৮ রান। লোকেশ রাহুলের পরের সর্বোচ্চ স্কোর ১৬! রাহুল যখন ১৬ রানের কোঠা পার হন, সেঞ্চুরিই করেন!

    অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে কিংস্টন টেস্টে তাঁর খেলার কথাই নয়! মুরালি বিজয়ের চোটে সুযোগ পেলেন, সুযোগটা কাজে লাগালেন কী দারুণভাবে! মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের পর তিনিই দ্বিতীয় ভারতীয়, যিনি নিজের প্রথম তিন ফিফটিকেই সেঞ্চুরিতে রুপ দিলেন। রাহুল ও আজহারউদ্দীন ছাড়া এমন কীর্তি আছে আর নয়জনের।

     

    বোপারা- 'ফিফটি'তেই থামার সুযোগটা পাবেন? 

    ফিফটি নেই, তবে সেঞ্চুরি আছে, এমন ব্যাটসম্যান আছেন ৪৭ জন। বাংলাদেশী তিনজন, আবুল হাসান, শামসুর রহমান ও সোহাগ গাজী। দুইটি করে সেঞ্চুরি আছে, কিন্তু ফিফটির কলাম শুন্য, এমন ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ৫।

    আর ফিফটির ঘরে শুন্য মেরে তিনটা সেঞ্চুরি মেরেছেন, রাহুল বাদে এমন ব্যাটসম্যান আপাতত শুধুই রভি বোপারা। সেঞ্চুরি বাদে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৪৪। এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান ফিফটির ঘরটা পূর্ণ করতে পারবেন কিনা, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে! 

    আজহার মেহমুদের অবশ্য ‘ফিফটি-আক্ষেপ’ নেই, একটা ফিফটি তো আছে! সাবেক পাকিস্তানী অলরাউন্ডারের আবার তিনটি সেঞ্চুরি! দুইটি করে ফিফটি, আর তিনটি সেঞ্চুরি আছে চারজনের। ম্যাথু সিনক্লেয়ারের কথাটাও বলা যায়। সাবেক কিউই ব্যাটসম্যানের ফিফটি চারটি, সেঞ্চুরি তিনটি। কিন্তু দুইটিই আবার ডাবল সেঞ্চুরি!

    সেঞ্চুরি সংখ্যা বিবেচনায় ফিফটিকে সবচেয়ে বেশী সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করা ব্যাটসম্যান ইউনুস খান। ৬১টি ফিফটি পেরুনো স্কোরের মধ্যে ইউনুসের সেঞ্চুরিই ৩১টি। অবশ্য স্যার ডনের রেকর্ডটা না বললেও নয়! ফিফটির কলামে ১৩ নাম্বার থাকা ‘দ্য ডন’ এর সেঞ্চুরি সংখ্যা যে ২৯!