• শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    "সাঙ্গা-মাহেলার উচ্চতাতেই দিলশান"

    "সাঙ্গা-মাহেলার উচ্চতাতেই দিলশান"    

    ২০০৯ সালের আইপিএলের দিল্লী ডেয়ারডেভিল- ডেকান চার্জারসের ম্যাচ। ডেকানের উইকেটকিপার গিলক্রিস্টের মাথার উপর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন দিল্লীর ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান। ওই শটের নামই হয়ে গেল দিলস্কুপ।

    সেই দিলশান আজ ক্যারিয়ায়রের শেষ ওয়ানডে খেলতে নামছেন। এবার দলে দিলশানের অবদানকে লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনের সাথে তুলনা করেছেন তিনি।

    তুলনা অবশ্য করাই যায়! দিলশানের রেকর্ডও  তাঁর পক্ষেই কথা বলবে। শ্রীলংকার ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসাবে তিনি একদিনের ম্যাচে ১০ হাজার রানের মালিক, সেঞ্চুরি আছে ২২ টি, বল হাতে নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। ম্যাথিউস তাই প্রশংসার বন্যায় ভাসালেন সতীর্থকে, “গত ১৭ বছর ধরে সে খেলছে। দেশের জন্য তাঁর অবদান আপনারা সবাই জানেন। মাহেলা এবং সাঙ্গার মতোই সে নিজের ব্যাটিং দিয়ে দলকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে গেছে। কিন্তু সবকিছুরই তো শেষ আছে। আমরা তাঁর বিদায় বলার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।”

    যাদের সাথে তুলনা, সেই জয়াবর্ধনে এবং সাঙ্গাকারাও দিলশানের বিদায়ের মুহূর্তে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টুইটে। দারুণ একটি বিদায় সংবর্ধনা আশা করছেন তাঁরা। সাঙ্গাকারা নিজের টুইটে আরও বলেন, “সনৎ জয়াসুরিয়ার পর দিলশানই লঙ্কান দলের সেরা ম্যাচ উইনার।”

    বিশ্বকাপজয়ী অর্জুনা রানাতুঙ্গাও অভিনন্দন জানিয়েছেন দিলশানকে, “একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও সে নিজেকে ওপেনার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিন ফরম্যাটেই তাঁর রেকর্ড অসাধারণ। দারুণ ফিল্ডিং, বুদ্ধিমান বোলার হিসাবে তাঁর বিকল্প পেতে কষ্ট হবে। ম্যাচের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারত সে, তাঁর সেই দিলস্কুপ তো খুবই জনপ্রিয়। তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা রইল।”

    টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৩ সালে। আজ শেষ একদিনের ম্যাচে ডাম্বুলায় ব্যাট হাতে নেমে দিলশানের চোখটা বোধহয় একটু ঝাপসা হয়ে আসবে। আবেগ ধরে রেখে কী শেষবারের মতো দিলস্কুপে নাস্তানাবুদ করতে পারবেন অজি বোলারদের?