• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    লয়েড-ইনজামামদের পাশে মোসাদ্দেক

    লয়েড-ইনজামামদের পাশে মোসাদ্দেক    

    ইনজামাম উল হক, ক্লাইভ লয়েড... মোসাদ্দেক হোসেন। তিনজনের মধ্যে মিলটা খুঁজে বের করুন তো? পারছেন না? এবার পার্থ দেশাই, কেনেথ কামুকা, অ্যান্ড্র ম্যাথিয়েনসেন... এঁদের সঙ্গে মোসাদ্দেকের মিল কী বলুন তো? প্রশ্ন করতেই পারেন, এই তিনজন আবার কাঁরা? এঁদের সবার মধ্যে একটা মিল আছে, সবাই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন।

    মোসাদ্দেকের জন্য কীর্তিটা আরও বড় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে তিন সংস্করণ মিলেই কেউ প্রথম বলে উইকেট পাননি।  আকজ আফগানিস্তানের সঙ্গে নিজের প্রথম বলেই মোসাদ্দেক ফিরিয়ে দিলেন আগের ম্যাচের আলো ছড়ানো শহীদীকে। অথচ ওয়ানডেতে এর আগে প্রথম বলে উইকেট পেয়েছেন ২২ জন, এর মধ্যে কানাডা, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়ার মতো দলও আছে। কানাডার আবার দুজনের সেই রেকর্ড আছে।

    প্রথমবার সেটি করেছিলেন জিওফ আরনল্ড, ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন। পরের বছর ক্লাইভ লয়েড গড়লেন সেই কীর্তি। ওভালে নিজের প্রথম বলেই আউট করেছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যাণ্ড্রু স্মিথকে।তবে ইনজামামের প্রথম কীর্তিটাই সবার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভবত বড়। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ব্রায়ান লারাকে আউট করা তো সব বোলারেরর স্বপ্ন। সেখানে ইনজামামের জন্য সেটি এর চেয়েও কিছু বেশি! মোসাদ্দেকের মতো ইনজামামের অবশ্য সেটি অভিষেক ম্যাচে ছিল না।

    বোলিংটা মূল কাজ নন, এরকম আরও অনেকের আছে এই কীর্তি। সদাগোপন রমেশ, ওয়াভেল হাইন্ডস, মার্টিন ফন জার্সফেল্ডরা কেউ বোলারই নন। আবার অনেক বোলারই শুরুটা দারুণ করেও পরে হারিয়ে গেছেন। ফিদেল এডওয়ার্ডস ক্যারিয়ারের প্রথম বলে তো বটেই, প্রথম ওয়ানডেতেই নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। কিন্তু তিনিও পরে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন।

    মজার ব্যাপার, এই তালিকায় গ্রেট বোলাররা মোটামুটি বিরল। অস্ট্রেলিয়ার মরিস টেট ও নাথান লায়ন টেস্টে পরে মনে রাখার মতো কিছু করতে পেরেছিলেন।  টেস্টে এমন কীর্তি আছে ২০ জনের, টি-টোয়েন্টিতে আরও ১২ জনের।

    ও হ্যাঁ, বাংলাদেশের বিপক্ষেও একবার এই কীর্তি আছে। ২০০২ সালে ফন জার্সফেল্ড ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই আউট করেছিলেন বাংলাদেশের তালহা জুবায়েরকে।