• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    বাংলাদেশের শেষের আফসোস

    বাংলাদেশের শেষের আফসোস    

    শুরুটা হয়েছিল মোহাম্মদ নবীর মেডেন দিয়ে। তামিম ইকবালের একটা ক্যাচ মিস এরপর, আফগান অধিনায়ক আসগার স্ট্যানিকজাই মিড-অনে মিস করলেন একট ‘লোপ্পা’ সু্যোগ। ইনিংসে সবচেয়ে বড় আক্কেল সেলামীটা আফগানদের দিতে হলো এ কারণেই। তামিম ইকবাল করলেন ক্যারিয়ারের ৭ম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

     

    এর আগে সৌম্য আবার হতাশ করেছেন, ১১ রান করে দিয়েছেন ক্যাচ। ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তনে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তিনে নেমেছেন সাব্বির, টোটকাটা কাজেও দিয়েছে। তামিমের সংগে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান, সাব্বির ৬৫ রানে নিয়ন্ত্রনহীন এক শটে ক্যাচ দিয়েছেন নওরোজ মংগলকে রহমত শাহর বলে।

     

    রহমত শাহর করা ৩৮তম ওভারে তামিম একাই নিয়েছেন ১৬ রান। লং-অন দিয়ে প্রথমে ছয়ের পরের বলেই লং-অফ দিয়ে আরেকটি। তবে সে ওভারেই স্লগ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন। সে যাত্রায় বাঁচলেও পরের ওভারে মোহাম্মদ নবীর হাতে বাঁচেননি। লং অফ দিয়ে মারতে গিয়ে হয়েছেন ক্যাচ।

     

    তামিম আর সাকিবের ৪৫ রানের জুটি ভেংগেছে, এরপর উইকেট পড়েছে নিয়মিত। সাকিব জাদরানের বলে শাহজাদকে ক্যাচ দিয়েছেন, পরের ওভারেই মুশফিককে এলবিডাব্লিউ করেছেন রশীদ খান। পরের ওভারেই এই লেগস্পিনারের অসাধারণ এক বলে হার মেনেছেন আগের ম্যাচে দারুণ অভিষেক করা মোসাদ্দেক হোসাইন। হয়েছেন স্ট্যাম্পড।

     

    ২৩ রানে ৪ উইকেটের চাপটা একটু হলেও সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহর ক্যামিওতে। প্রথম ১২ বলে ৫ রান করা তিনিই করেছেন শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৩২ রান। পুরো সিরিজজুড়েই রশীদ খানকে খেলতে অস্বস্তিতে ভুগেছে বাংলাদেশ, এদিন প্রথমে স্বস্তিতে খেললেও বাংলাদেশের স্কোরটা আরও বড় না হওয়ার পেছনে তো বড় হাতটা তাঁরই। কম যায়নি নবীর অফস্পিনও। রশীদের ৩৯ রানে ২ উইকেটের পাশাপাশি নবী নিয়েছেন ৪১ রানে ২ উইকেট।