• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    "হারাবার" ম্যাচেও বাংলাদেশের "প্রাপ্তি"

    "হারাবার" ম্যাচেও বাংলাদেশের "প্রাপ্তি"    

    ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য কিছু পাওয়ার না, শুধুই ছিল হারানোর। হেরে গেলেই আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমে আটে চলে যেত, কমে যেত রেটিং পয়েন্ট। কিন্তু জিতলে পয়েন্ট বা অবস্থান, কোনটাই বদলাত না। তবে সংখ্যার হিসেব বাদ দিয়ে শুধু ক্রিকেটীয় বিচারে সামান্য কিছু একটা পাওয়ার হাতছানি ছিল বাংলাদেশের। প্রথম দুই ম্যাচে যেটা পারেনি, দুই দলের শক্তির সেই ব্যবধান মাঠে অনূদিত করে দেখানোয়। সেই কাজটা অন্তত করতে পেরেছে বাংলাদেশ, ১৪১ রানের জয়ে ইংল্যান্ডকে একটা বার্তাও দিয়ে রেখেছে।

    সংখ্যা অবশ্য বলছে, বাংলাদেশের এই জয়টা আর দশটা জয়ের মতো নয়। সেই ১৯৯৮ সালে প্রথম ওয়ানডে জিতেছিল  বাংলাদেশ, এরপর শততম জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও প্রায় ১৭ বছর। একটা সময় টানা পাঁচ বছর যে জয়টা সোনার হরিণ হয়ে ছিল, সেই জয়টা এখন মোটামুটি নৈমিত্তিক হয়ে গেছে। ১০০তম জয় পেতে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, ২০০তম জয় পেতে নিশ্চিতভাবেই অতদূর অপেক্ষা করতে হবে না!

    প্রাপ্তি খুঁজলে আরও পাওয়া যায়। ওই যে, আফগানিস্তানকে ব্যবধানটা বুঝিয়ে দেওয়ার। প্রথম ম্যাচে দীর্ঘদিনের বিরতির “দোহাই” অনেকেই মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অমন ব্যাটিংয়ের কোনো অজুহাত ছিল না। মাশরাফি কথা দিয়েছিলেন, শেষ ওয়ানডেতে ফিরবে বাংলাদেশ। মাশরাফি কথা রেখেছেন।

    ছোট ছোট আরও কিছু প্রাপ্তি কি নেই? তামিমের জন্য যেমন আজকের ম্যাচটা অনেকদিনই মনে থাকার কথা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন, সেঞ্চুরিতে শুধু সাকিবের সাথে এক সমতলে ছিলেন। আজ আরেকটি সেঞ্চুরিতে সেখানেও “একা” হয়ে গেলেন। সাব্বিরকে তিনে তুলে আনা ইংল্যাণ্ডের সঙ্গে দলীয় কৌশলের বড় একটা অংশ হতে পারে। আর এই সিরিজের “আবিষ্কার” মোসাদ্দেক তো আছেনই। অনেক দিন পরে দলে ফিরে মোশাররফ হোসেনও জানিয়েছেন, এই বয়সেও দরকার হলে তাঁর “সার্ভিস” পেতে পারে বাংলাদেশ। তাসকিনও আভাস দিয়েছেন চেনা ছন্দে ফেরার। মাশরাফির চোটই শুধু এত কিছুর মধ্যে অস্বস্তির একটা কাঁটা হয়ে থাকতে পারে।

    ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বাংলাদেশের রোদেলা আকাশে ওই একটাই অশনী সংকেত।