• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    ইতিহাস গড়লেন কোহলি

    ইতিহাস গড়লেন কোহলি    

    বিরাট কোহলির রান তখন ১৯৯। কিন্তু তাঁর চেয়ে ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা রাহানের উত্তেজনাটা মনে হয় একটু বেশিই কাজ করছিল! পরপর দুই বলে অহেতুক রান নেয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন কোহলি। অবশেষে পরের বলটি ডীপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে রান নেন, পূর্ণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে করলেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি, সেটিও আবার একই বছরে। কোহলি- রাহানের জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে বড় সংগ্রহ করেছে ভারত। দ্বিতীয় দিনশেষে ভারতের চেয়ে ৫২৯ রানে পিছিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড।

    ৩ উইকেটে ২৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে কোহলি-রাহানে জুটি। গতকাল দুপুর থেকেই একসাথে ক্রিজে আছেন, কিউই বোলাররা যেন কিছুতেই তাদের আউট করার উপায় বের করতে পারছিলেন না। টিভি স্ক্রিনে বারবার রোহিত শর্মাকে দেখা যাচ্ছিল, গতকাল লাঞ্চের পর থেকেই তাঁকে প্যাড পড়ে বসে থাকতে হয়েছে ডাগআউটে! তাঁর অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়েছে আজ। চোখ ধাঁধানো শট, বুদ্ধিদীপ্ত রানিং বিটউইন দা উইকেট; এই জুটির ব্যাটিং মনে করিয়ে দিচ্ছিল শচীন, দ্রাবিড়দের কথা।

    এই বছরটা দারুণ কেটেছে কোহলির। তিন ফরম্যাটেই রানের বন্যা বইয়েছেন। মাত্র ৫টি ওয়ানডেতে করেছেন ২ টি সেঞ্চুরি, আইপিএলেও আছে ৪ টি। এই বছরেই ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। লাঞ্চের পরেই নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতের অধিনায়ক। এক বছরে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করা মাত্র পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হলেন কোহলি। এর আগে ভিনোদ কাম্বলি ১৯৯৩ সালে, রাহুল দ্রাভিদ ২০০৩ সালে , শচীন টেন্ডুলকার ২০০৪ ও ২০১০ সালে ও ভিরেন্দর শেবাগ ২০০৮ সালে দুবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। সব মিলিয়ে অধিনায়কত্বের ১৭ টেস্টে কোহলির সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ৬। সবটুকু আলো কোহলি কেড়ে নিলেও অপর প্রান্তে থাকা অজিঙ্কা রাহানেও তুলে নেন নিজের ৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি।

    ৩৬৫ রানের জুটি ভাঙেন জিতান প্যাটেল। ২১১ রানে কোহলিকে ফিরিয়ে দেন, অসাধারণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কিন্তু রাহানের ডাবল সেঞ্চুরিটা অধরাই থেকে যায়। ১৮৮ রানে বোল্টের বলে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫ উইকেটে ৫৫৭ রানে প্রথন ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। রোহিত শর্মার ৫১ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

    কিউই ইনিংসের শুরুতেই বোলিংয়ের সময় জাদেজার পিচে হাঁটার অভিযোগে পেনাল্টি হিসাবে ৫ রান যোগ হয়। গাপটিল-লাথাম জুটি কোন বিপদ ছাড়াই দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন। কোন উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।