প্রথম সব তিন অংক
দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন আজহার আলি। ক্রিকেটের তিন অঙ্কের এমন আরও কিছু ‘প্রথম’…..
টেস্টে প্রথম
সেঞ্চুরি
চার্লস ব্যানারম্যান(অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার টেস্টের প্রথম বলটা খেলেছিলেন, ইতিহাসের প্রথম টেস্টেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। ব্যানারম্যান করেছিলেন ১৬৫, অস্ট্রেলিয়া অল-আউট হয়েছিল ২৪৫ রানে। মানে পুরো দলের প্রায় ৬৭ শতাংশ রান করেছিলেন তিনি একাই! হয়তো করতেন আরও, তবে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ‘আহত অবসর’ নেয়া ব্যাটসম্যানও তাই ব্যানারম্যান!
ডাবল সেঞ্চুরি
বিলি মারডোখ(অস্ট্রেলিয়া)
তাঁর নাকি একটা ভাল পিচ আর রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া লাগতো ব্যাটিংয়ের জন্য! হয়তো তাই। তবে যেদিন ব্যাটিং করতেন, অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক করতেন নিজের মতো করেই! ১৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে একটা ফিফটি, দুইটা সেঞ্চুরি। দুই সেঞ্চুরির একটা অপরাজিত ১৫৩। আরেকটা ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২১১। দুইটা ইনিংসই মারডোখ খেলেছিলেন ওভালে।
ট্রিপল সেঞ্চুরি
অ্যান্ডি স্যান্ডহাম(ইংল্যান্ড)
প্রথম সেঞ্চুরি, প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি দুই অস্ট্রেলিয়ানের। প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় ৫৩ বছর! যিনি করেছিলেন, তাঁর প্রথম পরিচয়, জ্যাক হবসের ওপেনিং সঙ্গী! প্রথম শ্রেণিতে ১০৭টা সেঞ্চুরি আছে অ্যান্ডি স্যান্ডহামের। ১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুইটি সেঞ্চুরি, মারডোখের মতো একটি ‘ড্যাডি হান্ড্রেড’ আর আরেকটি তো সেই বিখ্যাত ট্রিপল! সেই ইনিংসও তিনি খেলেছিলেন অধিনায়কের লম্বা হাতলের ব্যাট আর আরেক সতীর্থের জুতা ধার করে! ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জ্যামাইকায় প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাত নম্বরে নেমে করেছিলেন ৫০। দীর্ঘ ৪৪ বছর যা ছিল এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড!
কোয়াড্রপল সেঞ্চুরি
ব্রায়ান লারা(ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
দশ বছর সর্বোচ্চ ইনিংসের চূড়ায় ছিলেন, সেটা কিনা ভেঙ্গে দিলেন ম্যাথু হেইডেন! ব্রায়ান লারা আবার শীর্ষে উঠতে সময় নিলেন ছয় মাস। উঠলেন আরও উঁচুতে! ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে সেন্ট জনস-এ করলেন টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ‘কোয়াড্রপল’ সেঞ্চুরি! এই ভেন্যুতেই, এই প্রতিপক্ষের সঙ্গেই দশ বছর আগে স্যার গ্যারি সোবার্সকে টপকে টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হয়েছিলেন ক্যারিবীয় রাজপুত্র!
ওয়ানডেতে প্রথম
সেঞ্চুরি
ডেনিস অ্যামিস(ইংল্যান্ড)
ইতিহাসের প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি হয়েছিল, ওয়ানডেতে হয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। ২২৩ রানের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের, অ্যামিস করেছিলেন ১০৩ রান। সেটি ছিল আবার তাঁর প্রথম ওয়ানডে, অভিষেকে ওয়ানডেতেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যানও তাই তিনিই!
ডাবল সেঞ্চুরি(দিবা-রাত্রিরও)
শচীন টেন্ডুলকার(ভারত)
কতোজন কাছ থেকে ঘুরে এলেন। হবো হবো করেও যেন ওয়ানডের ডাবল সেঞ্চুরিটা আর হয় না ওয়ানডেতে! সে আক্ষেপ মেটালেন এমন একজন, যাঁর আবার টেস্টেই ট্রিপল সেঞ্চুরির ‘আক্ষেপ’ রয়ে গেছে! ভারতের ব্যাটিং ‘ঈশ্বর’ গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডেতে করেছিলেন ঠিক ঠিক ২০০ রান, অপরাজিত!
দিবা-রাত্রির সেঞ্চুরি
জিওফ বয়কট(ইংল্যান্ড)
টেস্টের মতো ওয়ানডেকে রাতে খেলতে এতো অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৫তম ওয়ানডেটাই হয়েছিল দিবা-রাত্রির। ৭৯তম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন জিওফ বয়কট, দিবা-রাত্রির ওয়ানডেতে প্রথম! বিখ্যাত ইয়র্কশায়ারম্যানের ৩৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি ওই একটিই! অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১০৫।