• পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    নির্বাচকদের কাছে জবাব চান আজমল

    নির্বাচকদের কাছে জবাব চান আজমল    

    একটা সময় বিশ্বের সেরা স্পিনারদের একজন ছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্যগগনেই নেমে আসে অ্যাকশনের জন্য নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আর এতেই এলোমেলো হয়ে যায় সব। অ্যাকশন শুধরে খেলায় ফিরলেও সাইদ আজমল পাকিস্তান দলে হয়ে পড়েছেন ব্রাত্য। আর সেজন্য সব ক্ষোভ নির্বাচক কমিটির ওপরেই ঝেড়েছেন। আগের রেকর্ডই তাঁকে দলে রাখার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন।

    গত মাসে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে ২০ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাঁর স্পিন জাদুতেই প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে করাচি ব্লুজরা। ৩৯ বছর বয়সী এই স্পিনার এখনো জাতীয় দলে খেলতে ইচ্ছুক। কিন্তু নির্বাচকরা কেনো তাঁকে দলে নিচ্ছেন না সেটা ভেবেই পান না আজমল, “ আমি আসলেই বুঝি না তারা আমাকে কী করতে বলে। তারা যদি আমাকে দলে নিতে না চায় তাহলে সরাসরি বলে দেয়া উচিত। কিন্তু বারবার আমাকে বলা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করতে! আমি মুলতানের টুর্নামেন্টে ২০ উইকেট নিয়েছি, লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলাম। গতবছর ইংল্যান্ডেও আমি টুর্নামেন্ট সেরা বোলার হয়েছিলাম। আমি জানি না এসব কেনো ধর্তব্যের ভিতর পড়ে না।”

    ২০১৪ সালে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অ্যাকশন শুধরে খেলায় ফিরেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে। কিন্তু বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে তাঁর জায়গা হয়নি। বাংলাদেশ সফরে দলে ডাক পেয়েছিলেন, এরপর  আবার দলের বাইরে। স্বভাবতই হতাশা ঘিরে ধরেছে আজমলকে, “ আমার কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। পাকিস্তান দলে এখন অফস্পিনার নেই, আমার মনে হয় দলে এখনো ভুমিকা রাখতে পারব। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর নির্বাচকরা মাত্র একটা সিরিজের জন্য দলে নিয়েছিল আমাকে। তারা আমাকে বলে ঘরোয়া লিগে ভালো করতে। সেখানে আমি কি করেছি তা  সবার সামনে স্পষ্ট, তবুও আমি তাদের কাছে ব্রাত্য। সব বোলারই নিজেদের অ্যাকশনের সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরেছে। শুধু আমিই নেই! মনে হচ্ছে অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলার ব্যাপারটা আমাকে দল থেকে বাদ দেয়ার জন্যই করা হয়েছিল!”

    গুঞ্জন উঠেছে পিসিবি নাকি আজমলকে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে দেবে। তবে এই ব্যাপারটি একেবারেই গুজব বলেই জানান, “আমার বিদায়ী ম্যাচের ব্যাপারে পিসিবির কারো সাথেই কথা হয়নি। আমি তো এই ব্যাপারে ভাবিইনি! আমি এখনো খেলতে চাই। আমি মিডিয়াকে শহীদ আফ্রিদির বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে বলেছিলাম, তারা আমার নামটা জুড়ে দিয়েছে!”

    ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে সাবেক এই এক নম্বর বোলার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন না আর। টেস্ট খেলারও ইচ্ছা নেই তাঁর। কিন্তু অন্য দুই ফরম্যাটে খেলে যেতে চান আরও কিছুদিন, “আমার সব মনোযোগ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দিকে। আমার আত্মবিশ্বাস আছে, আমি এখনো এই দুই ফরম্যাটে ভালো খেলতে পারব। আমি ঘরোয়া সব লিগেই ভালো খেলতে চাই। আশা করি জাতীয় দলে আবার ফিরব।