• পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    ব্রাভো বাধা টপকে পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর জয়

    ব্রাভো বাধা টপকে পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর জয়    

    বোলার ইয়াসির, নাকি ফিল্ডার ইয়াসির। কার কৃতিত্ব বেশী ছিল আসলে ড্যারেন ব্রাভোর উইকেটটিতে! ড্রাইভ করতে গিয়ে গড়বড় হয়ে গেল ব্রাভোর, বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিলেন ইয়াসির। উল্লাসে মাতোয়ারা পাকিস্তান, হতাশ ব্রাভো, হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অনেক্ষণ ধরে লড়ে যাওয়া ইনিংসটা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা জোগাচ্ছিল অন্যরকম কিছুর, আর পাকিস্তানকে দিচ্ছিল এক অন্যরকম শঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অন্যরকমের আনন্দটা শেষ পর্যন্ত পায়নি, নিজেদের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ৫৬ রানে জিতে বরং সে আনন্দ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান।

     

    ২৪৮ রান, হাতে আট উইকেট। টেস্টের শেষদিন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাজটা ছিল কঠিনই। কঠিন কাজটাই করা শুরু করেছিলেন ড্যারেন ব্রাভো, প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করা ব্রাভো রসটন চেজকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে গড়লেন ৭৭ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার সেই শুরু, সেই আশার পালে আরও জোর হাওয়া লাগলো জ্যাসন হোল্ডারের সঙ্গে ব্রাভোর ৬৯ রানের জুটিতে।

     

    ব্রাভো সেঞ্চুরি পেলেন, যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন জ্যাসন হোল্ডার। কিন্তু এরপরই ইয়াসিরের ওই বোলিং-ফিল্ডিং, শেষতক হোল্ডারকে সঙ্গ দেয়ার মতোই থাকলো না কেউ! দেবেন্দ্র বিশু এলবিডাব্লিউ হলেন মোহাম্মদ নওয়াজের বলে। হোল্ডার স্ট্রাইক ছাড়বেন কি ছাড়বেন না, এই দোটানায় ভুগেই কিনা রান-আউট হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের দুই সঙ্গী, মিগুয়েল কামিন্স আর শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

     

    এর আগে বলার মতো কিছু করতে পারেননি স্যামুয়েলস, ব্ল্যাকউড বা ডরউইচদের কেউ। আমির নিয়েছেন তিন উইকেট, অভিষিক্ত নওয়াজের প্রাপ্তি দুইটা। যথারীতি মিসবাহর আস্থার জবাব দিয়েছেন ইয়াসির, ৪১ ওভার বল করে, দুই উইকেট নিয়ে।

     

    যার অন্যতম উইকেটটা ব্রাভোর, যিনি ছিলেন পঞ্চম দিনে পাকিস্তান আর জয়ের মাঝের বাধা! সে বাধা টপকে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান, প্রথম ইনিংসে ট্রিপল সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরা আজহার আলি।