• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    "লাল কার্ডটাই টার্নিং পয়েন্ট"

    "লাল কার্ডটাই টার্নিং পয়েন্ট"    

    ন্যু ক্যাম্পে ফেরাটা রীতিমত ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে দাঁড়ালো পেপ গার্দিওলার জন্য। এক হালি গোল হজম করতে হয়েছে তাঁর দলকে। যে মেসিকে নিয়ে এত পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল, সেই মেসিই হ্যাটট্রিক করে বার্সাকে এনে দিয়েছেন বড় জয়। স্বভাবতই এই হারে হতাশ গার্দিওলা, কিন্তু তবুও এটিকে নিজের জীবনের সবচেয়ে খারাপ হার মানতে নারাজ।

     

    সুযোগ পেয়েও কাল কাজে লাগাতে পারেনি সিটি। বার্সার মতো দলের বিপক্ষে গোল না করতে পারলে ফলাফলটা এরকমই হবে বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা, “আসলে যা হয়েছে সেটা আপনাদের সামনেই আছে। আমরা মাঠে নেমে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বার্সার মতো দলের বিপক্ষে গোল না করতে পারলে আপনি ম্যাচ জয়ের আশা করতে পারেন না। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।”

     

    এক হালি গোল খেয়েছে দল। এরকম পরাজয় খুব একটা হজম করতে হয়না তাঁকে। কিন্তু কালকের ম্যাচের পরাজয়টা নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ মানতে নারাজ গার্দিওলা, “এটা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ পরাজয় নয়। বায়ার্নের কোচ হিসাবে মাদ্রিদের বিপক্ষে পরাজয়টাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে পরাজয়। আমি সেই ম্যাচে একাদশ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুই ভুল করেছিলাম।”

     

    গার্দিওলার মতো ব্রাভোও ফিরে এসেছিলেন নিজের পুরনো মাঠে। কিন্তু লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এই ঘটনাকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মানছেন গার্দিওলা, “ব্রাভোর লাল কার্ড দেখার আগে খেলায় সমতা ছিল। কিন্তু তাঁর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরেই পুরো পরিস্থিতি বদলে যায়। এটাই ফুটবল।”

     

    মেসিকে নিয়ে কথা হয়েছিল অনেক। মেসিকে ঠেকানোর কৌশল জানেন গার্দিওলা, এরকম কথাও শোনা গিয়েছিল সিটি ফুটবলারদের মুখে। তবে সবকিছু ভণ্ডুল করে সেই মেসিই ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন সিটি ডিফেন্স। ম্যাচ শেষে গার্দিওলা অভিনন্দন জানিয়েছেন মেসিকে, “সে এরকম আগেও খেলেছে। আজ রাতের হ্যাটট্রিকের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”