• " />

     

    পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন ইতিহাস?

    পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন ইতিহাস?    

     

     গত মৌসুমের পুনরাবৃত্তিই যেন ঘটলো এবারের চ্যাম্পিয়নস লীগে। গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি হয়েছিলো দুইদল। দুই লেগ মিলিয়ে রুদ্ধশ্বাসপূর্ণ এক ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় অ্যাওয়ে গোলের মাধ্যমে। ১ম লেগে ৩-১ এ চেলসিকে হারিয়ে দেয় পিএসজি। কিন্তু পরের ম্যাচে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে ২-০ তে জয় পায় চেলসি। ৮৮ মিনিটে করা সেনেগালিজ স্ট্রাইকার ডেমবা বা এর করা চেলসির ২য় গোলটির ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলে শেষ হয় ম্যাচটি। কিন্তু প্যারিসে গিয়ে চেলসির করা গোলটির কারণে আর চেলসির মাঠে পিএসজি কোন গোল দিতে না পারায় অ্যাওয়ে গোল নিয়মে সেমি ফাইনালে উঠে যায় চেলসি। ওই মহারণের এক বছরও না পেরুতেই প্রতিশোধ নেবার সুযোগ এসে গেছে ফ্রেঞ্চ দল পিএসজির।

     

     

     

    কাগজে – কলমে সামর্থ্য :

    পিএসজি :

     

            ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় নিজের মাঠে খেলা শেষ ৩২ ম্যাচে অপরাজিত আছে পিএসজি। এর মধ্যে রয়েছে ২২টি জয় আর ১০ টি ড্র। নিজেদের মাঠে পিএসজির শেষ পরাজয় ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে। শেষ ১৮ ম্যাচের প্রতিটিতেই তারা ন্যূনতম একটি গোল হলেও করতে সমর্থ হয়েছে। ২০১১ এর ফেব্রুয়ারি মাসে বাতে বরিসভ তাদের বিপক্ষে ক্লিন শিট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছিল। শেষ পাঁচ ম্যাচে পিএসজি জয় পেয়েছে ৩ টি ম্যাচে আর অপর ২ ম্যাচ হয়েছে ড্র। শেষ ম্যাচে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ তে এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা।

     

    চেলসি :

     

     

          

      এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগে অপরাজিত থাকা তিনটি দলের মধ্যে একটি চেলসি। এবার গ্রুপ পর্বে সব দলের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে সবচেয়ে বেশি গোল জড়িয়েছে চেলসি। তারা দিয়েছে মোট ১৭টি গোল। চেলসি স্ট্রাইকার দিদিয়ের দ্রগবা পিএসজির সাথে খেলা ৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৫ টি। যে কোন ফরাসি ক্লাবের সাথে খেলা ১৫টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছেন চেলসি ম্যানেজার জোসে মরিনহো। শেষ পাঁচ ম্যাচে চেলসিও জয় পেয়েছে ৩ ম্যাচে, ড্র ১ টিতে আর বাকি একটিতে হেরে গিয়েছে ২য় বিভাগের দল ব্র্যাডফোর্ড সিটির সাথে, এফ এ কাপের ৪র্থ রাউন্ডে। শেষ ম্যাচে ৯০ তম মিনিটে চেলসি জয় পায় নাছোড়বান্দা এভারটনের বিপক্ষে।

     

     

    ইনজুরির প্রকোপ :

     

     

    পিএসজি :

    ফ্রেঞ্চ ক্যাপিটাল কাপের শেষ ১৬ রাউন্ডের ১ম লেগে কাইনের সাথে ২-২ গোলে ড্র করা ম্যাচের কারণে কপাল পুড়তে পারে পিএসজির। ঐ ম্যাচে ৯ জন নিয়ে শেষ করা পিএসজির মোট পাঁচজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েন। এর মধ্যে লুকাস মোউরা, মারকিনিয়স, সার্জ আউরিয়ের আর ইয়োহান কাবায়ের ইনজুরি গুরুতর হওয়ায় চেলসির সাথে ১ম লেগে খেলতে পারবেন না কেউই।

     

    চেলসি :

            লিভারপুলের সাথে ক্যাপিটাল ওয়ান কাপের সেমিফাইনালে লিভারপুল মিডফিল্ডার এমরে চ্যানকে পদদলিত করার কারণে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকা ডিয়েগো কস্তা ম্যাচের শুরু থেকেই খেলবেন বলে জানিয়েছেন জোসে মরিনহো। এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে হালকা ইনজুরিতে পড়া ব্রাজিলিয়ান অস্কারও ফিরতে পারেন এই ম্যাচে। হাটুর ইনজুরির জন্য খেলতে পারবেন না জন ওবি মিকেল।

     

     

    সম্ভাব্য একাদশ :

    পিএসজি (৪-৩-৩)– সিরিগু, ভ্যান ডার উইল, সিলভা, লুইয, ম্যাক্সওয়েল, মোত্তা, মাতুইদি, ভেরাত্তি, লাভেজ্জি, কাভানি, ইব্রাহিমোভিচ

    চেলসি (৪-২-৩-১)– কোর্তোয়া, ইভানোভিচ, জুমা, টেরী, অ্যাথপিলিকুয়েটা, ম্যাটিচ, ফ্যাব্রিগাস, উইলিয়ান, অস্কার, হ্যাজার্ড, কস্তা