• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    শাস্ত্রীর 'সেরা ভারতীয় অধিনায়কের' তালিকায় নেই গাঙ্গুলি!

    শাস্ত্রীর 'সেরা ভারতীয় অধিনায়কের' তালিকায় নেই গাঙ্গুলি!    

    দুজনের মাঝে ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক না হলেও খুব একটা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কও নেই। এখন তো একটু সুযোগ পেলেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে খোঁচা মারতে দ্বিধাবোধ করেন না রবি শাস্ত্রী। কিছুদিন আগেও মোহাম্মদ শামিকে ‘প্রিন্স অফ কলকাতা’ উপাধি দিয়ে সৌরভ ভক্তদের তোপের মুখে পড়েছিলেন। এবার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ‘দাদা অধিনায়ক’ আখ্যা দিয়ে কি আবারও গাঙ্গুলিকে খোঁচা দিয়েছেন? 

     

    জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলের নিয়োগের পর থেকেই গাঙ্গুলি-শাস্ত্রীর দ্বন্দ্বের শুরু। শামির ওই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই আবারো বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। কিছুদিন আগেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো ধোনিকে ‘দাদা অধিনায়ক’ বলেছেন শাস্ত্রী। যেখানে সবাই ‘দাদা’ বলতে গাঙ্গুলিকেই স্মরণ করে, সেখানে এই নাম ধোনির সাথে জুড়ে দিয়ে আবারো বিতর্ক উসকে দিয়েছেন।

     

    উইজডন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলে ধোনির অবদান নিয়ে কথা বলেন শাস্ত্রী, “ধোনির এই সরে দাঁড়ানো কোহলিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে গুছিয়ে নেওয়ার সময় দিয়েছে। ধোনি তার ক্যারিয়ারে সবকিছুই জিতেছে, তার প্রমাণের কিছুই নেই। সে ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক, তাঁর ধারে কাছেও কেউ নেই। তাঁর পরেই আছেন কপিল দেব, অজিত ওয়াদেকার এবং মনসুর আলী খান পতৌদি। এই তালিকায় আর কাউকে রাখতে পারছি না।”

    বিপত্তি ঘটেছে এখানেই। ২০০০ সালে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেওয়া গাঙ্গুলির নেতৃত্বের জাদুতেই ভারত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল। এছাড়াও ঘরের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও দারুণ খেলেছে দল। শুধু ভারত নয়, গাঙ্গুলিকে বিশ্বের সেরা অধিনায়কদের মাঝে একজন মানা হয়। সেই গাঙ্গুলিকেই ভারতের সেরা অধিনায়কদের তলিকায় রাখেননি শাস্ত্রী! এতে হয়তো ‘দাদা’ ভক্তদের আরেকবার খেপিয়ে তুললেন তিনি।