এমএসএনে সহজ জয় বার্সার
মেসি, সুয়ারেজ,নেইমার। সাথে আরেক সুয়ারেজের করা প্রথমার্ধের গোল। আর তাতেই এইবারকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে থাকা দুই দলের সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকল বার্সেলোনা। এই জয়ের পরও সমান ম্যাচে দ্বিতীয়তে থাকা সেভিয়ার চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এনরিকের দল। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৪৩ পয়েন্টে রিয়াল মাদ্রিদ আছে প্রথমস্থানেই।
বার্সেলোনার হয়ে এদিন দলে ছিলেন না অধিনায়ক ইনিয়েস্তা। এইবারের বিপক্ষে জিততে অবশ্য ইনিয়েস্তার অনুপস্থিতি একেবারেই বাধা হয়ে দাড়ায়নি কাতালানদের জন্য। কিন্তু ম্যাচশেষে এনরিকের চিন্তার কারন হতে পারে বুসকেটসের ইনজুরি। ম্যাচের দশ মিনিটে ইনজুরি নিয়ে মাঠে ছাড়েন বুসকেটস। তার জায়গায় মাঠে নামেন ডেনিস সুয়ারেজ। সুযোগটা কাজে লাগাতেও ভুল করেননি স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। ৩২ মিনিটে সুয়ারেজের দূরপাল্লার কিকে করা গোল ম্যাচে এগিয়ে দেয় বার্সেলোনাকে। বার্সেলোনার হয়ে করা সুয়ারেজের প্রথম গোলটি ছিল মনে রাখার মতোই।
দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিট পেরুতেই সেই লিড দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। সুয়ারেজের বাড়ানো বল পা ছুঁইয়ে ঠেলে দেন এইবারের জালে। এই গোলে মেসির কোনো রেকর্ড না হলেও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ছুঁয়ে ফেলেন একটি মাইলফলক। বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর এটি ছিল তার পঞ্চাশতম অ্যাসিস্ট। এই সময়কালে সুয়ারেজের চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট নেই লা লিগার অন্য কারোরই!
মেসিকে দিয়ে গোল করানোর পর নিজেও অবশ্য গোল করতে বেশি সময় নেননি সুয়ারেজ। সাথে ভাগ বসিয়েছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতায় মেসির নামের সাথেও। ১৫ গোল নিয়ে মেসি-সুয়ারেজ দু'জনই লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে আসে সুয়ারেজের গোলটি।
মেসি, সুয়ারেজের গোলের দিন নেইমারই বা বাদ যাবেন কেন? পুরো ম্যাচেই গোল পেতে পেতেও কেন যেন এই ব্রাজিলিয়ানকে ফেরত আসতে হচ্ছিল খালি হাতেই। অবশেষে একেবারে ৯০ মিনিটে এসেই পেলেন গোলের দেখা। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই গোল করলেন নেইমার। এই মৌসুমে গোলের হিসেবে এটিই নেইমারের সেরা ফর্ম।
বার্সেলোনার জয়ের রাতে জয় পেয়েছে সেভিয়াও। এই ম্যাচের আগে ওসাসুনার বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাম্পাওলির সেভিয়া। তবে অ্যাথলেটিক বিলবাও বাধা টপকাতে পারেনি আরেক আর্জেন্টাইন ম্যানেজার সিমিওনের দল। অ্যাটলেটিকোকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে।