• চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি
  • " />

     

    ৩৩ ম্যাচ পর হ্যাজলউডের রেকর্ডভাঙা "ডায়মন্ড ডাক"

    ৩৩ ম্যাচ পর হ্যাজলউডের রেকর্ডভাঙা "ডায়মন্ড ডাক"    

    শুন্য কি কখনো মূল্যবান হতে পারে? একটা শুন্যের দাম কখনো সেঞ্চুরির মতো দামি হতে পারে? তাও আবার কোনো বল না খেলেই! জস হ্যাজলউডকে জিজ্ঞেস করুন, আরেকটুর জন্য সেই অবিশ্বাস্য কীর্তিটার জন্ম প্রায় দিয়েই দিয়েছিলেন। ৫৪ রানের জুটিতে রান করা দূরে থাক, কোনো বলই খেলেননি। এক প্রান্ত আঁকড়ে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার রূপকথার এক জয়ের সাক্ষী হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো। ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথমবার আধ ঘণ্টা ব্যাট করে কেউ ডায়মন্ড ডাক পেলেন। তার চেয়েও অবিশ্বাস্য, নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো আউট হলেন হ্যাজলউড।

    চোখ কপালে উঠতেই পারে। অনেক দিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে খেলছেন, ৩৪ ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। কিন্তু ব্যাট করার সৌভাগ্য হয়েছে মাত্র সাত ইনিংসে। তার মধ্যে চার বারই কোনো রান না করে অপরাজিত ছিলেন, আর তিন বার অপরাজিত ছিলেন ১১ ও ৫ রান করে। শেষ পর্যন্ত এমন একটা সময় আউট হলেন, যে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়াকে বঞ্চিত করল মহাকাব্যিক এক জয় থেকে। একটা রেকর্ডের মালিকও হয়ে গেছেন সেই সঙ্গে, ওয়ানডেতে প্রথমবার আউট হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন হ্যাজলউডেরই। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার প্যাট্রিক প্যাটারসন প্রথমবার আউট হওয়ার আগে ২৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছিলেন।

    মার্কাস স্টোয়নিসও নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। ওয়ানডে ইতিহাসের স্মরণকালের সেরা ইনিংসগুলোর একটা খেলেও জয় পাননি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, একজন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করেননি, এমন জুটিতে এটাই কি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড? এখানে অবশ্য স্টোয়নিস-হ্যাজলউডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন জয়াসুরিয়া-কালুভিথারানা জুটি। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুজনের ৭০ রানের ওপেনিং জুটিতে কোনো রানই ছিল না কালুভিথারানার!