• চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি
  • " />

     

    টেলর-বোল্টে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

    টেলর-বোল্টে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৮১/৯ (টেলর ১০৭, ব্রোনলি ৬৩, ফকনার ৩/৫৯)

    অস্ট্রেলিয়া  ৪৭ ওভারে ২৫৭ (  ফিঞ্চ ৫৬, স্টোয়নিস ৪২, ট্রেন্ট বোল্ট ৬/৩৩)

    ফলাফল- নিউজিল্যান্ড ২৪ রানে জয়ী 

    ম্যান অফ দা ম্যাচ- ট্রেন্ট বোল্ট



     

    তখনো জয়ের জন্য প্রায় ১০০ রান দরকার, হাতে মাত্র ৩ উইকেট। অজিদের ব্যাটিং লাইনআপের ‘লেজ’ বুক চিতিয়ে লড়ে যাচ্ছে কিউই বোলারদের বিপক্ষে। একের পর এক চার-ছয় মেরে লক্ষ্যটাকে হাতের লাগালে নিয়ে আসছিলেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। এ যেন অকল্যান্ডের সেই ম্যাচের ‘দেজা-ভু’! সেদিন স্টোয়নিস যেটা করতে পারেননি, আজ কি কামিন্স-স্টার্ক তা করে দেখাতে পারবেন? নাহ, তাঁরা পারেননি। শেষ পর্যন্ত আবারো জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ফিরে যেতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে চ্যাপেল হ্যাডলি ট্রফি পুনরুদ্ধার করলো কেন উইলিয়ামসনের দল।

     

    গতদিনের মতো আজও উইলিয়ামসনের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন স্টোয়নিস। ২৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ ও ট্রাভিস হেডের হাফ সেঞ্চুরির পরেও ১৭৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অজিরা। এরপরেই আবারো স্টোয়নিস ঝড়ের শুরু। গতদিনের মতোই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছিলেন তিনি। তবে আজ বেশিক্ষণ তাণ্ডব চালানোর আগেই তাঁকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার, নিউজিল্যান্ডের জয়টা তখন অনেকটাই সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল।

     

     

    কিন্তু কামিন্স-স্টার্কের ছিল অন্য পরিকল্পনা। অষ্টম উইকেটে ৩৩ বলে ৫১ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। স্যান্টনারের এক ওভারে ২০ রান নেওয়ার পর মনে হচ্ছিল, সেদিন স্টোয়নিস যা পারেননি, আজ এই দুজন সেটাই করে দেখাবেন! তবে বোল্টের দুই ওভারেই অজিদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বোল্ট।

     

     

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও রস টেলরের সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। ক্যারিয়ারের ১৬ তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে কিউইদের পক্ষে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা নাথান অ্যাস্টলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। টেলরকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডিন ব্রোনলি। শেষের দিকে স্যান্টনারের ঝড়ো ইনিংস কিউইদের বড় সংগ্রহ এনে দেয়। এই জয়ে আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে ভারতকে সরিয়ে তিন নাম্বার স্থানে উঠে এলো নিউজিল্যান্ড। একই সাথে ঘরের মাটিতে টানা ৮টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের নতুন রেকর্ডও করেছে তাঁরা।