• লা লিগা
  • " />

     

    বার্সাকে 'বাঁচিয়ে' রাখলেন মেসি

    বার্সাকে 'বাঁচিয়ে' রাখলেন মেসি    

    ম্যাচের তখন ৮৮ মিনিট। ন্যু ক্যাম্পে পয়েন্ট তালিকার ১৭ নম্বরে থাকা দলের সাথে ১-১ গোলে সমতায় বার্সেলোনার ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে লজ্জাজনক হারের পর লা লিগার শিরোপা স্বপ্নও ফিকে হয়ে যাবার আশঙ্কা। বার্সার আক্রমণগুলো একের পর এক বিফলভাবে ফেরত আসছে ডিবক্সের বাইরে থেকেই। এমন অবস্থায়ই পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সা! নেইমারকে বক্সের ভেতর ফাউল করার অপরাধে কপাল পোড়ে লেগানেসের। রেফারির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে মেসি ভুল করেননি। ৯০ মিনিটে গোল করে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় এনে দিয়েছেন। বার্সার হয়ে দু'টি গোলই করেছেন মেসি।   

    কষ্টার্জিত সেই গোলের পর অবশ্য উদযাপন করেননি লিও। পিএসজির কাছে হারটা যে দলের জন্য বড় আঘাত হয়েই এসেছে তার প্রমাণ মিলেছে বার্সার অন্যান্য খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায়ও।



    ভালবাসা দিবসে ভালবাসার নগরীতে রীতিমত অপদস্থ হয়েছিল বার্সা। পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে হারায় বিদায়টা প্রায় নিশ্চিত। ওদিকে লিগেও রিয়ালের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। এমতাবস্থায় আজ লেগানেসের বিপক্ষে জেতাটা এককথায় অপরিহার্যই হয়ে উঠেছিল কাতালানদের জন্য। পিএসজির বিপক্ষে অপমানজনক হারের কারণে আজ ম্যাচ জুড়ে নিজ সমর্থকদের থেকেই দুয়ো শুনতে হয়েছে মেসিদের। দল খারাপ খেললেও দায়ভারের সিংহভাগটা চেপেছিল মেসির কাঁধেই। সেই ক্ষোভটাই কি না উগড়ে দিলেন লেগানেসের বিপক্ষে। ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই সুয়ারেজের নিখুঁত ক্রসে পা ছুঁয়ে দলকে লিড এনে দেন মেসি। 

    লিগে নিজের শেষ ১৭ ম্যাচে এটি ছিল মেসির ১৬তম গোল। বার্সায় যোগ দেওয়ার পর থেকে লিগে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট এখন সুয়ারেজেরই। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও বার্সার চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল লেগানেসই। এল ঝার, মান্তোভানিরা সু্যোগের সদ্ব্যবহার করলে লিড নিয়েও প্রথমার্ধটা শেষ করতে পারতো 'লস পেপিনেরোস'রা। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত দক্ষতায় লেগানেসের একাধিক প্রচেষ্টা রুখে দেওয়া টার-স্টেগেনের ভুলেই ৭০ মিনিটে সমতায় ফেরে লেগানেস, উনাই লোপেজের গোলে। 

    রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্তে স্বপ্নভঙ্গ হয় অবনমনের আশঙ্কায় থাকা দলটির। এরপরও অবশ্য হাল ছাড়েনি লেগানেস। ৯৩ মিনিটে এল ঝারের আগুনে শট একটুর জন্য বার্সার গোলের বাইরে দিয়ে গেলে আর সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। জিতলেও সমর্থকদের মনোরঞ্জন করতে না পারায় দুয়ো শুনেই মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের। ২৩ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলো বার্সা। ২১ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ।