• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    হায়দরাবাদ টেস্ট নিয়ে বিসিসিআইয়ের অস্বচ্ছতার অভিযোগ

    হায়দরাবাদ টেস্ট নিয়ে বিসিসিআইয়ের অস্বচ্ছতার অভিযোগ    

    টেস্টটা নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না। টেস্ট অঙ্গনে পা রাখার ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।  তবে ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত সেই ঐতিহাসিক টেস্টকে ঘিরে উঠেছে নানার প্রশ্ন। ম্যাচের টেন্ডারসহ বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছে বিসিসিআই।

     

    লোধা কমিটি নিয়ে ওই টেস্টের কিছুদিন আগে থেকেই টালমাটাল ছিল পুরো বিসিসিআই। ওই পরিস্থিতিতেই আয়োজন করা হয় টেস্টটি। হায়দরাবাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখা হবে না। তবুও ম্যাচের ৩ দিন আগে আদালত বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয় পুরো ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে রাখতে এবং সব টেন্ডার নেওয়ার আগে তাঁদেরকে জানাতে। কিন্তু এর আগেই টেন্ডারের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে গিয়েছিল বলেই হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়াও অন্যান্য অর্থনৈতিক ব্যাপারেও বিসিসিআইকে সেই মুহূর্তে রিপোর্ট করেনি কেউই। এসব নিয়ে তাই খুব একটা খুশি নন বিসিসিআই পর্যবেক্ষক রত্নকর শেঠি, “ হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাজে একেবারেই স্বচ্ছতা ছিল না। টেন্ডারের ক্ষেত্রে কোনো নিলামই  হয়নি, সবখানেই একজন টেন্ডার ফর্ম পূরণ করেছেন। যেমন একটি বিভাগে সঞ্জয় নামের একজন লোকের সাথে প্রতি মাসে ১০ লাখ রুপির চুক্তিপত্র ছিল। কিন্তু একই বিভাগে ম্যাচের সময় আরও অনেকের সাথে চুক্তিপত্র দেখানো হয়েছে।”

     

     

    এছাড়াও টিকেট বিতরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শেঠি, “নরেন্দর গউদ(অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট) নিজেই টিকেটের ব্যাপারটি দেখেছেন। এখানেও অনেক প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। ২৫% এর বেশি ‘ সৌজন্য’ টিকেট বিতরন করা হয়েছে। যেখানে মোট দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৯ হাজার, সেখানে ১১৫০০ টিকেট এভাবেই চলে গিয়েছে। ৫ দিনের খাবারের মূল্যও ধরা হয় ৭৫ লাখ রুপি!”

     

    প্রায় এক মাস আগে শেষ হওয়া টেস্টের এসব ব্যাপারে খুব অবাকই হয়েছেন শেঠি। শুধু টেন্ডার কিংবা টিকেট নয়, অস্বচ্ছতা হয়েছে পুলিশের খাবার খরচ নিয়েও, “প্রতিদিন পুলিশ সদস্যদের জন্য খাবারের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। যখন আমি এসবের কাগজপত্র পুলিশ হাই কমিশনারকে দেখাই তখন তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন টাকার ব্যাপারগুলো দেখে।”

    তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে মুখ খোলেননি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কেউই।