• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    কোহলির দাবি, স্মিথ সীমা অতিক্রম করেছেন

    কোহলির দাবি, স্মিথ সীমা অতিক্রম করেছেন    

    আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দেয়ার পর কেন ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ? এ টেস্টে কি এটাই প্রথমবার? কেন উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি?

    প্রশ্নগুলো এক, তবে দুই অধিনায়কের উত্তরগুলো আলাদা। স্টিভেন স্মিথ বলছেন, তিনি তাঁর সতীর্থদের দিকেই তাকিয়েছিলেন। স্বীকারও করে নিচ্ছেন, ‘আমার এমন করা উচিৎ হয়নি। মাথা ঠিকমতো কাজ করছিল না বলেই এমন হয়েছে তখন।’ নাইজেল লং তাঁকে থামিয়ে দিয়েছিলেন। স্মিথ হাঁটা দিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। দুই আম্পায়ার তখন ব্যস্ত বিরাট কোহলিকে শান্ত করতে। কোহলি যে তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন, স্মিথের ড্রেসিংরুম পানে তাকানোয়!

     

     

     

    কোহলি পরে তাঁর উত্তেজিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, ‘ব্যাটিং করার সময়ও আমি দুইবার এমন হতে দেখেছি। আম্পায়ারদেরকে জানিয়েছিও। স্মিথ যখনোই ফিরে তাকিয়েছে, আম্পায়াররা তাই বুঝে নিয়েছেন কী হচ্ছে। কারণ আমরা গত তিনদিন ধরেই আম্পায়ারদেরকে বলেছি, তাঁরা যা করছে সেটা বন্ধ হওয়া উচিৎ’।

    তবে কোহলির কথাকে মানছেন না স্মিথ, ‘না, আমার মনে হয় প্রথমবার এমন ঘটলো’।

    ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডও কোহলির দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, শুধুমাত্র স্মিথের ঘটনাটাতেই আম্পায়ারদের গোচরে এসেছে।

    স্টিভেন স্মিথ মাঠের এ উত্তেজনাকে মাঠেই রেখে আসতে চান। খুব বেশী কিছু হয়ে গেছে, মানতে চান না সেটাও, 'আমার আর কোহলির মধ্যে শুধুই কথা হচ্ছিল একটু। যেসব ঘটনা ক্রিকেট মাঠে ঘটেই থাকে। মাঝে মাঝে এমন হওয়া ভাল, এসব আলাপচারিতায় মজাই পাওয়া যায়।' 

    তবে কোহলি স্মিথের মতো হালকাভাবে নিচ্ছেন না ঘটনাটিকে, 'ক্রিকেট মাঠে এমন একটা সীমানা আছে, যা অতিক্রম করা যায় না। স্লেজিং আর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলাটা ভিন্ন। আমি নিজে কখনোই ক্রিকেট মাঠে এমন কিছু করবো না। আমি সেই শব্দটা বলতে চাই না, তবে সেটা বন্ধনীতে এসে যায়!'

    শব্দটা তবে কী? ‘জোচ্চুরি’? কোহলি জবাবে প্রশ্নকর্তাকে বলেছেন, ‘আমি সেটা বলিনি। আপনি বলেছেন।’