• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচের পর অবসর নিতে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার

    বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচের পর অবসর নিতে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার    

    একটা ম্যাচেই যেন আগুন ধরে দিয়েছিল বারুদে। মহেন্দ্র সিং ধোনির বাড়িতে ঢিল পড়েছিল, পুরো ভারতজুড়ে তোলপাড়। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ওই হারের ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি ভারত, পরে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। এতোদিন পর শচীন টেন্ডুলকার জানাচ্ছেন, সেবার অবসরের সিদ্ধান্তটা প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন।

    আজ থেকে ১০ বছর আগেই পোর্ট অব স্পেনের ওই ম্যাচেই নাড়া দিয়েছিল ভারতকে। সদ্যপ্রয়াত মানজারুল ইসলাম রানার শোককে শক্তি করে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, শুরুতেই শেওয়াগকে ফিরিয়ে দিয়ে বড় একটা ধাক্কা দিয়েছিলেন মাশরাফি। চারে নেমে টেন্ডুলকারও মাত্র ৭ রান করেই আউট হয়ে যান রাজ্জাকের বলে, ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত ভারত করতে পারে ১৯১ রান। ৫ উইকেট হারিয়েই সেই রান টপকে গেছে বাংলাদেশ। ফিফটি করেছিলেন তামিম, মুশফিক, সাকিব- প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে একসঙ্গে নিজেদের আগমনবার্তা জানান দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ত্রয়ী।

    তবে ওই হারটা দগদগে একটা ক্ষতই রেখে গিয়েছিল ভারত দলে। টেন্ডুলকার নিজেই জানাচ্ছেন, ‘আমি বলব ওই সময়টা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপগুলোর একটি। বাংলাদেশের কাছে হারার পর আমরা শ্রীলঙ্কার কাছেও হেরে যাই। কখনোই আশা করিনি, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা এভাবে হেরে যাব। এমন নয়, আমরা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বাংলাদেশের সঙ্গে অবশ্য আমাদের আত্মবিশ্বাসী থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি।’

    টেন্ডুলকার জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পরের দুই দিন হোটেল রুম থেকেও বের হননি। কিছু করার শক্তি বা ইচ্ছাও ছিল না, তখনই মাথায় অবসরের চিন্তাটা এসেছিল বলে জানিয়েছেন।

    শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন কেন? টেন্ডুলকার ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিভ রিচার্ডসকে, ‘ওই সময়ই আমি স্যার ভিভ রিচার্ডসের কাছ থেকে একটা ফোন কল পেলাম। তাঁর সঙ্গে আমার প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো কথা হলো। তিনি আমার কোনো বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম, আমি অবসরের কথা হয়তো ভাবছি। আমাকে জোর দিয়ে বললেন, ‘ক্রিকেটে তোমার এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। এখন অবসরের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। আর কিছুদিন গেলেই সবকিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’ তখন আমি ঠিক করলাম আরেকটা চেষ্টা করবই। মুম্বাইয়ে ফেরার পর আমার ভাই অজিত বলল, ২০১১ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত আমার। সেটা মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, আবার ভোরে উঠে আমি অনুশীলন শুরু করলাম।’

    ভাগ্যিস, মতটা বদলেছিলেন। নইলে তো আর চার বছর আর বিশ্বকাপে খেলা হতো না টেন্ডুলকারের!