• আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড : সৌম্যর র‍্যাম্প শট, বাংলাদেশের হাতছাড়া রেকর্ড

    ২২ গজের সেলুলয়েড : সৌম্যর র‍্যাম্প শট, বাংলাদেশের হাতছাড়া রেকর্ড    

    ছবির পরে ছবি চলে নাকি তৈরী হয় সিনেমা। ক্রিকেট ম্যাচও তো তাই। টুকরো টুকরো অসংখ্য ছবি জন্ম নেয় যেখানে। ২২ গজ আর সবুজ ওই উদ্যানের ছবিগুলোকে যদি ধরা যেত সেলুলয়েডে! 


    মোসাদ্দেকের দায়মোচন

    সহজ ক্যাচটা যেন সহজভাবেই ছেড়ে দিলেন মোসাদ্দেক। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড তখন থিতু হচ্ছেন, মাশরাফির বলে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রুর সুযোগটা মিস হয়ে গেল। সেই মোসাদ্দেককেই পরের ওভারে আনলেন মাশরাফি, পোর্টারফিল্ড তাঁকেই দিলেন ফিরতি ক্যাচ। এবার ভুল হলো না, মোসাদ্দেকের দায়মোচনটাও হয়তো হয়ে গেল। তবে এরপর মুস্তাফিজের বলে যেটা করলেন, সেটা দায়মোচনের চেয়েও বেশী কিছু। সীমানা থেকে কাভারে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিলেন কেভিন ও’ব্রায়েনের অসাধারণ এক ক্যাচ!


     

    মুশফিকের অন্য মনোযোগ

    এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। এড জয়েস রান নেয়ার জন্য ছুটলেন। হয়েছিল আসলে ইনসাইড-এজ। ফিল্ডার থ্রো করলেন, সরাসরি লাগলো না অল্পের জন্য। কিন্তু সেদিকে যেন হুঁশই নেই মুশফিকুর রহিমের, তিনি তখনও ব্যস্ত আবেদন করতেই! বল ধরে উইকেটে লাগালে আউটের সম্ভাবনা ছিল কিনা, সেটা ভাববারই বা সময় কই তখন তাঁর!

     

    অনাহুত বিরতি

    তামিমের উইকেট যাওয়ার পর খেলায় একটু বিরতি। সাইটস্ক্রিন বোধহয় নিজে নিজেই ওভারের বিরতি ভেবে নিল, কালো রঙের বদলে ভেসে উঠলো স্পন্সরের লোগো! সেই লোগো যেন সহজে নড়েই না! বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলো খেলা, মালাহাইডে এদিন বৃষ্টির দেখা নেই ঠিকই, কিন্তু খেলায় ছেদ পড়লো মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই!

     

    অভিষেক

    ছিলেন শ্রীলঙ্কা সফরের দলেও। তবে ওয়ানডে ক্যাপটা পাওয়া হয়নি সানজামুলের। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডেতেই হয়ে গেল তা। দলে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে। বাংলাদেশও নিল ফিল্ডিং। কিন্তু বোলিংয়ে আসতে আসতে পেরিয়ে গেল ২৮ ওভার! মাশরাফি যে তাঁকে আনলেন ৭ নম্বরে। দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি খেলেন, তবে সেই ওভারেই পেলেন উইকেটও! শেষ পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে সেরা অভিষেকের রেকর্ডটাও করে ফেললেন!


     

    র‍্যাম্প শট 

    ম্যাককার্থির শর্ট বলে বুদ্ধির খেলটা ভালই দেখালেন সৌম্য। করলেন আপার কাট। কিন্তু বল যেদিকে যাওয়ার কথা, গেল আরেকটু পাশ দিয়ে। থার্ডম্যান বা কিপারের মাথার উপর দিয়ে নয়, বল গেল ফাইন লেগ দিয়ে। ব্যাটের কানায় লাগলো যে সৌম্যর আপার কাট! পরের ওভারে আবার সেই ম্যাককার্থিকেই আপার কাট করলেন। এবার ঠিকঠাক হলো সব, থার্ডম্যান দিয়ে এক ড্রপেই বাউন্ডারি পার বল!

     

    হাতছাড়া রেকর্ড

    কেনিয়ার দেয়া ১১৯ রানের লক্ষ্য ১৩৮ বল বাকি থাকতে জিতেছিল বাংলাদেশ। নাইরোবির সে ম্যাচে বর্তমান দলের খেলেছিলেন দুইজন- সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশী বল বাকি রেখে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড এটিই। আজ সেই রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার ভাল সুযোগ ছিল, সাব্বিরের শেষ মুহুর্তের উইকেটে যেন থমকে গেল তা! বাংলাদেশ জিতলো ১৩৭ বল বাকি থাকতে। আর দেশের মাটিতে রেকর্ডটা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২২৯ বল বাকি রেখে জিতেছিল বাংলাদেশ।