• লা লিগা
  • " />

     

    পাঁচ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

    পাঁচ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়ন রিয়াল    

    পাঁচ বছর কেটেছে অপেক্ষার প্রহর গুণে । এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগ এসেছে দুবার, এসেছে আরও অনেক ট্রফি। কিন্তু লা লিগার শিরোপা অধরাই থেকে গিয়েছিল। অবশেষে সেই মুকুট আবার মাথায় পড়ল জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ। রেকর্ড ৩৩ বারের মতো আবার পেয়েছে লা লিগার শিরোপা। মালাগার সঙ্গে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই হতো, রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ২-০ গোলে। 


    ম্যাচের আগে জিদানের কপালে যে কয়টি ভাঁজ ছিল, দুই মিনিটের মধ্যেই তার অনেকটুকু কমিয়ে দিয়েছেন রোনালদো। সেটার জন্য বেশ কিছুটা কৃতিত্ব মালাগা রক্ষণের, আর অনেকটা পাওনা ইসকোর। ক্লিয়ার করতে গিয়ে এক ডিফেন্ডার বল তুলে দিয়েছেন ইসকোর পায়ে, দুর্দান্ত এক থ্রু খুঁজে নিয়েছে রোনালদোকে। গোল করতে ভুল করেননি, টানা সপ্তম মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে পেয়েছেন অন্তত ৪০ গোল। 


    তবে প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিল মালাগাও। এই ম্যাচের আগেই বার্সার সাবেক সান্দ্রো রামিরেজ বলে রেখেছিলেন, রিয়ালকে হারিয়ে পুরনো ক্লাবের প্রতি কিছুটা ঋণ শোধ করতে চান। কথা প্রায় রেখেই ফেলেছিলেন, তাঁর দারুণ একটা ফ্রিকিক খুঁজে নিচ্ছিল জাল। কিন্তু অবিশ্বাস্য এক সেভে বাঁচিয়ে দিয়েছেন কেইলর নাভাস, চোটও পেয়েছেন তখন। সান্দ্রো আরও একবার এগিয়ে নিতে পারতেন, প্রথমার্ধে তাঁর হেড একটুর জন্য চলে গেছে পোস্টের বাইরে। দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন রোনালদোও, কিন্তু তাঁর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন মালাগা গোলরক্ষক কার্লোস কামেনি। 


    তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটেই বাকি অনিশ্চয়তাটুকুও দূর করে দিয়েছেন করিম বেনজেমা। সেটা অবশ্য একটু ভাগ্যপ্রসূত, রামোসের শটটা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কামেনি, কিন্তু বলটা ভারানের গায়ে লেগে চলে আসে বেনজেমার পায়ে। গোল করার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। মালাগার খেলোয়াড়েরা অবশ্য প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বেনজেমা অফসাইডে ছিলেন কি না। অবশ্য কামেনি ছিলেন বলেই পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হয়নি। নাভাসও আরও কিছু দারুণ সেভে জানিয়ে দিয়েছেন, মাদ্রিদকে তাঁর অনেক কিছুই দেওয়ার আছে।


    একটা সময় অবশ্য মনে হচ্ছিল, রিয়ালের হেরে গেলেও সমস্যা নেই। এইবারের সঙ্গে যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বার্সা ম্যাচটা জিতেছে ৪-২ গোলে। ৬৩ মিনিটে ডেভিড জুনকার আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় বার্সা। এরপর পেনাল্টি পেয়েও মেসি গোল করতে পারেননি। তিন মিনিট পর অবশ্য সমতা ফেরান সুয়ারেজ। পরে আবার পেনাল্টি পায় বার্সা, এবার আর ভুল করেননি মেসি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়টা সান্ত্বনাই হয়ে থেকেছে।