২২ গজের সেলুলয়েড : হারিয়ে যাওয়া বল, নেমে যাওয়া ট্রাউজারস
কী করি আজ বুঝে না পাই!
প্রথমে ভাবলেন ক্যাচ। নাগাল পেলেন না বলের। মুস্তাফিজ এরপর বলের পেছনে ছুটলেন, আটকালেনও। শরীরের ভার সামলিয়ে উঠতে পারেননি তখনও, হঠাৎ করেই যেন খেয়াল হলো বাউন্ডারি কাছে চলে এসেছে। হাত থেকে ছুড়ে দিলেন বল, সীমানা পার হওয়ার আগেই। বেরসিক বল গিয়ে লাগলো শূন্যে থাকা মুস্তাফিজের পায়ে! এপাশে এসে বল থ্রো করলেন, ব্যাটসম্যানদের ততক্ষণে তিন রান নেয়া হয়ে গেছে। আম্পায়ার আবার চার হয়েছে কিনা দেখতেই চাইলেন। টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত করলেন, মুস্তাফিজের এতো ‘পরিশ্রম’ বৃথা যায়নি, এক রান বাঁচাতে পেরেছেন তিনি।
অবাক কুয়াশা
কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। আয়ারল্যান্ডের আবহাওয়া বোঝা যেন দায়। এবার রোদ-বৃষ্টি নয়, হাজির হলো কুয়াশা। প্রথমে দেখে মনে হতে পারে বৃষ্টি, আদতে কুয়াশা। থাকলো বেশ কিছুক্ষণ। এই কুয়াশাতেই যেন পথ হারিয়ে ফেললো নিউজিল্যান্ডও। আরও বড় স্কোরের আশা জাগিয়েও নিউজিল্যান্ড পারলো কই!
মাহমুদউল্লাহর ভুলে যাওয়া মুহূর্ত
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া প্রথম ক্রিকেটার নন। ডাইভ বা স্লাইড দিয়ে নিজের প্যান্ট ‘খুইয়েছেন’ অনেকেই। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এ ঘটনার পর একটা হাসিই দিলেন! এর আগে দুইটা ক্যাচ ধরেছেন, এ ঘটনার পর শেষ ওভারে লং-অনে তার কাছে গেল সহজ একটা ক্যাচ। মাহমুদউল্লাহ মিস করলেন সেটাই! প্যান্ট-সংক্রান্ত সেই ঘটনা মনের গহীন কোণে তখনও খোঁচা দিয়ে যাচ্ছিল কিনা, কে জানে!
এ শুধু মিসের দিন
প্রথমে নাসির ছাড়লেন সহজ একটা। এরপর মোসাদ্দেক যেন শুরুতেই হাল ছেড়ে দিলেন সামনে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান এসে পড়ায়। এরপর সৌম্য, তারটা একটু কঠিনই ছিল। সামনে ডাইভ দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেন না বল। তবে এরপর মাহমুদউল্লাহ, দিনের মধ্যে সবচেয়ে সহজ সুযোগটা। শেষ ওভারে ক্যাচ ছাড়ার আগে অবশ্য দুইটা ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। নিউজিল্যান্ড ইনিংসেও হয়েছে মিস, জিতান প্যাটেল সৌম্যর মতো সামনে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি বল, আর টম ল্যাথামের হাত থেকে বের হয়ে বল গেছে বাউন্ডারি পানে!
গোল্ডেন ডাক
আগের ম্যাচে পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। আগেই ম্যাচ জিতে যাওয়াই হয়নি তা। পরের ম্যাচে সৌম্য নেমে এলেন যেন আকাশ থেকে সোজা মাটিতে। তামিমের প্রথম বলের ছক্কার রেশ কাটতে না কাটতেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দিলেন সৌম্য, প্যাটেলের বলে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন গোল্ডেন ডাকও!
বল তুমি কই?
প্রথম বলেই ছক্কা মেরে মাঠের বাইরেই পাঠালেন বল। সে বল অবশ্য খুঁজতে গেলেন না কেউ। এক বলের মাঝেই এলো নতুন বল। ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে অবশ্য সাব্বির মারলেন চারই। তবে সাইটস্ক্রিনের আড়ালে হারিয়ে গেল সেটাই। বাউন্ডারি বোর্ড টপকে হামিশ বেনেট আনতে গেলেন, কিন্তু খুঁজে আর পান না! রীতিমতো উপুড় হয়ে খোঁজা শুরু করলেন! ওদিকে অবশ্য জিতান প্যাটেল পেয়ে গেলেন ঠিকই।