• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    জিয়ার সেঞ্চুরিতেও দুইশ হল না শেখ জামালের

    জিয়ার সেঞ্চুরিতেও দুইশ হল না শেখ জামালের    

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৯৭, ৪৫ ওভার (জিয়াউর রহমান ১০৩, মাহমুদুল হক ২২, ইলিয়াস সানি ২১; তাইজুল ৩/৪৯, শুভাশিস ২/২৫, সাজেদুল ২/৩৭)

    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২০১/৫, ৩০.২ ওভার (শামসুর রহমান ৫৯, বিপুল শর্মা ৩৮, সৈকত আলী ৩৭; ইলিয়াস সানি ২/৪৮)

     

    ফলঃ মোহামেডান ৫ উইকেটে জয়ী

     

    ম্যাচসেরাঃ জিয়াউর রহমান (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)


     

    জিয়াউর রহমানের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দিনে বড় সংগ্রহের প্রত্যাশা করতেই পারত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু দলের বাকি সবাই মিলেও জিয়ার সমান রান করতে পারলেন না! ফলে ১৯৭ রানেই গুটিয়ে যাওয়া শেখ জামালের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বল হাতে তাইজুল, শুভাশিস, সাজেদুলদের পর ব্যাট হাতে শামসুর রহমান নেতৃত্ব দেন সে জয়ে।

     

    ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই নড়বড়ে শেখ জামাল ৫৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ইলিয়াস সানিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমান। ৭৭ রানের জুটি গড়ে সানি ৫২ বলে ২১ করে সৈকত আলীর বলে নাজমুল মিলনের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা শেখ জামালের সংগ্রহটা ভদ্রস্থ হয় কার্যত জিয়ার একক প্রচেষ্টাটেই। অপরপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেই জিয়া খেলে ফেলেন ১০৩ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। ১৩৩ বল থেকে তিনি সেটি সাজান ৬ চার আর ৯ ছয়ে। দলীয় ১৬৮ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ফিরে যাওয়ার পর দলীয় সংগ্রহ দু’শর কাছাকাছি পোঁছয় মাহমুদুল হকের অপরাজিত ২২ রানের সুবাদে। শেখ জামালের ৭ ব্যাটসম্যানই ফেরেন এক অংকের রান নিয়ে। মোহামেডানের পক্ষে তাইজুল ৩টি এবং শুভাশিস রয় ও সাজেদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।

     

    মোহামেডানের হয়ে দুই ওপেনার শামসুর রহমান ও সৈকত আলী ঝড়ো শুরুতে ১৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ৮৬ রান। সৈকত ৩৬ বলে ৩৭ ও শামসুর ৫৮ বলে ৫৯ করে ফেরেন। এরপর রনি তালুকদার (৩২), রকিবুল হাসান (২১) ও বিপুল শর্মারা (৩৮) জয় নিশ্চিত করেন ১৯.২ ওভারের খেলা হাতে রেখেই।

     

    দল হারলেও অনবদ্য ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হন জিয়াউর রহমান।