• আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ
  • " />

     

    রাণী মিথালির রাজত্বে

    রাণী মিথালির রাজত্বে    

    ১৯৯৭। কলকাতা। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য দলের ক্যাম্প। 

    মিথালি রাজের জগতটা হঠাৎ করেই যেন শূন্য হয়ে গেল এর আগেই। যে মানুষটা নিজের কাছে কোচের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন, যে মানুষটা তার জীবনের গতিপথ ঠিক করে দিয়েছিলেন, সেই তিনি যে চলে গেলেন হঠাৎ করে! সম্পথ কুমার, আহমেদাবাদের দুইটা বয়সভিত্তিক দলের কোচ মারা গেলেন মটরসাইকেল দূর্ঘটনায়। মিথালির ক্যারিয়ার শুরুর আগেই যেন শেষ হয়ে গেল, ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা যেন ভেঙ্গে গেল ডালপালা গজানোর আগেই! দোরাই রাজ মেয়ের ব্যাপারটা বুঝলেন। নিজে গিয়ে দিয়ে আসলেন ক্যাম্পে। তাতে কি আর হয়! মেয়ে ততক্ষণে বদলে গেছে! বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা ভাবলেন উলটো। এতো বড় ইভেন্টে মেয়েটা যদি মানিয়ে নিতে না পারে! মিথালি বাদ পড়লেন। বাড়ি ফিরলেন। চুপ মেরে গিয়েছিলেন আগেই, এবার যেন থমকে গেলেন! একদিক দিয়ে অবশ্য ভালই হলো। নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পেলেন মিথালি রাজ। 


    ****

     

    ২০১৭। কাউন্টি গ্রাউন্ড, ডার্বি।

    ক্যামেরা আটকে গেল হঠাৎ, বেঞ্চে বসা এক ভারতীয় ব্যাটারের দিকে। প্যাড পরা, পাশে রাখা ব্যাট, ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায়। হাতে একটা বই, তিনি পড়ছেন! পারস্য কবি রুমির একটা বই, ম্যাচের সময় নিজের ই-বুক রিডারটা আনতে পারেন না বলে কোচের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন সেটা। মিথালি রাজ, ভারতীয় অধিনায়ক। বড় কোনও মুহুর্তের আগে বই পড়লে তার স্নায়ু স্থির হয়। তা বড় মুহুর্ত ছিল বটে সেদিন! ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা ভারত জিতলো, রাজ ভাঙ্গলেন একটা রেকর্ড। প্রথম মেয়ে ক্রিকেটার হিসেবে টানা সাতটি ফিফটি করলেন। বই পড়তে ভালবাসা মেয়েটাই তো রেকর্ড-বই ওলটপালট করে দেন নিয়মিতই।
     
    অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচেও যেমন করলেন। 

    এলিস পেরির ব্যাক অব দ্য লেংথের বলে একটা সিঙ্গেল। রাজ ছাড়িয়ে গেলেন শার্লট এডওয়ার্ডসকে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা শুরু করেছিলেন এডওয়ার্ডসের থেকে ৩২ রান পেছনে থেকে। যে এডওয়ার্ডসকে মেয়েদের ক্রিকেট বিবর্তন বা বিপ্লবের কেন্দ্র ভাবা হয়, তাকে কাটিয়ে গেলেন ভারতের রাণী, ভারতের মেয়েদের ক্রিকেটের রোল-মডেল! 

    এর কিছুক্ষণ পরে, ক্রিসটেন বিমসের বলটাতে জায়গা বানালেন লাইন থেকে একটু সরে গিয়ে। স্ট্রেইট ড্রাইভ, বোলারের মাথার ওপর দিয়ে লফট করে ছয়। দারুণ টাইমিং। ভাবলেশহীন শট। রাজ হয়ে গেলেন ওয়ানডেতে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা প্রথম মহিলা ক্রিকেটার। অভিনন্দন জানালেন শচীন, ছেলেদের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক। অভিনন্দন আসলো বিরাট কোহলির কাছ থেকে। মিথালি রাজ তো অভিনন্দন পাবেন ক্রিকেট বিশ্ব থেকেই! 

     

    **** 

     

    এই টাইমিং আর ভাবলেশহীন শটই মুগ্ধ করেছিল জ্যোতি প্রসাদকে। 

    সেকান্দারবাদ, হায়দরাবাদ। 

    অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট দোরাই রাজ মেয়ে মিথালিকে ছেলের সঙ্গে প্রসাদের সেন্ট জনস একাডেমিতে আনতেন। মেয়েটা ঘুমাতে ভালবাসতো খুব। বেশি ঘুমানো থেকে বিরত রাখতেই ভাইয়ের সঙ্গে তাকেও আনা। সীমানার একধারে বসে হোমওয়ার্ক শেষ করতো মিথালি। তারপর হয়তো একটা ব্যাট, ডজনখানেক ডেলিভারি। যতোদূর যায় বল, মারতে চাইতো মিথালি। বলের লাইনে যাওয়া, শট খেলার আগে ব্যাটের উপবৃত্তাকার চাপ ধরে এগিয়ে আসা। জ্যোতি মুগ্ধ হলেন, দোরাইকে রাজি করালেন সম্পথ কুমারের কাছে মেয়েকে ভর্তি করাতে। মিথালির জীবনটা বদলে গেল। 

    যে ভারতনাট্যম ভালবাসতেন খুব, সে নাচটাও ছাড়তে হলো। মেয়ে পড়াশুনা করবে, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারিতে ক্যারিয়ার গড়বে, দোরাই-লীলা হয়তো ভেবে রেখেছিলেন এমনই। সম্পথ সে ধারণা পালটে দিলেন। 

    ‘আমি আপনার ও আপনার স্ত্রীর পুরো বিশ্বাস চাই। অন্ধ সমর্থন চাই। ১৪ বছর বয়স হওয়ার আগেই আমি মিথালিকে ভারতীয় দলের হয়ে খেলাবো।’ 

    ‘সে ধাপ্পা মারছে!’ 

    দোরাইদেরকে শেষ পর্যন্ত রাজি হতেই হলো। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হতে অবশ্য মিথালির সময় লেগেছিল সম্পথের বেঁধে দেয়া সময়ের চেয়ে বছর তিনেক বেশী। 

     

    পড়ুয়া মিথালি...

     

    ****

     

    ১৯৯৭ সালের সেই বিশ্বকাপের পর বছরখানেক কেটে গেছে। ভারতের কোনো ম্যাচ নেই। অর্থকড়ি নেই, স্বীকৃতি নেই, কাঠামো নেই। ক্রিকেট থেকে ঝড়ে পড়ছে মেয়েরা, পিছিয়ে যাচ্ছে শুধু। মিথালি রাজের আবির্ভাব ওই দুঃসময়েই। 

    আয়ারল্যান্ডের ক্যাম্পবেল পার্কে অভিষেক ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন রাজ। অপরাজিত ১১৪ রান। এখন পর্যন্ত পাঁচজন মেয়ে ক্রিকেটার অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন, রাজের ইনিংসটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। সেদিন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২০৫ দিন। আজ পর্যন্ত কোনো মহিলা ক্রিকেটার ১৭ বছরের আগে সেঞ্চুরিই করতে পারেননি! 

    তিন বছর পর, প্রত্যাশার পারদ উঠে গেছে অনেক উঁচুতে। রাজের টেস্ট অভিষেক হয়ে গেল, ওয়ানডের মতো বিষণ্ণ পরিবেশে নয় অবশ্যই। রাজ চাপটা নিতে পারলেন না। লক্ষ্ণৌতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আউট হলেন শূন্যতে। 

    পরের টেস্টে অবশ্য ফিফটি পেলেন। তবে ১৯৯৭ সালের বিশ্বকাপ ক্যাম্পের সেই বিষণ্ণ মেয়েটার আসল চেহারা বেরিয়ে এলো টন্টনে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে। হিম ঠান্ডায় খেললেন ৪১৭ বল, ১৯ চারে করলেন ২১৪। মহিলা ক্রিকেটে তখনকার সর্বোচ্চ স্কোর। পাকিস্তানের কিরন বালুচ দুই বছর পর তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, তবে ডাবল সেঞ্চুরি করা ছয়জন মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটা এখনও রাজেরই। 

     

    ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে নেয়া পদ্মশ্রী পদক....

     

    ****

     

    ২০০০ সালে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ডায়ানা এদুলজি রাজকে রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি করাতে সাহায্য করলেন। জিএস লক্ষ্মী ও রজনী ভেনুগোপালের সঙ্গে পরিচয় সেখানেই। বয়সে অনেক বড় লক্ষ্মীরাই হয়ে গেলেন রাজের বন্ধু। দলের জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল, তাতে অবশ্য বন্ধুত্বে ফাটল ধরলো না। 

    ক্রিকেট বন্ধু কেড়ে নিয়েছিল, এমনকি কাজিনদের সঙ্গে মেশারও সময় পেতেন না রাজ। কোচ সম্পথ তাকে মাঝে মাঝে অনুশীলন করাতেন রাত পর্যন্ত! নিয়মিত অনুশীলনের পর একটা ছোট করিডরে নিয়ে যেতেন, রাজকে খেলতে হতো সোজা ব্যাটে। বল দুপাশের দেয়ালে লাগলেই বেত্রাঘাত! 

    মাঝে মাঝে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরতো মেয়ে, মা শান্ত করতেন। ক্রিকেট তিক্ত লাগাটা কি অস্বাভাবিক? রাজ আজ অবলীলায় স্বীকার করেন, ‘স্যার’ এর সেসব অনুশীলন পদ্ধতি ভিন্ন হলে আজ এমন ক্রিকেটার হতে পারতেন না তিনি। 

    সেই রাজকে ক্রিকেট বন্ধু দিল। একটা চাকরি দিল। দিল স্বাধীনতা। 

    এখনও সতীর্থরা ছাড়া রাজের তেমন কোনো বন্ধু নেই, কাজিনদের সঙ্গে সম্পর্কটা জুতসই নয়। সেই স্বাধীনতা কমে যেতে পারে বলে রাজ বিয়ে পর্যন্ত করেননি। সঠিক ব্যক্তি খুঁজে পেলে অবশ্য করবেন। ‘আমার বাবা-মা আমাকে এমনভাবে তৈরী করেছেন, তৃতীয় একজনের আসলে দরকার নেই।’ 

     

    কাভার ড্রাইভ! 

     

    ****

     

    ভারতের অধিনায়ক দরকার ছিল। ততোদিনে রাজের জায়গাটা স্থায়ী, অধিনায়কত্বের সুযোগও দৃষ্টিসীমায়। বাবা বলে দিয়েছিলেন, এমন প্রস্তাব আসলে যাতে তিনি হ্যাঁ বলে দেন। হয়তো জীবনে প্রথমবার বাবার কথা শোনেননি সেবার মিথালি। তিনি অধিনায়কত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ২০০৩ সালে। 

    দুই বছর পর অবশ্য ঠিকই দায়িত্ব নিলেন। ততোদিনে মমতা মাবেনের অধীনে থেকে শিখেছেন অনেককিছু, দুই বছর আগে হলে যে সুযোগটা পেতেন না। অধিনায়ক রাজ এরপর ভারতকে নিয়ে ছুটলেন। বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত। 

    ২০০৫। পচেফসট্রুম। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনাল। ম্যাচ জেতানো ৯১ রানের ইনিংস খেললেন রাজ, যে ইনিংসটাকে তিনি নিজের টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির সমান মর্যাদা দেন। চাপের অভাব ছিল না তখন। রান করার চাপ, ভাল করার চাপ। আর ভঙ্গুর হাঁটুজোড়ার চাপ। রাজ ছিলেন পেইনকিলারের ওপর। সেমিফাইনাল জেতার পর মিডিয়া যেন অন্যভাবে নজর দিল মেয়েদের ক্রিকেটে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনাল হারলো ভারত। 

    তবে ৩০ বছর আগে শুরু হওয়া মেয়েদের ক্রিকেটে যেন ঘটে গেল বিপ্লব। সে বিপ্লবের নেতা মিথালি দোরাই রাজ। 

     

    সংবাদ সম্মেলনে বাঙ্ময়!

     

    **** 
     

    মিথালি রোল-মডেল হয়ে গেছেন ততোদিনে। 

    ভেদা কৃষ্ণামূর্তি ছুটে এসেছিলেন ব্যাঙ্গালোরের ট্রায়ালে। মিথালির দেখা পাওয়া যাবে সেখানে। সেদিনের কথা তিনি আজও ভুলতে পারেননা। নিজের আদর্শ, বিশ্বের সেরা ব্যাটারের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের অনুভূতি ভোলা যায় নাকি! যেমন প্রথমবার পাশাপাশি ব্যাটিং অনুশীলনের স্মৃতিটা। দুই নেটে ব্যাটিং করছিলেন দুজন, ভেদা একটু পরপর তাকাচ্ছিলেন মিথালির দিকে। বোলারের ডাকেই যেন শুধু সম্বিত ফিরছিল তার! 

    স্মৃতি মানধানা যেমন প্রথমবার ইন্টার-ক্যাম্প ম্যাচে মিথালির সঙ্গে ব্যাটিংয়ের স্মৃতি ভুলতে পারেননা। ভাইয়ের কারণে সে ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে মিথালির সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতাই যেন পূর্ণ করেছিল তরুণ ক্রিকেটারের স্বপ্নযাত্রা! 

    হারমানপ্রিত কৌরের প্রথম ফিফটিটা এসছিল মিথালিকে ওপাশে রেখে। ড্রেসিংরুমে যার সাহায্য কৌরের জন্য অতি-প্রয়োজনীয় ছিল, ব্যাটিং সঙ্গী হিসেবে সেই মিথালি তো বাড়তি কিছুই। ‘মিথালি দি আমাদের বন্ধু। নতুন কেউ আসলে মিথালি দির মতো কেউ স্বাগত জানায়। সবাই ফ্রি হয়ে যায় তখন। ঠিক আমার মতো।’ 

    হারমানপ্রিত মিথালির অধিনায়কত্বের সহকারি এখন, স্মৃতি আর ভেদাও আছেন এই বিশ্বকাপ দলেই। 

     

    **** 

     

    মিথালি অবশ্য এ বিশ্বকাপটাই খেলতে চাননি। হাঁটুর চোট ভুগিয়েছে। ভুগিয়েছে ভারতের ব্যর্থতা। ২০০৯ সালের বিশ্বকাপ, বা দেশের মাটিতে ২০১৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়া। বিদায় বলেননি অবশ্য। 

    দলের ওপর তার নির্ভরশীলতা কমে আসলে, অধিনায়ক হিসেবে তার প্রয়োজনীয়তা অন্য কারও দ্বারা পূরণ হওয়ার সময় আসলেই চলে যেতে চান তিনি। ২০১৭ সালের বিশ্বকাপটাই তাই হতে পারে তার শেষ। 

    ওয়ানডেতে কমপক্ষে ১৫০০ রানের ওপরে করে ৫০ এর ওপরে গড় আছে এমন দুই ব্যাটারের একজন, ৫টি অপরাজিত সেঞ্চুরির মালিক, সবচেয়ে বেশি অপরাজিত থাকা ব্যাটার, ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের মালিক, সবচেয়ে বেশী অধিনায়কত্ব করা ক্রিকেটার, ভারত আর বিশ্ব ক্রিকেটের এক রাণীর বিদায়ঘন্টা বেজে যাবে তাই। 

    সবসময় ক্রিকেটকেই ধ্যানজ্ঞান করার মিথালির বাবা-মা অবশ্য মেয়ের ক্রিকেট পরবর্তী জীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন।  সেই মা, যিনি নিজের ক্যারিয়ারের ইতি ঘটিয়েছিলেন মেয়ের কথা ভেবে। সেই বাবা, যিনি পদোন্নতির সুযোগ ছেড়ে দিয়েছিলেন বদলি হয়ে যেতে হবে ভেবে, মিথালির ক্রিকেটের ক্ষতি হবে বলে। 
    মেয়ে রান্না করতে পারে না, মেয়ে নাম মনে রাখতে পারে না, কাজের তালিকা দিলে ভুলে যায়। তার ওপর, মেয়ের তো বিয়ে দিতে হবে। মায়ের চিন্তার কী শেষ আছে! 

    সমাজ-চারপাশ থেকে চাপ আছে বিয়ের। মিথালি অবশ্য এসব নিয়ে ভাবেন না। তিনি নিজের মতো করে চলতে ভালবাসেন। বাবা-মাও বুঝে গেছেন, মেয়ে এখন আর অপরিণত নেই। 

    তারা এসব ছেড়ে দিয়েছেন মিথালির হাতেই। 

    যেমন ভারতীয় ক্রিকেট অনেককিছু ছেড়ে দিয়েছে এতোদিন, তাদের রাণীর হাতে! 

     

     

    পরিসংখ্যানগুলো ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ভারত ইনিংস পর্যন্ত। 

    তথ্যসূত্রঃ 

    ১. শশাঙ্ক কিশোর, দ্য ক্রিকেট মানথলি

    ২. বিবিসি 

    ৩. ইএসপিন ক্রিকইনফো 

    ৪. স্টার স্পোর্টস 

    ৫. হিন্দুস্তান টাইমস