• শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    ক্রেমারের দিনে অসম্ভবের পথে শ্রীলঙ্কা

    ক্রেমারের দিনে অসম্ভবের পথে শ্রীলঙ্কা    

    স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে)

    জিম্বাবুয়ে ৩৫৬ ও ৩৭৭

    শ্রীলঙ্কা ৩৪৬ ও ১৭০/৩


    ইতিহাস বলছে, চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি রান করে শ্রীলঙ্কায় জেতেনি কেউ। ৩৮৮ রানের লক্ষ্যটা শ্রীলঙ্কার জন্য এভারেস্ট জয় করার মতোই। তবে স্বাগতিকেরা এখনো যে পুরোপুরি ছিটকে যায়নি, তার অনেকটাই কৃতিত্ব কুশল মেন্ডিসের। আর সঙ্গে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস তো আছেনই। এখনো অবশ্য অনেকটা পথ বাকি, শেষ দিনে ৭ উইকেট নিয়ে ২১৮ রান টপকে যাওয়াটা তো অসম্ভবের কাছাকাছিই।

    তসেই কাজটা আরও কঠিন করে তুলছেন গ্রায়েম ক্রেমার। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার দুই অপেনার মিলে তুলে ফেলেছিলেন ৫৮ রান। ২৭ রানে উপুল থারাঙ্গাকে মুরের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্রেমার। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারত্নে ও মেন্ডিস যখন হাল ধরেছিলেন, আবারও শ্রীলঙ্কার আঘাত। এবার উইলিয়ামসের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেছেন করুনারত্নে। এক রানের জন্য মিস করেছেন ফিফটি। দীনেশ চান্ডিমাল শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক, ১৭ বলে ১৫ রানও করে ফেলেছিলেন। তবে ক্রেমারের একটা বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন মাসাকাদকে। মেন্ডিস অবশ্য ততক্ষণে পড়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে, সেটি নিয়েই খেলে গেছেন বাকিটা। আজ সেই ইনিংসটা তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে আরও অনেকদূর নিয়ে যেতে চাইবে শ্রীলঙ্কা। এক প্রান্ত থেকে ক্রেমার, টানা বল করেছেন ১৯ ওভার! শ্রীলঙ্কাকে যা একটু ভোগাতে পেরেছেন তিনিই।

    ক্রেমারের কাজটা হেরাথ আগে করতে পারলে জিম্বাবুয়ে র সকালের রানও হয়তো খুব বেশি বাড়ত না। আগের দিনের সঙ্গে তিন রান যোগ করেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন সিকান্দার রাজা, শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১২৭ রানে। ম্যালকম ওয়ালার খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি, আউট হয়ে গেছেন ৬৮ রানে। তবে রাজার আউটের পর তিরিপানোকে নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ক্রেমার, নবম উইকেটে দুজন যোগ করেছেন আরও ৫৫ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অলআউট হওয়ার আগে ক্রেমার করেছেন ৪৮, জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৩৭৭ রানে।  দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়েছেন হেরাথ, বলতে গেলে একাই গুটিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে।