• আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ
  • " />

     

    প্রোটিয়া কান্নায় ইংলিশ উৎসব

    প্রোটিয়া কান্নায় ইংলিশ উৎসব    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর, প্রথম সেমিফাইনাল

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৮/৬, ৫০ ওভার 
    ইংল্যান্ড ২২১/৮, ৪৯.৪ ওভার 
    ফলঃ ইংল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী
     


    এবি ডি ভিলিয়ার্স-মরনি মরকেলদের কান্না মনে আছে? অথবা গ্রান্ট এলিয়টের দেয়া সেই সান্ত্বনা ডেল স্টেইনকে? দুই বছর আগের ছেলেদের বিশ্বকাপটা চাইলে একবার মনে করে দেখতে পারেন। অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক যেন  ফিরল ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে। অ্যানা স্রাবসোল সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ফন নিকার্কদের। কান্নায় ভেঙ্গে পড়া প্রোটিয়া মহিলাদের একপাশে রেখে উল্লাসে মাতলো ইংল্যান্ড মহিলা দল। পঞ্চমবার বিশ্বকাপ ফাইনালের ওঠার উল্লাস ছাপিয়ে গেল যেন প্রোটিয়াদের প্রথমবার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন! 

    প্রথম সেমিফাইনালে নাটকটা কম হলো না। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ রান। প্রথম বলেই শাবনিম ইসমাইল মিস করলেন জেনি গানের ফিরতি ক্যাচটা। পরের বলে সিঙ্গেল, লউরা মার্শকে বোল্ড করে এরপরই প্রোটিয়াদের আবার ফিরিয়ে আনলেন ইসমাইল। স্রাবসোল নামলেন, কাভার দিয়ে মারলেন চার। ঘরের মাটির বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড উঠে গেল ফাইনালে। 

    ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচে প্রথম ইনিংস শেষে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ডই। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভার খেলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে করতে পেরেছিল ২১৮। মেগনন ডু প্রিজের ৭৬ ও লউরা ওলভার্টের ৬৬ রানের অবদান এতে অনেকখানি। স্রাবসোল, গান, স্কাইভার, নাইটরা সফল বোলার, প্রত্যেকের ভাগেই গেছে একটি করে উইকেট। 

    ইংল্যান্ড ইনিংসে ফিফটি একটিই, সারাহ টেইলরের ৫৪ রানের ইনিংসটাই তাকে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরষ্কার। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হেদার নাইটের সঙ্গে তার ৭৮ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেকদূর। শেষদিকে এসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়েছে আফ্রিকা, ৭ম উইকেটে ফ্র্যান উইলসন ও ক্যাথরিন ব্রান্টের ৪০ রানের জুটিটাও তাই ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। 

    সে জুটিও ইংল্যান্ডের জয়টা সহজ করতে পারেনি। সব এসে ঠেকেছিল ওই শেষ ওভারের রোমাঞ্চে। যে রোমাঞ্চে শেষ হাসিটা টেইলর-নাইটদেরই!