• " />

     

    চোটের কারণে লাম্বের অবসর

    চোটের কারণে লাম্বের অবসর    

    ইংল্যান্ডের এখন পর্যন্ত একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা এসেছিল ২০১০ সাল ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি জিতে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওপেনার ক্রেইজ কিসওয়েটার সময়ের আগেই অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন চোটের কারণে। তার সেই ফাইনালের সঙ্গী মাইকেল লাম্বকেও মেনে নিতে হলো যেন একই নিয়তি! অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিতে হয়েছে নটিংহ্যামশায়ারের এই ব্যাটসম্যানকে। 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেই ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি দিয়েই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল লাম্বের। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ব্যাটসম্যান খেলেছেন ২৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি, শেষটি ছিল চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে, ২০১৪ সালে। ১৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৫২ রান তার। ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সে বছরই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে অভিষেকেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। তবে ৩টির বেশী ওয়ানডে খেলা হয়নি তার। 

    ইয়র্কশায়ারের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা লাম্ব হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলেছেন, নটিংহ্যামশায়ারে আসেন এরপরই। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে নটিংহ্যামশায়ারকে ঘরোয়া ওয়ানডের ট্রফি জেতাতে ভূমিকা রাখেন গুরুত্বপূর্ণ। বিগ-হিটিংয়ের জন্য পরিচিতি পাওয়া লাম্ব খেলেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও বিগ ব্যাশেও। 

    তবে সেরা সময়টা ট্রেন্টব্রিজেই কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান, ‘আমার কাছে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল বছরগুলো আমি ট্রেন্টব্রিজেই কাটিয়েছি। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে খেলাটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতাম। ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হচ্ছে বলে আমি হতাশ, তাও আবার মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে। তবে শরীরের ব্যাপারটাও আমাকে দেখতে হবে।’ লাম্ব ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্ত্রী লিজি ও পরিবারকে। 

    লাম্বকে হারিয়ে হতাশ তার কাউন্টিও, ক্রিকেট পরিচালক মিক নিওয়েল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন ‘মাইকেলের জন্য এটি খুবই কষ্টের ব্যাপার। সে খুবই মেধাবি একজন ক্রিকেটার, দুনিয়াজোড়া সমর্থকদের বিনোদন দিয়েছে। সে একজন রোল মডেল, অসাধারণ পেশাদার একজন। ড্রেসিংরুমে জনপ্রিয় এই সিনিয়র ক্রিকেটারকে অনেক সম্মান করা হয়। আমরা তার সফলতা কামনা করি, ক্লাবে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’ 

    ২১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১১ হাজারের ওপরে রান আছে লাম্বের, ২২১ লিস্ট-এ ম্যাচে আছে ৬ হাজারের ওপরে, সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টিতে আছে প্রায় ৫ হাজার রান।