• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ১১ বছর পর ক্লিনশিট!

    ১১ বছর পর ক্লিনশিট!    

    ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর, এমিরেটস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মুখোমুখি সিএসকেএ মস্কো ও আর্সেনাল। থিয়েরি অঁরি, ফ্যাব্রিগাসদের রুখে দিয়ে ক্লিন শিট নিয়েই মাঠ ছাড়লেন ২০ বছর বয়সী সিএসকেএ মস্কোর গোলরক্ষক ইগোর আকিনফেভ। এরপর পেরিয়ে গেছে ১১ বছর, চ্যাম্পিয়নস লিগে বাছাইপর্বসহ সিএসকেএ খেলেছে ৩৯টি ম্যাচ। আকিনফেভ এর প্রতিটি ম্যাচেই গোল খেয়েছেন। অবশেষে ক্লিন শিটের মুখ দেখলেন। দীর্ঘ সময় পর এবারের বাছাইপর্বে এইকে অ্যাথেন্সের বিপক্ষে কোনো গোল খাননি আকিনফেভ।

     

    গত ১১ বছরে হজম করেছেন ৭৭ গোল।  চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বের ম্যাচে অ্যাথেন্সের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও হয়তো কেউ ভাবেননি ক্লিন শিট না পাওয়ার এই ‘রেকর্ডটা’ ভাঙতে পারবেন অধিনায়ক আকিনফেভ। অ্যালান জাগভ ও পন্তুস ওয়ারব্লমের গোলে এগিয়ে যায় মস্কো। সবাইকে ভুল প্রমাণ করে শেষ পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেননি। সেই সাথে প্রায় এক যুগ পর ক্লিন শিটের দেখা পান আকিনফেভ।

     

     

    ক্লিন শিটের এই ‘খরার’ দিনে অবশ্য কম খোঁচা শুনতে হয়নি আকিনফেভকে, “প্রথমে তো খুব বিরক্ত লাগতো। কিন্তু এক সময় এসব নিয়ে ভাবা বাদই দিয়েছি। মানুষ এটা নিয়ে কথা বলে নিজেকেই বিব্রত করে, আমাকে না! ইউরোপের অন্য কোথাও এরকম হয় না, শুধু রাশিয়ার দর্শকই করে। আমি যদি ১০০ গোলও খাই, তাও এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাঁদের মাথা না ঘামালেও চলবে।”

    আকিনফেভের সতীর্থ ওয়ারব্লমও ভক্তদের এরকম সমালোচনায় খুশি নন, “চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ সব গোলরক্ষক পান না। রাশিয়ার ইতিহাসে আকিনফেভ অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। যদি গোল হজমের জন্য দোষী করতে হয়, তাহলে পুরো দলকেই করতে হবে।"