• মাস্টার্স ক্রিকেট ২০১৭
  • " />

     

    শিরোপা ভাগাভাগি করলেন শান্ত-পাইলট

    শিরোপা ভাগাভাগি করলেন শান্ত-পাইলট    

    কনফেত্তি উড়ছে। কমলা আর সবুজ মিলেমিশে একাকার কক্সবাজারের সবুজে। বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই, এক দলের পর আরেক দলও উল্লাস করছে একই ট্রফি নিয়ে! ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট ফাইনালে যে চ্যাম্পিয়ন দুই দলই, বৃষ্টির কারণে সম্পূর্ণ হতে পারেনি ফাইনাল।

     

    গত তিনদিন রোদ ঝিলমিল করলেও এদিন কক্সবাজারের আকাশে হঠাৎ করেই কালো মেঘ। সেই মেঘলা আকাশের নিচেই টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন অলস্টারস অধিনায়ক হাসিবুল হোসেন শান্ত। আগের দুই ম্যাচে টানা ফিফটি করা এহসানুল হক সেজান ফাইনালে করলেন ২২ বলে ২৪। তবে ঝড়টা শুরু করেছিলেন তারই ওপেনিং সঙ্গী মেহরাব হোসেন অপি। দলের রান যখন ২৪, মনজুরুল ইসলামের বলে রাজনের হাতে ক্যাচ দিলেন। অপির রানই তখন ২৩, খেলেছেন ১৩ বল! তবে আসল ঝড়টা বাকি তখনও। রাশিদুল হক সুমন ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৪৩ বলে করলেন ৫৮, থাকলেন অপরাজিত। পাঁচে নেমে ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেললেন মাসুদুর রহমান মুকুল। অলস্টারসের ফাইনাল জেতার জন্য পুঁজি দাঁড়ালো ১৩৪, ৩ উইকেটে, ১৫ ওভারে।

     

    সরাসরি থ্রোতে জহিরুলক হককে আউট করেছেন রফিকুল ইসলাম, মনজুরুলের সঙ্গে একটি উইকেট পেয়েছেন আলমগীর কবিরও।

     

    অলস্টারসের ইনিংসের শেষের দিকে নামা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির তোপ বাড়লো। রাজশাহী নামলো, জাভেদ ওমরকে হারিয়ে ফেললো দ্রুতই। ২ ওভারে ২১ রান স্কোরবোর্ডে, বৃষ্টি নিয়ে একচোট ‘ঝামেলা’ বেঁধে গেল দুই দলের। শান্ত-জাভেদ সবাইকে শান্ত করে ড্রেসিংরুমে নিয়ে গেলেন, শান্ত সবাই ফিরে গেলেন, শুধু শান্ত হয়ে পড়ে থাকলো বৃষ্টিস্নাত শেখ কামাল স্টেডিয়ামের মূল মাঠঠাই। প্রায় ঘন্টাখানেক বন্ধ থাকলো খেলা, শুরুও হলো না আর।  যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো দুই দলকেই। চার ম্যাচে ১৬৪ রান করে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন সেজান।

     

    ক্রিকেট কার্নিভালের শেষভাগে এসে বাগড়া বাঁধানোর চেষ্টা করলো বৃষ্টি। তবে শান্ত-পাইলটদের উল্লাস দেখে অবশ্য মুখ গোমড়া করে থাকতে পারে বৃষ্টি নিজেই!