• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    সুযোগটা কাজে লাগাতে চান মুশফিক

    সুযোগটা কাজে লাগাতে চান মুশফিক    

    সফরটা হওয়ার কথা ছিল দুই বছর আগেই। অনেক জল ঘোলা, অনিশ্চয়তার দোলাচলের পর অবশেষে অস্ট্রেলিয়া আসতে যাচ্ছে। সাদা পোশাকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার ১১ বছরের অপেক্ষাও সাঙ্গ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক বড় পাওয়া তো বটেই, মুশফিকুর রহিমের জন্যও কম কিছু নয়। ক্যারিয়ারে ৫৪ টেস্ট খেলা হয়ে গেলেও যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। সেই প্রতীক্ষার মধুর অবসানই চান এবার।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিকও নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ভালোমতোই। এমনিতেই অনুশীলনে অনেকের চেয়ে একটু বেশিই মগ্ন থাকেন, চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকেই মুশফিক নেমে গেলেন মাঠে। কণ্ঠেও পাওয়া গেল সেই প্রতিজ্ঞার বিচ্ছুরণ, ‘সব দলের সঙ্গেই খেলা হয়েছে, শুধু অস্ট্রেলিয়া বাকি ছিল। এবার অস্ট্রেলিয়া আসছে, এবার অনেক বড় সুযোগ। শুধু আমার জন্য না, আমাদের দলের জন্যও। এখন যারা খেলছে, তাদের মধ্যে কেবল মাশরাফি ভাই খেলেছেন অনেক দিন আগে। সবাই জানে চ্যালেঞ্জটা অনেক কঠিন। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে যে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন সময় দিতে পারব, যেটা ইংল্যান্ডকে তো পেরেছি। সিরিজটা ভালো ভাবে শেষ করতে পারলে এতদিন না খেলার আক্ষেপটা থাকবে না।’

    শুধু অস্ট্রেলিয়া আসবে বলে নয়, বাংলাদেশের জন্যও তা প্রায় ১০ মাস পর কোনো আন্তর্জাতিক দলকে আতিথ্য দেওয়ার উপলক্ষও। মুশফিক নিজেও ঘরের মাটিতে এই বছর প্রথমবার নামার আগে বেশ রোমাঞ্চিত, ‘আমার জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ নিজেদের মাঠে অনেকদিন পর খেলা হবে। শুধু আমি না, বাংলাদেশের দর্শকেরা অনেক রোমাঞ্চিত, কারণ অনেক দিন পর দেশের মাটিতে খেলা হবে। আর অস্ট্রেলিয়া শীর্ষ দলগুলোর একটা। তাদের বিপক্ষে খেলতে নামব, আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। শুধু দেশের মাটিতে না, উপমহাদেশেও তারা ভালোই খেলে।  আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারলে আশা করি ফল ভালো হবে।’

    কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে বাস্তব লক্ষ্য কী হওয়া উচিত মুশফিকের? কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যেমন সরাসরিই বলেছেন দুই টেস্টেই জয়ের কথা। মুশফিক ততটা স্পষ্ট না করলেও ইচ্ছাটা ঠিকই জানিয়ে দিলেন,  ‘টেস্ট ক্রিকেটে গত ৫-৭ বছর ধরে ডিফেন্সিভ খেলা কমই হয়েছে। ড্র এখন টেস্টে কমই হয়, যেখানেই খেলা হোক। রান রেটও বেশ ভালো থাকে। আগ্রাসন তো তাই থাকবেই। তবে ব্যালান্সটা রাখতে হবে। খুব ভালো প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছি, ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছি। আশা আছে যেন ঘরের কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারি।’

    মুশফিকের সঙ্গে এখন আশায় বুক বাঁধতে পারে বাংলাদেশও।