• " />

     

    মুশফিক-সাব্বিরদের সাথে জ্বললো মাশরাফির ব্যাটও

    মুশফিক-সাব্বিরদের সাথে জ্বললো মাশরাফির ব্যাটও    

     


     

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বিসিবি নর্থ জোন ৩২১/৭, ৫০ ওভার (নাঈম ৮০, মুশফিক ৭৮, সাব্বির ৬৬; জিয়া ২/৩৫, রুবেল ২ /৫৩, মাশরাফি ২/৬৯); প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন ২৩৩/১০, ৪৪.১ ওভার (মাশরাফি ৬৯, সোহাগ গাজী ৩৯; তাইজুল ২/২৫, সানজামুল ২/২৯)

     

    ফলঃ বিসিবি নর্থ জোন ৮৮ রানে জয়ী

     

    ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ মুশফিকুর রহিম (নর্থ জোন)


     

    চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে এ পর্যন্ত দু’বার তিনশো পেরোল কোন দলীয় সংগ্রহ। আর দুটোই বিসিবি নর্থ জোনের। জুনাইদ ঝড়ের সুবাদে পাওয়া প্রথমটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে নাসিরের দলের তিন শতাধিক রান এ যাত্রায় আর বিফলে যায় নি। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের আগে মুশফিকুর-সাব্বির-নাসিরদের ব্যাটে রান জাগালো আশার আলো। সঙ্গে জাতীয় দলের আরেক সাবেক নাঈম ইসলামের দলীয় সর্বোচ্চ রানে ভর করে নর্থ জোন পেলো ৮৮ রানের বড় জয়। রানের পাহাড় টপকানর বৃথা চেষ্টায় প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের প্রাপ্তি মাশরাফির টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক। সীমিত ওভারের ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ডই করে ফেলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক!

     

     

     

    টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জুনাইদকে হারালেও আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান আর নাঈম ইসলামের জুটি ভিত গড়ে দেয় বড় সংগ্রহের। ব্যক্তিগত ৪৮ আর দলীয় ৮৫ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদুল। এরপর নাঈমের সাথে মুশফিকের জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করে আরও ১৩০ রান। রুবেল হোসেনের বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ম্যাচসেরা ইনিংসটিতে ৫ চার, ৪ ছয়ে মুশফিক করেন ৬৬ বলে ৭৮ রান। খানিক বাদে নাঈম ফেরেন মাশরাফির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে, ব্যক্তিগত ৮০ রানে। এরপর সাব্বির (৬৬), নাসিরদের (৩৯) ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সেটি থামে ৭ উইকেটে ৩২১ রানে। সাউথ জোনের পক্ষে মাশরাফি, রুবেল ও জিয়া দুটি করে উইকেট নেন।

     

     


    জবাবে ব্যাট করতে নেমে টপ আর মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১১৭ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে সাউথ জোন। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে মোহাম্মদ মিথুন আউট হয়ে যাওয়ার পর সাউথ জোনকে কিছুটা সময়ের জন্য আশার আলো দেখায় মাশরাফি-সোহাগ গাজী জুটি। সোহাগ ৩৯ রানে ফরহাদ রেজার এলবিডব্লু শিকার হয়ে ফিরে গেলেও মাশরাফি লড়ে যান কার্যত একাই। দলীয় ২৩৩ রানের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নাসিরের শিকার হওয়ার আগে মাশরাফি করেন ৬৯ রান, মাত্র ৪৪ বল মোকাবেলায়; ৮ চার, ৩ ছয়ে। নর্থ জোনের পক্ষে দেলোয়ার, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ও সানজামুল দুটি করে উইকেট নেন।