• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ব্রাজিলকে রুখে দিল কলম্বিয়া

    ব্রাজিলকে রুখে দিল কলম্বিয়া    

    রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা বেশ হতাশাজনকই ছিল ব্রাজিলের। প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে চাকরি হারান দুঙ্গা। কিন্তু আদেনর লিওনার্দো বাচ্চি ওরফে ‘তিতে’ কোচ হয়ে আসার পর থেকেই যেন সুদিন ফিরেছে ব্রাজিলের। বাছাইপর্বে টানা নয় ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই রাশিয়ার টিকেট পাকা করেছেন নেইমাররা। তবে রেকর্ডটা আর ১০-এ নিয়ে যাওয়া হয়নি ব্রাজিলের। কলম্বিয়ার সাথে  ১-১ গোলে ড্র করেছে ‘সেলেসাও’রা।  পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল করেছেন উইলিয়ান। কলম্বিয়ার ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছেন রাদামেল ফালকাও।

     

    ব্রাজিল-কলম্বিয়ার ম্যাচগুলো বরাবরই ‘লো-স্কোরিং’। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দুই পরাশক্তির মধ্যকার শেষ ৮ ম্যাচে গোল হয়েছে মাত্র ৯টি। বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় আজ কুতিনহো, মার্সেলোদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন তিতে। কিন্তু এরপরও লিডটা ঠিকই নিয়েছিল ব্রাজিল। গোলের দেখা পেতে অবশ্য একেবারে প্রথমার্ধের অন্তিম মূহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ‘সেলেসাও’দের। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মধ্যমাঠ থেকে আলভেসের লম্বা পাস প্রথম টাচেই উইলিয়ানের দিকে বাড়ান নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের পাস নিয়ন্ত্রনে না এনেই দুর্দান্ত এক হাফভলিতে বল কলম্বিয়ার জালে পাঠান চেলসির এই উইঙ্গার। উইলিয়ানের আকস্মিক গোলে সমর্থকদের মতোই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন হামেসরা। কলম্বিয়ার সমর্থকদের পিনপতন নীরবতার মাঝে মাঠে উপস্থিত হাতে গোণা ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাসে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
     


    উইলিয়ানের গোলে কিছুটা দমে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আবারো পুরনো সেই উদ্যম নিয়েই খেলোয়াড়দের উৎসাহ-উদ্দীপনা দিতে থাকেন কলম্বিয়ার সমর্থকেরা। ফলাফলটাও আসে হাতেনাতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেশ গোছানো ফুটবল খেলতে থাকা কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান রাদামেল ফালকাও। ৫৬ মিনিটে সান্তিয়াগো আরিয়াসের ক্রসে মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে চমৎকার এক হেডে গোল করেন ‘দ্য টাইগার’ খ্যাত এই স্ট্রাইকার। ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল কলম্বিয়া! কিন্তু তিওফিলো গুতিয়েরেজের শট মার্কিনহোসের গায়ে লেগে ব্রাজিলের গোলের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে সে যাত্রায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন নেইমাররা। শেষমেশ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দু দলকেই।

     

    অন্যদিকে কিছুটা বিস্ময়করভাবে বলিভিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে চিলি। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হেরে বেশ চাপেই পড়ে গেলেন সানচেজরা।