• লা লিগা
  • " />

     

    এইবারের জালে বার্সার ছয়, মেসির চার

    এইবারের জালে বার্সার ছয়, মেসির চার    

    আগের ম্যাচে গেটফের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জিতেছিল বার্সেলোনা। লা লিগায় এবার নতুন আসা দলটির বিপক্ষে কষ্টার্জিত এক জয়ে অক্ষুণ্ণ ছিল নতুন লিগমৌসুমে টানা জয়ের রেকর্ডটাও। আজ এইবারকে ৬-১ গোলে হারিয়ে সেই রেকর্ডটাকে আজ পাঁচ-এ নিয়ে গেলো এর্নেস্তো ভালভার্দের দল। বার্সার মতো মৌসুমের দুর্দান্ত শুরুটা ধরে রাখলেন লিওনেল মেসিও, করেছেন হ্যাটট্রিক। সবমিলিয়ে বার্সার ছয় গোলের চারটিই করেছেন মেসি। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৪ গোল করলেন মেসি।

     

    আগের ম্যাচে গোলের পুরষ্কার হিসেবে পলিনহোকে মূল একাদশে নামিয়ে দিয়েছিলেন ভালভার্দে। আবারও গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৩৮ মিনিটে দেনিস সুয়ারেজের কর্ণারে হেড করে পলিনহোর করা গোলের আগেই অবশ্য লিড নিয়েছিল বার্সা। নতুন মৌসুমে বার্সার রাইটব্যাক পজিশন নিজের করে নিয়েছেন পর্তুগিজ নেলসন সেমেদো। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা সেমেদোকে ম্যাচের ২০ মিনিটে বক্সে ফেলে দেন এইবারের গালভেজ, পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি রেফারিকে। ১২ গজ থেকে গোলরক্ষক দিমিত্রোভিচকে বোকা বানিয়ে ম্যাচে নিজের ও বার্সার প্রথম গোল করেন মেসি।

     

    প্রথমার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও দ্বিতীয়ার্ধে কাতালানদের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে এইবার। ৫৩ মিনিটে বার্সার তৃতীয় গোল করেন দেনিস সুয়ারেজ। পলিনহোর ‘ডামি’তে মধ্যমাঠের কিছু সামনে বল পান মেসি। ‘এলএম১০’-এর শট গোলরক্ষক দিমিত্রোভিচ ঠেকালেও ফিরতি শটে বল জাল পাঠাতে ভুল করেননি দেনিস। ৫৭ মিনিটে সার্জি এনরিকের গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল এইবার। কিন্তু এর মিনিট দুয়েক পরই বার্সার সেই শঙ্কা দূর করে দেন মেসি। মাঝমাঠে বল পেয়ে ডিবক্সের সামান্য বাইরে থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই  আর্জেন্টাইন। সাথে ন্যু ক্যাম্পে নিজের ৩০০ গোলের মাইলফলকটাও ছুঁয়েছেন। পরে অবশ্য সেই সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন মেসি।

    ম্যাচজুড়েই মেসি-পলিনহোর মধ্যে বোঝাপড়াটা ছিল দারুণ। এরপর এই জুটিই করেন বার্সার পঞ্চম গোল। ৬২ মিনিটে পলিনহোর সাথে চমৎকার  ‘ওয়ান-টু’য়ের পর বার্সার হয়ে নিজের ৪৯তম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। গোলের পরপরই ‘মেসি! মেসি!’ চিৎকারে ভারী হয়ে উঠে ক্যাম্প ন্যুয়ের বাতাস।

     


    দ্বিতীয়ার্ধে এইবারের দুটি প্রচেষ্টা বারে প্রতিহত না হলে ফলাফলটা আরেকটু সম্মানজনকই হতে পারতো ‘বাস্ক’ দলটি জন্য। তার বদলে ৮৭ মিনিটে তাদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন মেসিই। মেসির পাস থেকে ডিবক্সের ডানপ্রান্তে বল পান বদলি খেলোয়াড় অ্যালেক্স ভিদাল। তার মাইনাস থেকে ম্যাচে নিজের চার নম্বর গোল করেন ‘লা পুলগা’। ৯ গোল নিয়ে ১৭-১৮ লা লিগা মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে গেলেন মেসি। সাথে টানা পাঁচ জয়ে শীর্ষস্থানটাও আরো সুসংহত হল বার্সার।