• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    মঈন ঝড়ের জবাব দিতে পারলেন না গেইলও

    মঈন ঝড়ের জবাব দিতে পারলেন না গেইলও    

    ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৬৯/৯ (মঈন ১০২, রুট ৮৪, স্টোকস ৭৩; কামিন্স ৩/৮২)

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯.১ ওভারে ২৪৫ (গেইল ৯৪; প্লাঙ্কেট ৫/৫২)

    ফলঃ ইংল্যান্ড ১২৪ রানে জয়ী

    ম্যাচসেরাঃ মঈন আলী


    অসম্ভব না হোক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য অন্তত তার কাছাকাছিই ছিল লক্ষ্যটা। ওয়ানডে ইতিহাসেই যে ৩০০র বেশি রান তাড়া করে জেতার কীর্তি মাত্র একটাই আছে তাদের। সেই লক্ষ্যটা যার জন্য সম্ভব হতে পারত, সেই ক্রিস গেইল আশাই দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে আলসেমিরই খেসারত দিতে হলো। গেইলের আউটের পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল ক্যারিবিয় ব্যাটিং। মঈন আলীর ঝড়ই শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে এনে দিল ১২৪ রানের সহজ জয়।

    ২৭ ওভার পর্যন্ত গেইল যখন ক্রিজে ছিলেন, ওয়েস্ট ন্ডিজের রান হয়ে গিয়েছিল ১৭৬। বাকি ২০ ওভারে ২০০র কাছাকাছি রান প্রয়োজন, গেইল ছিলেন বলেই অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু সিঙ্গেল নিতে গিয়েই আদিল রশিদের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে গেলেন গেইল। ৭৮ বলে তখন তাঁর রান ৯৪, অনেক দিন পর আরেকটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাত ছোঁয়া দূরত্বে। অথচ শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিলেই বেঁচে যেতেন নিশ্চিত। কিন্তু দুলকি চালে দৌড়ানোরই মাশুল দিতে হলো।

    এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের গল্পটা কেবল আসা যাওয়ার। শেষ ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়রা, লিয়াম প্লাঙ্কেট নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তবে সেটাও ম্যাচসেরার পুরস্কারের জন্য যথেষ্ট হয়নি। মঈন যে সব আলো তাঁর আগেই নিজের ওপর নিয়ে নিয়েছেন।

    মঈন যখন ক্রিজে এসেছেন ইংল্যান্ডের রান ৩২.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২১০। সেখান থেকে রানটা যে ৩৬৯ পর্যন্ত গেল, তার প্রায় সবটুকুই মঈনের। শুরুতে একটু স্লথই ছিলেন, প্রথম ৫০ রানের জন্য খেলতে হয়েছে ৪১ বল। কিন্তু এরপরেই কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই একটা সাইক্লোন দেখল ব্রিস্টল। পরের ৫০ রানের জন্য মঈন খেললেন মাত্র ১২ বল, ওয়ানডে ইতিহাসেই যা রেকর্ড। সেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৫৩ বলে, ইংল্যান্ডের হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। আর সাত বা তার পরে নেমে আর কারও এত কম বলে সেঞ্চুরির কীর্তি নেই। সাতটি চারের পাশাপাশি মেরেছেন আটটি ছয়, সেঞ্চুরিও পেয়েছেন ছয় মেরেই। শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট না হারালে ইংল্যান্ডের রান হতে পারত আরও বেশি।

    শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে আফসোস করতে হয়নি মরগানকে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এর মধ্যে এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে পরের দুই ওয়ানডে এখন জিততেই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।