• জাতীয় লিগ ২০১৭
  • " />

     

    মিজানুরের ৫ম, জাভেদের ১ম সেঞ্চুরি

    মিজানুরের ৫ম, জাভেদের ১ম সেঞ্চুরি    

    জাতীয় লিগ ২০১৭-১৮, চতুর্থ রাউন্ড, তৃতীয় দিনশেষে 

    রংপুর-খুলনা (প্রথম স্তর, খুলনা) 
    খুলনা ১ম ইনিংস ২১৮ অল-আউট, ৫৮.৪ ওভার (বিজয় ৬১, নাহিদুল ৫১, মিঠুন ২৭, আরিফুল ৪/৪৯, সোহরাওয়ার্দি ৪/৫৭, তানভির ২/২১) ও ২য় ইনিংস ২২/০, ১০ ওভার (মাহাদি ১৪*, রবি ৭*) 
    রংপুর ১ম ইনিংস ৩১৭/৯ ডিক্লে., ৮০.৪ ওভার (জাভেদ ১১৫, ধীমান ৬৯, জিয়াউর ৩/২৯, মাহাদি ২/৫২, রাজ্জাক ২/১৩৬) 

    ঢাকা-বরিশাল (প্রথম স্তর, কক্সবাজার) 
    ঢাকা ১ম ইনিংস ২৫০ অল-আউট (রনি ৬৮, শরিফ ৫৮, তাইয়াবুর ৪৬, সালমান ৪/৩৮, মনির ৩/৫৩, তানভির ২/২৬) ও ২য় ইনিংস ১১০/৩, ৩৮ ওভার (রকিবুল ৩৯*, জাহিদুজ্জামান ৩৭,সোহাগ ১/১১) 
    বরিশাল ২৯৯ অল-আউট, ১০২ ওভার (সোহাগ গাজি ৭৩, শামসুল ৫৬, নুরুজ্জামান ৫১, শাহিন ৩০, শুভাগত ৪/৬২, শরিফ ২/৬৫, মোশাররফ ২/৬৬)

    চট্টগ্রাম-ঢাকা মেট্রো (দ্বিতীয় স্তর, চট্টগ্রাম) 
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩৬৯/৯ ডিক্লে., ১৩১.১ ওভার (মেহরাব ৯৪*, আশরাফুল ৬৬, আসিফ ৬৪*, ইফতেখার রনি ৫/৯১)
    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২১৬/৮, ৮৩ ওভার (সাজ্জাদুল ৫৯, মাহবুবুল ৪০, আশরাফুল ৩/৪৯, শহিদ ২/৫৫, নিহাদ ২/৫৬)

    রাজশাহী-সিলেট (দ্বিতীয় স্তর, বগুড়া) 
    সিলেট ১ম ইনিংস ২২১ অল-আউট, ৭২.৩ ওভার (আবুল ৬০, সায়েম ৪৭, দেলোয়ার ৪/৭২, ফরহাদ ৩/৬২) 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ২৭৯/৩, ৫৯ ওভার (মিজানুর ১৪৩, জুনায়েদ ৮২*, ইমরান ২/৬৮) 


    প্রথম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির অনুভূতিটা কেমন? জাহিদ জাভেদ নিশ্চয়ই বলবেন, অসাধারণ! খুলনার সঙ্গে ম্যাচে আজ এই অনুভূতি হয়েছে রংপুরের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরি ও সাতে নামা ধীমান ঘোষের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানের লিড পেয়েছে রংপুর। 

    আগের দিন খুলনাকে ২১৮ রানে অল-আউট করে আজ ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রংপুর। একপ্রান্ত আগলে ছিলেন জাভেদ, ২১৭ বলে ১১৫ রান করতে মেরেছেন ১৪টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়। আর সাতে নামা ধীমান ১২ চারে ৬৮ বলে করেছেন ৬৯ রান। দিনশেষে খুলনা কোনো উইকেট না হারিয়ে পিছিয়ে আছে ৭৭ রানে। 

    জাভেদের প্রথম, কিন্তু মিজানুরের ৫ম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি এটি। ১৬৯ বলে ১৪৩ রান, মিজানুর চার মেরেছেন ২৪টি, সঙ্গে ছয় একটি। সিলেট বোলারদের রীতিমতো যাঁতাকলে পিষেছেন, সঙ্গে ছিলেন জুনাইদ সিদ্দিক। তিনি অপরাজিত ৮২ রানে। 

    আগের দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া সিলেটকে টেনে তুলেছেন আট নম্বরে নামা আবুল হাসান, করেছেন ৬০ রান। কম যাননি দশ ও এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ ও সৈয়দ খালেদ, তারা করেছেন ৩৭ ও ২০। ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানো সিলেট শেষ পর্যন্ত করেছে ২২১ রান। 

    লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে বরিশাল। ঢাকাকে অল্প রানে বেঁধেও ফেলেও চোখ রাঙ্গাচ্ছিল লিড না পাওয়ার শঙ্কা। আট নম্বরে নামা শামসুল ইসলামের ফিফটিতে তাদের প্রথম ইনিংসে লিড ৪৯ রানের। আগেরদিন ৩ উইকেট নেওয়া শুভাগত নিয়েছেন এদিন আরেকটি উইকেট। দিনশেষে ৭ উইকেট নিয়ে ৬১ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা। 

    চট্টগ্রামের দুই লোয়ার অর্ডারও লড়ছেন ভালই। নয় ও দশ নম্বর ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন, বাকি একদিন, চট্টগ্রাম পিছিয়ে ১৫৩ রানে। ড্র ছাড়া অন্য কোনও ফলের সম্ভাবনা এই ম্যাচেই যা একটু বেশি, সেক্ষেত্রে অবশ্য ঢাকা মেট্রোকে একদিনেই নিতে হবে ১২ উইকেট। 

    সাত নম্বরে সাজ্জাদুল হকের ৫৯ ও চারে নামা মাহবুবুল করিমের ৪০ রান ছাড়া চট্টগ্রামের সবাই ছিলেন যাওয়ার আসার মাঝেই। তিন উইকেট পেয়েছে ঢাকা মেট্রোর মোহাম্মদ আশরাফুল, দুইটি করে নিয়েছেন নিহাদ-উজ-জামান ও মোহাম্মদ শরিফ।