• জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    ক্রেমারের দিনে চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে

    ক্রেমারের দিনে চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে    

     

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    প্রথম দিনশেষে

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১৯ ( হোপ ৯০*, ক্রেমার ৪/ ৬৪)

    জিম্বাবুয়ে ১৯/০ ( মিরে ১৭*)

     

    ম্যাচের আগে ৩ বছর পর দলে ফেরা ব্রেন্ডন টেলর বলেছিলেন, এই জিম্বাবুয়ে দল অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ‘সেরা’। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনশেষে টেলরের কথার প্রমাণটা খানিকটা মিলল। অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়দের মাত্র ২১৯ রানে অলআউট করে চালকের আসনে বসেছে জিম্বাবুয়ে।

     

    ১৪ বছর পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা। তৃতীয় উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেন কিরান পাওয়েল ও শাই হোপ। প্রায় ২৯ ওভার অনায়াসেই ব্যাটিং করেছেন দুজন। তবে জুটিটা বেশি বিপদের কারণ হয়ে ওঠার আগেই সেটা ভাঙ্গেন ক্রেমার। ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাফ সেঞ্চুরি করা পাওয়েল। 

     

     

    পাওয়েল ফেরার পর রস্টন চেজকে নিয়ে আবারো এগিয়ে যেতে থাকেন হোপ। ৬৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন সিকান্দার রাজা। আরভিনের হাতে তালুবন্দি হন চেজও। এরপর জারমেইন ব্ল্যাকউডও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষের দিকে অনেকটা তাসের ঘরের মতোই ভেঙ্গে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৫ উইকেট পড়েছে মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে। শেষ ৩ ব্যাটসম্যান খুলতে পারেননি রানের খাতাই। ক্রেমার নেন ৪ উইকেট, শন উইলিয়ামস নিয়েছেন ৩ টি। 

     

    একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন হোপই। শেষ পাঁচ টেস্টে চতুর্থবারের মতো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ফিফটি করলেও সঙ্গীর ওভাবে শেষ পর্যন্ত ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। ৯০ রানে অপরাজিত থেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন।

     

    দিনের শেষে ৫ ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমন মিরে কোনো বিপদ ছাড়াই সময়টা পার করে দিয়েছেন।