• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    নেইমারের লাল কার্ড, পিএসজিকে বাঁচালেন কাভানি

    নেইমারের লাল কার্ড, পিএসজিকে বাঁচালেন কাভানি    

    দলকে ২-১ গোলে পিছিয়ে রেখে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ ক্লাসিকোতে জয়ের দিকেই এগুচ্ছিল অলিম্পিক মার্শেই। নির্ধারিত সময়ের পর ৯২ মিনিটে ডিবক্সের ঠিক বাইরে এডিনসন কাভানিকে ফাউল করে বসেন মার্শেইয়ের বউনা সার। আর তাতেই কপাল পোড়ে ঘরের দলের। ৯৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করে লিগ ওয়ানে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছে পিএসজি, ম্যাচ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।



    স্টাডে ভেলোড্রমে  ম্যাচের ১৬ মিনিটেই  মার্শেইকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লুইজ গুস্তাভো। ৩৩ মিনিটে নেইমারের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। আদ্রিয়ান রাবিওটের সাথে ওয়ান-টু খেলে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন নেইমার। সেখান থেকে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান। এই গোলের পর অবশ্য একটা রেকর্ডও করে ফেলেছেন নেইমার। অলিম্পিক লিওঁ ও মার্শেই- দুই দলের বিপক্ষেই এর আগে লিগে এই শতাব্দীতে গোল করতে পেরেছিলেন দুই খেলোয়াড়। ফ্রেঞ্চ ক্লাসিকোতে রোনালদিনহো ও ইব্রাহিমোভিচের সাথে ছোট তালিকার তিন নম্বর জায়গাটি এখন নেইমারের। তবে গোল করে ক্লাসিকোতে লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়ের তালিকায় নেইমার সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন না কাউকেই। 



    প্রথমার্ধে দুই দলের আক্রমণ-পালটা আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও, দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল উলটো। পিএসজির আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে মার্শেই ডিফেন্ডারদের। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পে, কাভানি, নেইমারদের কেউই তেমন নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না।

    ৭৮ মিনিটে অনেকটা স্রোতের বিপরীতেই এগিয়ে যায় মার্শেই। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে পা ছুঁয়ে জালে বল জড়িয়ে ঘরের সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন  ফ্লোরিয়ান থাউভিন।

    এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা চালায় পিএসজি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই এক গোলের সাথে একজন খেলোয়াড়ও কমে যায় প্যারিসের দলটির। ৮৫ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন নেইমার। এর দুই মিনিট পরই লুকাস অকাম্পাসকে ধাক্কা দেয়ার দায়ে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। নেইমার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় পিএসজির।

    দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার আগে অবশ্য ফাউলের শিকার হয়েছিলেন নেইমার নিজেই। বল নিয়ে দৌড়ানোর সময় নেইমারকে ল্যাং মেরে বসেন অকাম্পাস। মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি নেইমার, উঠেই উলটো নিজেও ধাক্কা মেরে বসেন অকাম্পাসকে। দুইজনকেই হলুদ কার্ড দেখার রেফারি। 

    নেইমার মাঠ ছাড়ার পরই মার্শেই ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে পারত। ৮৮ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত। এরপর ৯৩ মিনিটে কাভানির ফ্রি কিক থেকে গোল হজম করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

    এর আগে লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে নেইমার-কাভানি শিরোনাম হয়েছিলেন। আজ আরেক ক্লাসিকোতেও শিরোনাম হলেন দুজন। কিন্তু কারণটা আলাদা!