• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    চেলসির জয়ের রাতে টটেনহামের বিদায়

    চেলসির জয়ের রাতে টটেনহামের বিদায়    

     

    যোগ করা সময়ের ২ মিনিটের মাথায় গোল করে চেলসিকে ২-০ তে এগিয়ে দিলেন উইলিয়ান। তখন হয়ত সবাই ভেবেই নিয়েছিল ম্যাচে আর কোনো ‘নাটক’ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এভারটনের ক্যালভার্ট লেউইন সেটা হতে দিলেন না। ৯৪ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছেন, দুশ্চিন্তার ভাজ ফেলেছেন আন্তোনিও কন্তের কপালে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে এভারটনকে। গোলকিপার উইলি ক্যাবায়ারোর দারুণ দক্ষতায় ২-১ গোলের জয় নিয়ে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে চেলসি।

     

    ম্যাচের শুরুতেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়েইন রুনি। ৪ মিনিটের মাথায় তার শট ঠেকিয়ে দেন চেলসি কিপার। চেলসির হয়ে প্রথম সুযোগ নষ্ট করেছেন মিচি বাস্তুুয়াই। ২৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন আন্তোনিও রুডিগার। চার্লি মুসন্দার ক্রসে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান। ক্লাবের হয়ে এটাই রুডিগারের প্রথম গোল।

     

    দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়ে চেলসিকে এগিয়ে রেখেছেন কিপার ক্যাবায়ারো। ৫৬ মিনিটে সমতা আনার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রুনি। গোলকিপারকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি, তার শট বাঁচিয়ে দেন ক্যাবায়ারো। ৬৭ মিনিটে আরেকবার সমতা আনতে পারত এভারটন। ফিল জ্যাগিয়াল্কার হেড বাঁচিয়ে দেন সেই ক্যাবায়ারোই। ৬৯ মিনিটে কেভিন মিরালাসের শটও ঠেকিয়ে দেন তিনি। ৭৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল চেলসির সামনে, তবে অ্যাডেমলা লোকম্যান সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।

     

    ৯২ মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান বাড়ান উইলিয়ান। এই মৌসুমে এটাই তার প্রথম গোল। ঠিক ২ মিনিট পরেই ক্যাবায়ারোকে পরাস্ত করেন লেউইন। সমতা আনার জন্য মরিয়া এভারটন সব চেষ্টাই করেছে ম্যাচে ফেরার জন্য। শেষ বাঁশি বাজলে হাফ ছেড়ে বাঁচেন কন্তে। এই জয়ে ২১তম বারের মতো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো চেলসি। তাঁদের সামনে আছে আর্সেনাল(২৬ বার), টটেনহাম( ২৩ বার) ও লিভারপুল (২২ বার)।

     

     

    চেলসির জয়ের রাতে কাপ থেকে ছিটকে গেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহাম। জমজমাট এক ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হেরেছে ওয়েস্ট হামের কাছে। ৬ মিনিটে মউসা সিসোকোর গোলে এগিয়ে যায় স্পার্স। ডেলে আলী ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৭ মিনিটে।

    প্রথমার্ধের পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। 'ঝিমিয়ে' থাকা ওয়েস্ট হামের ফরোয়ার্ডরা একের পর এক আক্রমণে টটেনহাম রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখেন। ৫৫ মিনিটে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান আন্দ্রে আইয়ু। ৫ মিনিট নিজের দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন সেই আইয়ুই।  

    ৭০ মিনিটে ওয়েস্ট হামকে এগিয়ে দেন অ্যাঙ্গেলো অগবনা। কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান। ম্যাচে আর সমতা ফেরাতে পারেনি টটেনহাম। ফলে জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ওয়েস্ট হাম। গত দুই মৌসুমের মতো এবারও কোয়ার্টারে উঠতে ব্যর্থ হল টটেনহাম।