• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'মরিনহো টাইমে' জিতল ইউনাইটেড

    'মরিনহো টাইমে' জিতল ইউনাইটেড    

    স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সময়ে বিখ্যাত ছিল 'ফার্গি টাইম'। হোসে মরিনহো বোধ হয় সেই সময় কিছুটা এগিয়ে নিয়ে এসেছেন! শেষ দশ মিনিটে গোলের ঠিকানা খুঁজে বের করা যেন অভ্যাসেই পরিণত করেছে তার দল। আজও শেষ দশ মিনিটের গোলেই টটেনহাম হটস্পার্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই মৌসুমে ইউনাইটেডের করা মোট গোলের ৪৩ শতাংশই এসেছে শেষ দশ মিনিটে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে টটেনহামকে হারানোর ম্যাচে ইউনাইটেডের ত্রাণকর্তা অ্যান্থনি মারশিয়াল।

    লিভারপুলের পর টটেনহামের সাথেও খেলা গড়াচ্ছিল গোলশূন্য ড্রয়ের দিকেই। প্রথমার্ধের নিজেদের খোলসে আবৃত করে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য বেশ আক্রমণাত্মকই খেলছিল ম্যান ইউনাইটেড। কিন্তু গোলের দেখাটাই পাচ্ছিল না। ৮১ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর হেড থেকে ডিবক্সের ভেতর বল পেয়ে যান মারশিয়াল, সেখান থেকেই হুগো লরিসের জালে বল জড়ান ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। এই মৌসুমে বদলি হিসেবে নেমে মারশিয়ালের চেয়ে বেশি গোল নেই প্রিমিয়ার লিগের অন্য কোনো খেলোয়াড়েরই। 



    খেলার প্রথমার্ধটা অবশ্য ম্যাড়মেড়েই ছিল। হ্যারি কেইন বিহীন টটেনহামের আক্রমণ ভাগ তেমন সুবিধা করতে পারেনি পুরো ম্যাচেই। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার গোলে শট করলেও ডেভিড ডি গিয়াকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি স্পার্স। ইউনাইটেডের অবস্থাও অবশ্য প্রায় একই রকম ছিল বিরতির আগ পর্যন্ত। ঘরের মাঠে মার্কোস র‍্যাশফোর্ডের নেয়া একটি ফ্রি কিক ছাড়া আলাদা করে বলার মতো কোনো আক্রমণ সাজাতে পারেনি মরিনহোর দল। 

     

    তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বদলে যায় ইউনাইটেডের খেলা। বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও শুধু গোলের দেখাটাই পাচ্ছিল না মরিনহোর দল। হেনরিখ মিখিতারিয়ানের একটি শট স্পার্স গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল করার সুযোগ ছিল ইউনাইটেডের। কিন্তু বেন ডেভিস সে যাত্রা রক্ষা করেন স্পার্সকে। এরপর আরও একবার মিখিতারিয়ানের ক্রস বিপদের কারণ হতে পারত ডেভিসদের জন্য, কিন্তু এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান  গোলরক্ষক লরিস। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে লুকাকুও পেয়েছিলেন গোল করার ভালো সুযোগ, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। 

    ৭৯ মিনিটে অবশ্য নিজের আফসোসটা ভুলতে পারতেন লুকাকু। লিনগার্ডের ক্রস থেকে হেডও করেছিলেন ঠিকঠাক, কিন্তু ক্রসবারে লেগে বল ফেরত আসায় আফসোসটা আরও বেড়েছে। ওই হেড থেকে গোল করতে না পারলেও অবশ্য এর দুই মিনিট পরই লুকাকুর হেড থেকেই মারশিয়াল ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন ম্যাচে।

    এসব কিছুর আগে অবশ্য টটেনহামও দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল। ৭৮ মিনিটে সুযোগটা কাজে লাগাতে না পারাটাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল স্পার্সের জন্য। ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের উড়িয়ে মারা বলে ঠিক মতো পা লাগাতে পারলেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন ড্যালে অ্যালে। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর তেমন কোনো আক্রমণই সাজাতে পারেনি স্পার্স।

     
    এতোদিন গোল গড়ে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে ছিল ম্যান ইউনাইটেড। আজকের জয়ের পর টটেনহামের চেয়ে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে একই জায়গায় রয়েছে মরিনহোর দল। প্রিমিয়ার লিগে পরের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ডে ব্রিজে চেলসির মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড।