• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সিটি, লিভারপুলের চেয়ে 'এগিয়ে' চেলসি

    সিটি, লিভারপুলের চেয়ে 'এগিয়ে' চেলসি    

    ম্যানচেস্টার সিটিকে থামাবে কে? প্রিমিয়ার লিগে প্রায় প্রতি সপ্তাহ শেষেই এই একই প্রশ্নের জবাবই যেন খুঁজে বেড়াচ্ছেন সবাই! আজও কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে লেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা দশ ম্যাচ জয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।  আগস্ট মাসে এভারটনের সাথে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পর আর কোনো পয়েন্টই হারায়নি পেপ গার্দিওলার দল। আরও এক গেম উইক শেষে তাই শীর্ষস্থানটা আরও সুসংতই হয়েছে সিটির। ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট তাদের।

    রাতে একই সময়ের খেলায় জিতেছে চেলসি আর লিভারপুলও। বড় দলগুলোর মধ্যে জয়ের ব্যবধানটা সবচেয়ে বড় চেলসিরই। ওয়েস্টব্রমকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তারা। আর লিভারপুলও জিতেছে টানা চতুর্থ ম্যাচ। ঘরের মাঠে মোহাম্মাদ সালাহর জোড়া গোলে সাউদাম্পটনকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লিভারপুল।



    বাকি দুই বড় দলের চেয়ে জয়ের ব্যবধানটা ছোট হলেও ম্যাচ জুড়ে সিটির আধিপত্য ছিল আগের বাকি সব ম্যাচের মতোই। তবে আজ গোলের দেখা পেতে অনেকটা সময়ই অপেক্ষা করতে হয়েছে সিটিজেনদের। ৪৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে সিটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস।

    প্রথমার্ধে অবশ্য খানিকটা বিতর্কও ছড়িয়েছে রেফারির একটি সিদ্ধান্ত। খেলা তখনও গোলশূন্যভাবেই এগুচ্ছিল। প্রতি আক্রমণে লেস্টারের অর্ধ থেকে পাঠানো লং বল খুঁজে পেয়েছিল জেইমি ভার্ডিকেও। গোলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকা ভার্ডিকে ফাউল করে বসেন একাদশে ফেরা সিটি অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি। রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্ত দিলেও, কোম্পানিকে শুধু হলুদ কার্ড দেখিয়েই সতর্ক করেন।

    ওই একটা মুহুর্ত ছাড়া পুরো ম্যাচে সিটিকে বিপদে পড়তে হয়নি খুব একটা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই আরও এক গোল করে ম্যাচে লেস্টারের ফেরার সম্ভাবনাটা আরও কমিয়ে দেন কেভিন ডি ব্রুইন। সিটির প্রথম গোলেও অবদান ছিল বেলজিয়ানের। এবার দ্বিতীয় গোলটা আগা গোঁড়াই 'নিজের'। ৪৯ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোল করেন ডি ব্রুইন।

    দুই গোলে এগিয়ে থেকে বাকিটা সময় লেস্টারকে নিয়ে 'ছেলেখেলাই' করেছে সিটি। শুরু একাদশে ছিলেন না সার্জিও আগুয়েরোও। আর গোল করতে না পারলেও ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকায় শেষ পর্যন্তও আগুয়েরোকে বিশ্রামেই রেখেছেন গার্দিওলা।



    অন্য ম্যাচে ওয়েস্টব্রমের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই জয়টা নিশ্চিত করে ফেলেছিল চেলসি। আলভারো মোরাতা, এডেন হ্যাজার্ড আর মার্কোস আলোন্সের গোলে ৩৮ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় আন্তোনিও কন্তের দল। ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে চেলসির বড় জয়টা নিশ্চিত করেন হ্যাজার্ড।

    হ্যাজার্ডের মতো জোড়া গোল করেছেন মোহাম্মাদ সালাহও। এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতায় সালাহর গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। ইংল্যান্ডে গোলদাতাদের মধ্যে সবার উপরেই আছেন সালাহ। ৩১ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে করেন প্রথম গোল। এর ১০ মিনিট পরই ফিলিপ কুতিনহোর থ্রু বল থেকে জালে বল জড়িয়ে দলকে এনে দেন দুই গোলের স্বস্তির লিড। সালাহর গোলে অবদান রাখার পর কুতিনহো নিজেও নাম লেখান স্কোরশিটে। ৬৮ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর শোট সাউদাম্পটন গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও, আরেক ব্রাজিলিয়ানকে গোলবঞ্চিত করতে পারেননি। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে লিভারপুলের জয় নিশ্চিত করেন কুতিনহো।